নিজস্ব সংবাদদাতা রূপগঞ্জ থেকে জানান, রূপগঞ্জে ৪৯টি ইটভাঁটিতে কয়লার অভাবে ইট পোড়ানো বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ইটভাঁটি মালিকরা লোকসানের মুখে পড়েছেন। অন্যদিকে প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ভারত থেকে কয়লা আমদানি বন্ধ থাকায় এ অবস্থা হয়েছে। ভাঁটিগুলোতে লাখ লাখ কাঁচা ইট পড়ে থাকলেও তা পোড়ানো যাচ্ছে না। এদিকে কয়লানির্ভর রূপগঞ্জের বিভিন্ন শিল্পকারখানার উৎপাদনও ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় স্থানীয় ইটভাঁটি মালিকরা কয়লা আমদানির দাবিতে শুক্রবার ঢাকা সিলেট মহাসড়ক অবরোধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এরই মধ্যে কয়লা না পেলে তারা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অচল করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ২০১১-১২ অর্থবছর থেকে পরিবেশ অধিদফতরের নির্দেশ অনুযায়ী রূপগঞ্জ উপজেলার বাংলা ভাঁটিগুলো লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে পরিবেশবান্ধব হাওয়াই এবং জিগজাগ ভাঁটিতে রূপান্তর করা হয়। ভাঁটি মালিকরা সনাতন পদ্ধতির পরিবর্তে কয়লা দিয়ে ইট পোড়ানো শুরু করেন। ভারতের মেঘালয় থেকে আমদানি করা কয়লা দিয়ে দেশে হাওয়াই ও ঝিগজাগ ইটভাঁটতে ইট পোড়ানো হয়। মেঘালয়ের একটি আদালতে পরিবেশবাদীরা কয়লা উত্তোলন বন্ধে মামলা করেন। সম্প্রতি আদালত কয়লা উত্তোলনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। ফলে ১৬ মে থেকে মেঘালয় থেকে দেশে কয়লা আমদানি বন্ধ রয়েছে। এতে রূপগঞ্জের ৪৯টি ভাঁটিতে ইট পোড়ানো বন্ধ রয়েছে। এর ফলে প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: