ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ইটভাঁটিতে কয়লা সঙ্কট

প্রকাশিত: ০৫:২২, ৪ ডিসেম্বর ২০১৪

ইটভাঁটিতে কয়লা সঙ্কট

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁশখালী, ৩ ডিসেম্বর ॥ দক্ষিণ চট্টগ্রামের দেড় শতাধিক ইটভাঁটির কয়লার মাতম কাটেনি। মৌসুমে ইট পোড়ানো নিয়ে সংশয়ে পড়েছে সংশ্লিষ্ট ইটভাঁটি মালিকরা। ফলে চলতি মৌসুমে প্রতি ভাঁটিতে শ্রমিক খরচ বাবদ ৬০ লাখ টাকা করে প্রায় ৯০ কোটি টাকা আগাম দাদন দিয়ে বিপাকে পড়েছে ইটভাঁটির মালিকরা। ইট পোড়ানো মৌসুমের আগেই ভারত থেকে কয়লা রফতানি বন্ধ করে দেয়ায় পুরো চট্টগ্রাম জেলার প্রায় সাড়ে ৪শ’ ইটভাঁটিতে গত ২ মাসেও আগুন জ্বালাতে পারেনি বলে জানালেন চট্টগ্রাম জেলা ইটভাঁটি মালিক সমিতির সভাপতি হাজী আবদুল মালেক। এদিকে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া ও দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রধান উপকরণ ইট। তাই কয়লার অভাবে ইটভাঁটিতে উৎপাদন বন্ধ যাতে না হয় সেজন্য ইটভাঁটি মালিকদের পক্ষ থেকে সাতকানিয়া ইটভাঁটি মালিক সমিতির সভাপতি ফরিদুল আলম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। ফরিদুল আলম আরও বলেন, গত মাসের ১২ তারিখ চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দীনের সঙ্গে বৃহত্তর চট্টগ্রাম জেলা ইটভাঁটি মালিকদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে দ্রুত চট্টগ্রামের ইটভাঁটিগুলোতে ঝিকঝাক পরিবেশ বান্ধব ইটভাঁটাতে রূপান্তরের কথা বলা হয়েছে অথচ কয়লার কোন ব্যবস্থা করা হয়নি। এর ফলে আমাদের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রতি ভাঁটিতে কাঁচা ইট তৈরিসহ কমপক্ষে ২শ’ জন শ্রমিককে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৬০ লাখ টাকা আগাম দাদন দিতে হয়। এ কারণে দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রায় দেড় শতাধিক ইটভাঁটতে ৬০ থেকে ৬৫ লাখ টাকা আগাম দাদন দিয়ে মালিকরা বিপাকে পড়েছেন। একইভাবে দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশে ৩৫টি, লোহাগাড়ায় ৪৫টি, বাঁশখালীতে প্রায় ১৫টি ও ও পশ্চিম পটিয়ায় প্রায় ৮টি ইটভাঁটি রয়েছে। প্রতিটি ইটভাঁটিতেই লাখ লাখ কাঁচা ইট তৈরি করে উৎপাদনে যেতে পারছে না। এ কারণে কাঁচা তৈরি ইটও নষ্ট হচ্ছে বলে মালিকরা জানান। লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফিজনুর রহমান বলেন, ইটভাঁটি মালিকদের সঙ্গে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বৈঠক হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাধারণ আবুল হোসেন বলেন, জেলা প্রশাসক সাহেবের সঙ্গে ইটভাঁটি মালিকদের বেশ কয়েকবার বৈঠক হয়েছে। তিনি বলেন, কয়লার অভাবে ইটভাঁটি বন্ধ হলেও কোনভাবেই কয়লার বিকল্প হিসেবে আমরা কাঠ পোড়ানোর অনুমতি দিতে পারি না। পরিবেশের বিষয়টি আমাদের সবাইকে বিবেচনায় আনতে হবে বলে জানান।
×