ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিয়ের প্রলোভনে অন্তঃসত্ত্বা যুবতী বিচারের আশায় ঘুরছে দ্বারে দ্বারে

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ৪ ডিসেম্বর ২০১৪

বিয়ের প্রলোভনে অন্তঃসত্ত্বা  যুবতী বিচারের আশায়  ঘুরছে দ্বারে দ্বারে

সংবাদদাতা, নাটোর, ৩ ডিসেম্বর ॥ নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর আদিবাসী পল্লীর এক যুবতীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তুললে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে যুবতী। প্রতারণার শিকার হয়ে এখন সমাজে মুখ দেখাতে পারছে না সে। বিচারের আশায় দীর্ঘদিন দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও বিচার পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে যুবতীর পরিবার। আদিবাসী যুবতী জানায়, উপজেলার জামনগর পুরাতন পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত আরশেদ আলীর পুত্র সেলিম রেজা (২০) তার ভাইয়ের সঙ্গে সখ্য থাকায় তাদের বাড়িতে প্রায়ই কারণে-অকারণে যাতায়াত করত। মাদকসেবি, বখাটে সেলিমের কুনজর পড়ে তার ওপর। একপর্যায়ে সেলিম রেজা তাকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এতে যুবতী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। মেয়ের অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি জানাজানি হলে সেলিমকে বিয়ে করার চাপ দেয় যুবতীর পরিবার। কিন্তু সেলিম রেজা আদিবাসী যুবতীকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে বিপাকে পড়ে যুবতীর পরিবার। যুবতী জানায়, আমরা আদিবাসী হওয়ায় আমি সুষ্ঠু বিচার হতে বঞ্চিত। সুষ্ঠু বিচারের জন্য আমি মানবাধিকার সংস্থার হন্তক্ষেপ কামনা করছি। এব্যাপারে অভিযুক্ত সেলিম রেজার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদকের পরিচয় পাওয়ার পর রাগান্বিত কণ্ঠে বলেন, এই কাজ কে করেছে তা আমি জানি না। তবে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণœভাবে মিথ্যা। তবে মাদকসেবি সেলিমের বিরুদ্ধে স্থানীয় ২ নং জামনগর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুসের কাছে অভিযোগ করা হলেও তিনি বিচার নিয়ে টালবাহানা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে চেয়ারম্যানের সেলফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বাগাতিপাড়া থানার ওসি আমিনুর ইসলাম জানান, অভিযুক্তের পরিবার ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলার প্রধান আসামি সেলিম রেজাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বাকি আসামিকে আটক করতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
×