ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশের দুর্দিনের বন্ধু

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ৪ ডিসেম্বর ২০১৪

বাংলাদেশের  দুর্দিনের  বন্ধু

(৩ ডিসেম্বরের পর) মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগ ও কয়েকটি বিশেষ দক্ষ প্রোপাগান্ডা কোম্পানি যৌথভাবে একই কায়দায় সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধেও বিরামহীন প্রচারণা চালিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নকে বিভক্ত করার কাজটিও অত্যন্ত নিখুঁত ও দক্ষভাবে সম্পন্ন করেছিল। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নকে একটি ক্ষতিকর, অসৎ সাম্রাজ্য এবং ভুয়া রাষ্ট্র ও অসম্ভব-অবাস্তব দেশ বলে এটাকে ধ্বংস ও বিভক্ত করে এর সংসদকে গণতন্ত্র, স্বাধীনতা প্রদান করতে হবে। এই বলে সাম্রাজবাদী মার্কিন মতলববাজি বিষাক্ত প্রোপাগান্ডা ব্যবহার করে যুগোস্লাভিয়া ও সোভিয়েত ইউনিয়নকে ধ্বংস ও ভেঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন মহাদেশ ও রাষ্ট্রে তার অসুভ ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করেছে। কোন প্রকার বাধা বা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা না করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কসোভো ও বসনিয়ায় তার নতুন বাজার প্রভাব ও বিভিন্ন সুযোগের অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে দেশ দুটিতে অবাধ্য ও জবাবদিহিহীন সাম্রাজ্যবাদী শক্তির পরিধিকে আরও সস্প্রসারিত করে সুসংগঠিত আকারে এক দানবীয় রূপ লাভ করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর ও মার্কিন ভাড়াটিয়া প্রচারণা সম্পর্কে যুগোস্লাভিয়াতে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত, ওয়ারেন জিমারম্যানের স্বীকারোক্তিতে বলেছিল যে, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে যুগোস্লাভ রাষ্ট্রের ধ্বংস করে কয়েকটি স্বাধীন রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করা। এই কুখ্যাত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত জিমারম্যান তাঁর গভীর কূটচাল ও দুরভিসন্ধির মাধ্যমে প্রথমে যুগোস্লাভ বসনিয়ান ও কসোভোর আলবেনিয়ানদের বেলগ্রেডের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রভাবিত করে বসনিয়াকে যুগোস্লাভ প্রজাতন্ত্র হতে বিচ্ছিন্ন করে একটি ভিন্ন রাষ্ট্রে পরিণত করে। অবশ্য বসনিয়ায় সার্বিয়ান (বেলগ্রেড) সমর্থিত বাহিনী কর্তৃক কয়েক হাজার বসনিয়ান মুসলিম মানুষ হত্যা ও নারী নির্যাতনের অমার্জনীয় অপরাধ জিমারম্যানের জন্য বেলগ্রেডের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতেও বিশ্ব সমর্থন আদায় করতে সাহায্য করেছিল।’ ‘লিসবন চুক্তি’ নামকখ্যাত একটি শান্তিচুক্তির ফর্মুলা যার মাধ্যমে বসনিয়াকে প্রস্তাবিত তিনটি জাতি বা অঞ্চল হিসেবে বিভক্ত করে একটি ইউনাইটেড বসনিয়ান ফেডারেশনের অধীনে যথা সার্বিয়ান, মুসলিম ও ক্রোয়াট এই তিনটি জাতি ও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে বসনিয়াকে রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রস্তাব ও পরিকল্পনাকে অবিষ্কার ও বাস্তবায়ন না করার ক্ষেত্রে বসনিয়ান মুসলিম নেতাদের উক্ত জিমারম্যান প্রভাবিত করে শুধুমাত্র মুসলমানদের সমন্বয়ে বসনিয়া রাষ্ট্রের গোড়াপত্তনের সকল পরিকল্পনা ব্যবস্থার হোতার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র যুগোসøাভ রাষ্ট্রকে বিভক্ত করার কাজটি সম্পন্ন করেছিল। মার্কিন ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনায় একটি তথাকথিত রেফারেন্ডামের ফলাফলকে গ্রহণ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ স্বীকৃতি প্রদান করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চূড়ান্তভাবে বসনিয়াকে যুগোস্লাভ প্রজাতন্ত্র থেকে বিচ্ছিন্ন করেছিল। কসোভোর আলবেনিয়ান সংখ্যাগরিষ্ঠ ভাষাভাষীদের ওপর বেলগ্রেডের সার্বিয়ান শাসক স্লোভাডেন মিলোসেভিকের বাহিনী দ্বারা সংগঠিত হত্যাযজ্ঞ, নির্যাতন, নারী ধর্ষণের বিরুদ্ধে ওই প্রদেশের জনগণের প্রতি সমর্থন ও সহানুভূতি প্রকাশ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানিসহ কয়েকটি ন্যাটো সদস্যভুক্ত পশ্চিমা রাষ্ট্র। ১৯৯৯ সালের শেষের দিকে শক্তিশালী সামরিক বিমান হামলা করে ও উপর্যুপরি বিরামহীন আক্রমণ কসোভো হতে সার্বিয়ান বাহিনীকে বিতাড়িত করে মার্কিন কমান্ডের পরিচালিত ন্যাটো বাহিনী সমগ্র কসোভোর দখলদারিত্ব সম্পন্ন করে। যুগোসøাভিয়াকে ভেঙ্গে টুকরা টুকরা করার কাজটি তখনকার ক্ষমতাসীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অত্যন্ত দক্ষতা ও নিপুণভাবে জার্মানিসহ ন্যাটোর সদস্যভুক্ত অপর দেশের উচ্চপদস্থ সমরিক কর্মকর্তাদের যৌথ কমান্ডের পরিকল্পনামাফিক বাস্তবায়ন করেছিল। প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ফিলিস্তিনের অধিকৃত অঞ্চলে ইসরাইল কর্তক যুগ যুগ ধরে ফিলিস্তিনীদের ওপর বর্বরোচিত হামলা, অত্যাচার, নির্যাতন ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে ন্যাটোর বরকন্দাজ বাহিনীকে একত্রিত করে ইসরাইলের ওপর হামলা করে। ফিলিস্তিনীদের অত্যাচারিত জনগণকে মুক্ত করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার এ ধরনের কোন পরিকল্পনা কেন গ্রহণ করেন নাই? বসনিয়া ও কসোভোর সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগণের প্রতি মার্কিন বিল ক্লিনটন প্রশাসন ও জার্মানিসহ অপর পশ্চিমা ন্যাটো সদস্যভুক্ত দেশের তথাকথিত সহানভূতি প্রকাশ ও সমর্থন ঘোষণা করে। শক্তিশালী বিমান হামলা ও সামরিক অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে মার্শাল টিটোর প্রতিষ্ঠিত যুগোসøাভ প্রজাতন্ত্র থেকে এই দুটি প্রদেশকে বিচ্ছিন্ন করে স্বাধীন রাষ্ট্রের গোড়াপত্তনের সকল পরিকল্পনাই ছিল বিল ক্লিনটন ও ন্যাটোর যুদ্ধবাজ ও মতলববাজির ভ-ামি ও কূটনৈতিক প্রতারণা ও প্রচারণার নির্লজ্য বহির্প্রকাশ। কসোভোতে অবস্থানকালীন সে দেশের জনসাধারণ ও যুব সম্প্রাদয়ের সঙ্গে আমার একান্ত আলোচনার সুযোগ হয়েছিল। অল্পবয়স্ক ছেলেমেয়েরা বা যুব সম্প্রদায় আমেরিকা ও ক্লিনটনের কসোভোকে সার্বিয়ান শাসন থেকে মুক্ত করায় দারুণ খুশি ও আমেরিকা এবং ক্লিনটনের প্রশংসায় অন্ধ প্রায়। সার্বিয়ান বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা নিগৃহীত ও অত্যাচারিত