ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে নোটারি পাবলিক ও কাজীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

প্রকাশিত: ০৭:০৩, ৪ ডিসেম্বর ২০১৪

বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে নোটারি পাবলিক ও কাজীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বাংলাদেশ সরকারের সেøাগান ‘আঠারোর আগে বিয়ে নয়, বিশের আগে সন্তান নয়।’ সরকার বাল্যবিয়ে রোধে শিশুর নকল জন্ম সার্টিফিকেটে ১৮ বছর বয়স নিশ্চিত করা নোটারী পাবলিক,বাল্যবিয়ে পড়ানো কাজী এবং অসচেতন অভিভাবককে আইনের আওতায় আনার জন্য কঠোর আইন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানালেন নারী ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ওমেন জার্নালিস্ট নেটওয়ার্ক আয়োজিত বাল্যবিয়ে ও জোরপূর্বক বিয়ে প্রতিরোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই আলোচনা করেন। ইউএনএফপিএ’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি আর্জেন্টিনা ম্যাটাভেল পিকিন বলেন, বাল্যবিয়ে রোধ একটি সামাজিক মূল্যবোধ। এর জন্য প্রয়োজন সামাজিক বিপ্লব। তিনি আরও বলেন, এক রাতে বাল্যবিয়ে বন্ধ হয়ে সামাজিক পরিবর্তন আসবে না। এ পরিবর্তন আনতে গণমাধ্যমকে শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে হবে। গত ২২ নবেম্বর বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয় ও জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) আয়োজিত সিরাজগঞ্জের সমাবেশ উপলক্ষে প্রকাশিত ক্রোড়পত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেছেন, অল্প বয়সে বিয়ে এবং গর্ভধারণ দুটোই অত্যন্ত বিপজ্জনক। বাল্যবিয়ের ফলে একজন অপুষ্ট মা অপুষ্ট শিশুর জন্ম দেয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কিশোরী মা সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে নানা ধরনের জটিল সমস্যায় পড়ে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। নারী উন্নয়ন বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাল্যবিয়ে শিক্ষার ক্ষেত্রে বড় প্রভাব ফেলে। বাল্যবিয়েকে নারীর ক্ষমতায়নের অন্যতম প্রধান বাধা হিসেবে বিবেচনা করেন তারা। চলতি বছরে প্রকাশিত ইউনিসেফ ও ইউনেস্কো’র ‘স্কুলের বাইরে থাকা শিশুদের নিয়ে বৈশ্বিক উদ্যোগ’ শীর্ষক সমীক্ষা অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রাথমিক ও নিম্নমাধ্যমিক স্কুলের ৫৬ লাখ শিশু স্কুলে যায় না। এদের একটি অংশ ঝরেপড়া শিশু। এ সমীক্ষায় স্কুল থেকে ঝরে পড়ার কারণ হিসেবে বাল্যবিয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে কৈশোর মাতৃত্বের হার ৩৩ শতাংশের আশপাশ দিয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে। পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের মধ্যে মাত্র ৪৫ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণ করছে। বিয়ের বিদ্যমান বয়স ১৮ থাকার আইনী বাধ্যবাধকতা থাকার পরও দেশের চিত্র এটি। তাই বিয়ের বয়স ১৬ করে আইন করা হলে হয়ত সংখ্যার দিক থেকে বাল্যবিয়ের হার কম তা বলা সম্ভব হবে, তবে এ ধরনের সমস্যা আরও জাঁকিয়ে বসবে। উল্লেখ্য, এ বছরের জুলাই মাসের শেষে মন্ত্রিপরিষদের আলোচনায় হঠাৎ বাল্যবিয়ে রোধের জন্য মেয়েদের বিয়ের বয়স নির্ধারণের ক্ষেত্রে ১৬ বছর বয়সের প্রস্তাব সমর্থিত হয়। এর বিরোধিতা করে গণমাধ্যম এবং সভা-সমাবেশে ব্যাপক প্রতিবাদ উঠে আসে। এ প্রসঙ্গে নারী ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, কেবিনেটে অনেক প্রস্তাবই আলোচিত হয়। তার মানে এই নয়, সরকার এখনই এই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, বিভিন্ন পর্যায়ে বিতর্ক হলে গঠনমূলক আলোচনা এবং সর্বসম্মতির মাধ্যমে সুবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত মন্ত্রিপরিষদে পাস করা সম্ভব হয়। রাজধানীর চায়ের টেবিল থেকে প্রত্যন্ত জনপদের খুপরি চায়ের দোকান পর্যন্ত মানুষ বিবেচনা করছে কন্যাসন্তানের বিয়ের বয়স কত হবে! প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেসব আলোচনা এবং আজকের নারী সাংবাদিকদের সমাবেশের আলোচনা থেকে বলা যায় ১৬ বছর নয়, ১৮ বছরই জয়যুক্ত হয়েছে। নারী ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, দেরিতে হলেও আশা করছি একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ আইন তৈরি হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশে কোন আইন প্রণয়নের আগে সাধারণ মানুষকে তা জানানো হয়। ফলে মানুষ সে আইন সম্পর্কে তাদের মতামত জানাতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশে তেমন প্রচার খুব একটা হয় না। তবে এবার মেয়েদের বিয়ের বয়স নির্ধারণ নিয়ে আইন প্রণয়নের আগেই এক ধরনের বিতর্ক শুরু হয়েছে। শহর থেকে শুরু করে গ্রামের চায়ের দোকান পর্যন্ত আলোচনা চলছে এ বিষয়ে। