ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মিরপুরে হাফেজকে শ্বাসরোধে হত্যা, উত্তরায় কাজের মেয়ের আত্মহত্যা

প্রকাশিত: ০৭:৩১, ৩ ডিসেম্বর ২০১৪

মিরপুরে হাফেজকে শ্বাসরোধে হত্যা, উত্তরায় কাজের মেয়ের আত্মহত্যা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর মিরপুরে এক হাফেজকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। আটদিন পর তার পচাগলা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে উত্তরায় এক কিশোরী গৃহপরিচারিকা আত্মহত্যা করেছে। মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্র জানায়, মিরপুর থানাধীন উত্তর পীরেরবাগের একটি বাড়িতে হাফেজ মোঃ হাফিজুর রহমান (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ৮দিন পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উত্তর পীরেরবাগের ৩৬৩/৮ নম্বর ভবনের ৫ম তলার একটি কক্ষ থেকে তার পচাগলা লাশ উদ্ধার করে রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ। মিরপুর থানার এসআই আফজাল জানান, হাফিজুর রহমান কোরআনে হাফেজ ছিলেন। তাঁর বাবার নাম আব্দুল হাসান। গ্রামের বাড়ি পাবনা জেলার চাটমোহর থানার পাঁচরাঙ্গা গ্রামে। তিনি দারুস সালাম থানাধীন ছোট দিয়াবাড়ি এলাকার ১৫/১ নম্বর বাড়িতে সপরিবারে থাকতেন। নিহতের বরাত দিয়ে এসআই আফজাল জানান, গত ২৪ নবেম্বর রাত ৮টার দিকে হাফেজ হাফিজুর রহমান চট্টগ্রামের যাবার কথা বলে তাঁর দারুস সালামের দিয়াবাড়ি এলাকার বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। তাঁর মোবাইল বন্ধ ছিল। ৮দিন পর মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ সংবাদ পেয়ে মিরপুর উত্তর পীরেরবাগের ওই বাড়ি থেকে তাঁর পচাগলা লাশ উদ্ধার করে। তাঁর গলায় কালো দাগ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, কে বা কারা তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করে তাঁর মরদেহ ওই বাড়িতে রেখে পালিয়েছে বলে এসআই আফজাল জানান। এদিকে একই সন্ধ্যায় পুলিশ উত্তরা পূর্ব থানাধীন ৪ নম্বর সেক্টরের ৫ নম্বর রোডের ১৩ নম্বর ভবনের চতুর্থ তলার ৩০২ নম্বর ফ্ল্যাটের খায়রুল এনামের বাড়ির গৃহপরিচারিকার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে রাতে ঢামেক মর্গে পাঠায়। নিহতের বাবার নাম রহমান লস্কর আলী। গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর থানার দক্ষিণপাড়া গ্রামে। উত্তরা পূর্ব থানার এসআই মুশফিকুর রহমান জানান, দেড় বছর ধরে আলেয়া ওই বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করছিল। কয়েক মাস ধরে এক যুবকের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মোবাইলে সে ওই ছেলের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলত। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে ওই বাড়ির গৃহকর্ত্রী আমেনা এনাম ছেলে-মেয়েকে স্কলাসটিকা স্কুল থেকে আনতে বাসা থেকে বের হন। তাঁরা বিকেলে বাসায় ফিরে দেখেন বেডরুমের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। অনেক ডাকাডাকি সাড়াশব্দ না পেয়ে ওই বাড়ির গৃহকর্ত্রী চাবি দিয়ে বেডরুমের দরজা খুলে দেখেন গৃহপরিচারিকা আলেয়া ফ্যানের সঙ্গে গলায় রশি পেঁচানো। আলেয়ার ঝুলন্ত লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়া হয়। এসআই মুশফিকুর রহমান জানান, ধারণা করা হচ্ছে, প্রেমের কারণে আলেয়া আত্মহত্যা করেছে। তবে কেউ তাকে মেরে ঝুলিয়ে রেখেছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর আসল ঘটনা জানা যাবে।
×