এবং অনেকের প্রিয়জন ও বান্ধব হারানোর বেদনা হতে প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনকে তারা মুক্তিদাতা ও ত্রাণকর্তা হিসেবে গণ্য করে। কিন্তু এই যুবক ছেলেমেয়েরা ক্লিনটনগংদের অন্তর্নিহিত ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা সম্পর্কে উদাসীন অথবা ধারণাহীন। আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে চোখ ধাঁধালো চোরাইপথে অবৈধভাবে আমদানিকৃত বিলাসবহুল গাড়ি, পোশাক পরিচ্ছদ, প্রসাধনসামগ্রী, অস্ত্র এবং ড্রাগ পাচার ও অবৈধ কালোবাজারিদের আয়কৃত অর্থ দ্বারা নির্মিত নব্য আলবেনিয়ান কসোভোর লগ্নিকারীদের নির্মিত বহুতলবিশিষ্ট দালানকোঠা, দেশের হাইওয়ে, শপিংমল ও শহরের অলিগলিতে কফির দোকানে, মোবাইল ফোন ইত্যাদির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে মার্কিন, ন্যাটোর লাগামহীন প্রচারণা সব কিছু মিলিয়ে কসোভোর শিক্ষিত যুব ও মহিলা সম্প্রদায়, মার্কিন উর্দিপরিহিত সদস্যদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে পারলে নিজকে ধন্য মনে করে। বর্তমানে প্রায় ৪৬ শতাংশ বেকার যুবক। মহিলাদের জন্য কসোভোর সরকারের নেই কোন উল্লেখযোগ্য কর্মসংস্থান পরিকল্পনা। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় এনজিও বা বিভিন্ন সংস্থায় স্বল্পসংখ্যক ছেলেমেয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা বা সুযোগ পেয়েছিল। অধিকাংশ শিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত ছেলেমেয়েদের মধ্যে হতাশা ও দুঃখ-কষ্টের স্বল্প নমুনার চিহ্ন পাওয়া যায়। অপর দিকে বয়স্ক বা অবসরে পেনশনপ্রাপ্ত মানুষের চেহারার মধ্যে পরিলক্ষিত হয় এক অনিশ্চিত ও শঙ্কায় পরিপূর্ণতা। মার্শাল টিটোর শাসনামলে পেনশনপ্রাপ্ত কয়েকজনের সঙ্গে আলাপে জানতে পারি যে, মার্শাল টিটোর শাসনামলে তাদের চাকরি ও জীবনযাপন করা ছিল সুখকর। কারণ তখন অবসরপ্রাপ্ত রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা-কর্মচারিগণ নিয়মিত তাঁদের পেনশনের ভাতা পেতেন এবং তা ছিল তাদের জন্য যথেষ্ট। বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) তরফ ও সরকারের মাধ্যমে যে সামান্য পরিমিত ভাতা গ্রহণ করেন, তার দ্বারা গোটা সংসার এবং ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা তথা আনুষঙ্গিক খরচাপাতি মিটানো এক দুর্বিষহ ব্যাপার। মার্শাল টিটোর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বয়স্ক আলবেনিয়ান কসোভোর লোকজন শ্রদ্ধাভরে মাথানত করে তাঁর প্রতি আজও কৃতজ্ঞতা জানান। একটি শক্তিশালী একত্রিত যুগোসøাভ প্রজাতন্ত্রের সংগ্রামী ও জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট মার্শাল টিটোর অধীনে বসবাস করার সেই অতীত সোনালী অধ্যায়কে তাঁরা চিরকৃতজ্ঞ ও প্রশংসাসহ মনের ভাবাবেগকে প্রকাশ করেন। জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের মহান উদ্দেশ্য নীতির অন্যতম ধারকবাহক ও প্রতিষ্ঠাতা মার্শাল টিটো, ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু, ইন্দোনেশিয়ার ড. সুয়াকর্নো, মিসরের জামাল আবু নাসের ও ঘানার কোয়ামে নক্রমাসহ বিশ্বের এই সকল প্রয়াত