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, উচ্চশিক্ষিত ও কর্মজীবী মেয়েরা এবং তাদের পরিবারের অভিভাবকরা অনেক সচেতন হয়েছেন। সচেতন পরিবারের মেয়েরা বিয়ে করার জন্য নানান বাস্তবতা বিবেচনা করেন। সেক্ষেত্রে অনেকে ৩০ বছর বয়সেও বিয়ে করার কথা ভাবতে পারেন না। পূর্ণ বয়¯ক একজন নারীর নিজের জীবন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবার অধিকার রয়েছে। এক্ষেত্রে ১৬ বছর বা ১৮ বছর কোন্ বয়সের বিয়ে-সেটা একেবারেই অবান্তর। সচেতন তরুণীরা পড়াশোনা শেষে উপার্জন করে পরিবারের দায়িত্বশীল একজন হিসেবে পরিবারের ব্যয় নির্বাহের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে চায়। এর মাধ্যমেই তারা মানুষ হিসেবে নিজেকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে। চলতি বছরে ইউনিসেফ প্রকাশিত ‘দৃষ্টির মধ্যেই সুপ্ত’ শীর্ষক প্রতিবেদনটিতে বলেছে, বিশ্বে প্রতি ১০ জনে একজন মেয়ে ১৯ বছর বয়স পেরুনোর আগেই ধর্ষণ বা যৌন নিপীড়নের শিকার হয়। আর দক্ষিণ এশিয়ায় কিশোরী নির্যাতনের হার সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশে। এখানে প্রায় প্রতি দুজনের একজন (৪৭ শতাংশ) বিবাহিত কিশোরী (১৫ থেকে ১৯ বছর) স্বামী বা সঙ্গীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, ১৮ বছরের নিচে বিয়ে মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থী। অনেক দেশে সেটা আইনেরও লঙ্ঘন। এর পরও এমনটা প্রায়ই ঘটে। বাংলাদেশের একটি গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে এতে বলা হয়েছে, এখানে ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগে যেসব মেয়ের বিয়ে হয় তারা অন্যদের তুলনায় বেশি শারীরিক নির্যাতন ও যৌন নিপীড়নের শিকার হয়। একই প্রবণতা আছে ভারত ও নেপালেও। জাতিসংঘ শিশু তহবিল-ইউনিসেফ এবং যুক্তরাজ্য সরকারের যৌথ আয়োজনে গত ২১ থেকে ২৩ জুলাই লন্ডনে অনুষ্ঠিত গার্ল সামিটে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের মধ্যে ১৫ বছর বয়সের আগে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ১৮ বছরের আগে মেয়েদের বিয়ে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার লক্ষ্যমাত্রার কথা জানান। প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার এক মাস পরেই বাল্যবিয়ের ক্ষেত্রে ন্যূনতম বয়স ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ করার কথা আলোচনায় আসে। তখন অনেকে সমালোচনা করতে গিয়ে বলেন, দেশে বাল্যবিয়ের হার কম তা প্রমাণ করা ও বাহবা পাওয়া এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পুরস্কার পাওয়ার জন্যই সরকার এ ধরনের চিন্তা করছে। ১৫ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাল্যবিয়ের জন্য সাজা ও জরিমানার পরিমাণ বাড়িয়ে ‘বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন, ২০১৪’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। একই সভা থেকে ১৯২৯ সালের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ছেলেদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ২১ থেকে ১৮ এবং মেয়েদের ১৮ থেকে ১৬ করা যায় কিনা তা পর্যালোচনা করার জন্য আইন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশ (অনুশাসন) দেয়া হয়। ১৯২৯ সালের বিদ্যমান আইনকে যুগোপযোগী করার উদ্দেশেই নতুন আইন করা হচ্ছে। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় ‘বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন, ২০১৪’-এর যে খসড়া মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করে তাতে মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৮ বছরের কম এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে ২১ বছরের কম হলে তা ‘বাল্যবিয়ে’ হবে বলে উল্লেখ করা হয়। মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন ১৮ বছরের নিচে কোনভাবেই বিয়ের বয়স হতে পারে না। তিনি কিছু বাস্তব উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, অনেকক্ষেত্রে কিশোরী মেয়েরা ভুল করে বিয়ে করতে মরিয়া হয়ে যায়। অভিভাবকরাও অনেক সময় ভাবেন বিয়ে দিলেই মেয়েটিকে তার কৈশোরের উচ্ছলতা বা কোন ভুল সিদ্ধান্ত থেকে রক্ষা করা যাবে। এক্ষেত্রে সরকার বাল্যবিয়ে রোধে অভিভাবকদেরও আইনের আওতায় আনবার জন্য কঠোর আইন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। সাংবাদিক মানসুরা হোসাইন তাঁর মূল প্রবন্ধে বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মন্ত্রিসভায় আইনের খসড়া উত্থাপনের পর দেশের আবহাওয়ায় মেয়েদের মাসিক তাড়াতাড়ি হয়, ১৬ বছর বয়সেই সে মা হতে পারে, মেয়েশিশুর নিরাপত্তা প্রশ্ন তোলাসহ বিভিন্ন যুক্তি দেখিয়ে মেয়েদের বিয়ের বয়স কমানোর বিষয়টি আলোচিত হয়। এমনকি একটি দৈনিকে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকিও বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিশুর বয়স ১৮, তারপরও অভিভাবকের অনুমতিতে ১৬ বছরের মেয়ের বিয়ের বিধান করা আছে। গ্রামে-গঞ্জে ১৮ বছরের মেয়েকে শিশু হিসেবে মানতে চায় না অনেকে। পড়াশোনাসহ বিভিন্ন কারণে ছেলেমেয়েদের একসঙ্গে চলাফেরা বেড়েছে। ফলে বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের মধ্যে সন্তানের জš§ হলে তার বৈধতা দেয়াও কঠিন। সরকার একদিকে শিশু আইন, শিশু নীতিসহ বিভিন্ন আইন ও নীতি প্রণয়ন করেছে। জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদসহ বিভিন্ন সনদ অনুসমর্থন করে ১৮ বছরের কম বয়সীদের শিশু হিসেবে সংজ্ঞায়িতও করেছে। অন্যদিকে আইনের মাধ্যমেই সরকার শিশুবিয়েকে জায়েজ করতে চাইছে। সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে তা বিভিন্ন সনদ ও আইনের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক হবে। গণমাধ্যমগুলো প্রতিবেদন, সম্পাদকীয়সহ বিভিন্ন আয়োজনে সরকারের দ্বৈত আচরণের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ধারাবাহিকভাবে প্রচার করছে বলে উল্লেখ করেন মানসুরা হোসাইন। এ আয়োজনের সমন্বয়ক আঙ্গুর নাহার মন্টির সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কানাডা হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার ক্রিশ্চিয়ার টারডিফ, ইউএনএফপিএ-র বাংলাদেশ প্রতিনিধি আর্জেন্টিনা ম্যাটাভেল পিকিন, ইউনিসেফের ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ লুইস মোভনো, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত ও প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন। ক্রিশ্চিয়ার টারডিফ বলেন, বাল্যবিয়ে উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা। এটি নিরসনে সরকারের নেয়া ২০১৫ পরবর্তী এজেন্ডাকে আমরা সমর্থন করি। এক্ষেত্রে বেসরকারী এবং সুশীল সমাজের সংগঠনগুলোর ভূমিকা রয়েছে। বাল্যবিয়ে ও জোরপূর্বক বিয়ে বন্ধ করা একটি অত্যন্ত জটিল প্রচেষ্টা। এটা করতে সমাজ, সংস্কৃতি এমনকি পরিবারের অন্য সদস্যের বিরুদ্ধে দাঁড় করায়। তাই এটি এককভাবে দূর করা সহজ নয়, এর জন্য নীতিমালা থাকা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমেরও ভূমিকা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। ইউএনএফপিএ-র বাংলাদেশ প্রতিনিধি আর্জেন্টিনা ম্যাটাভেল পিকিন বলেন, বাল্যবিয়ে রোধ একটি সামাজিক মূল্যবোধ। এর জন্য প্রয়োজন সামাজিক বিপ্লব। তিনি আরও বলেন, এক রাতে বাল্যবিয়ে বন্ধ হয়ে সামাজিক পরিবর্তন আসবে না। এ পরিবর্তন আনতে গণমাধ্যম শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে পারে। কারণ, যেসব স্থানে সরকার এমনকি উন্নয়ন সহযোগীরা পৌঁছতে পারে না, গণমাধ্যমের কণ্ঠ সমাজের সেসব স্থানেও পৌঁছতে পারে। ইউনিসেফের ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ লুইস মোভনো বলেন, বাল্যবিয়ের মতো সামাজিক সমস্যা দূরীকরণে সরকার, গণমাধ্যম এবং উন্নয়ন সহযোগীদের একসঙ্গে ভূমিকা রাখতে হবে। তবেই মেয়েদের জীবনে পরিবর্তন আসবে। ইউএন ওমেন‘র বাংলাদেশ প্রতিনিধি ক্রিস্টিন হান্টার গণমাধ্যমের উদ্দেশে বলেন, আপনারা বাল্যবিয়ে রোধে বালিকা, তাদের মা এবং অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলুন। তাদের স্বপ্নের কথা জানুন। তা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করুন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত নারী এই অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন।
×