নেতৃবৃন্দের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, বুদ্ধিমত্তা ও দূরদর্শিতার বিশেষ অবদানের ফসল ছিল তৃতীয় বিশ্বের শোষিত ও অনুন্নত জনগণের মধ্যে শান্তি, ভ্রাতৃত্ব ও অটুট বন্ধুত্ব সৃষ্টি ও তাকে লালিত পালিত করা। জোটনিরপেক্ষ নীতির মাধ্যমে বিশ্বের রাজনীতি ও কূটনীতিকে একটি নিরপেক্ষ ভারসাম্য অবস্থায় বজায় রাখা। সংগ্রামী জনপ্রিয় যুগোস্লাভ নেতা মার্শাল টিটোসহ অপর জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা নেতৃবৃন্দের অকাল মৃত্যু ও অনুপস্থিতি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার অনুসারী মিত্রদের বিশ্বব্যাপী একচেটিয়া মস্তানি ও সন্ত্রাসী খবরদারি ও মোড়লগিরি করার এক চৎমকার সুযোগ সৃষ্টি হয়। বুশ ব্লেয়ারের চরম মিথ্যাবাদিতা, জালিয়াতি ও ভাওতাবাজি ভেল্কিবাজির প্রচারণায় ২০০৩ সালে ইরাকে যৌথ সামরিক অভিযান পরিচালনা করে প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে হত্যাসহ সমগ্র দেশের একটি স্থায়ী ও শক্তিশালী অবকাঠামোকে ধ্বংস করে। শুধু তাই নয়, কয়েক লাখ নিরীহ মানুষকে হত্যা, শাসন ব্যবস্থাকে ল-ভ- করে একদা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের বন্ধুত্বে বসবাসকারী শিয়া-সুন্নীদের মধ্যে ভয়াবহ দাঙ্গা-হাঙ্গামা, বিভক্তিকরণ ও নৃশংস গৃহযুদ্ধের ব্যবস্থা করে আল কায়দা, ইসলামিক ইরাকী রাষ্ট্র বা আইসিসকে সৃষ্টি করাসহ বহুসংখ্যক জঙ্গী ইসলামিক সংগঠন বা গোষ্ঠীর প্রজননের একটি ভয়াবহ নরক ভূমিতে পরিণত করেছে একদা ধর্মনিরপেক্ষ দেশ ইরাকের মাটিকে। অপরদিকে সত্তর দশকে আফগানিস্তানের সোভিয়েত শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের তালেবান সৃষ্টিকারী সাবেক সামরিক জান্তা প্রধান, জেনারেল জিয়াউল হক ও আইএসআইয়ের পরিচালনা ও তত্ত্বাবধায়নে প্রথমে মুজাহিদ বাহিনী ও পরে তালেবান বাহিনী সৃষ্টি করে আফগানিস্তানে নৃশংসতা ও গৃহযুদ্ধের এক অধ্যায় পরিচালনা করে দেশটিতে আজ জঙ্গী তালেবান বাহিনীর পরিচালনায় নিয়মিত মানুষ হত্যার লাইসেন্স প্রদান করে। আজ বিশ্বের শান্তিপ্রিয় মানবগোষ্ঠী মার্শাল টিটো, পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু, ড. সুয়াকর্নো, জামাল আবদুল নাসের, নক্রমা এবং স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা, মার্শাল টিটোর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও জোট নিরপেক্ষনীতি আদর্শের প্রবক্তা, ধারক ও বাহক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মতো বিশ্ব নেতৃবৃন্দের অনুপস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী শান্তি স্থিতিশীলতা, বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখার ক্ষেত্রে এক চরম শূন্যতার অভাব অনুভব করছে। মার্শাল টিটোর সমাধিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শেষে দানিয়ুব নদীর তীরে এসে বসার পর আমার নিকট প্রতীয়মান হচ্ছিল যেন- উজান থেকে বেলগ্রেড শহরের উপকণ্ঠ দিয়ে প্রবাহিত দানিয়ুব নদীটি যেন নিথর স্থির ও শান্ত হয়ে আছে। আমার মনে প্রশ্ন উঠেছিল, তা হলে কি মার্শাল টিটোর অনুপস্থিতিই একদা উন্মত্ত ভয়াল বহমান দানিয়ুব নদীর এই শান্ত প্রাণহীন অবস্থার কারণ? (সমাপ্ত) [email protected]
×