ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

রাজশাহীতে বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে টমেটো

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ৩ ডিসেম্বর ২০১৪

রাজশাহীতে বিস্তীর্ণ মাঠ  জুড়ে টমেটো

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে গত দুুই বছর ধরে লোকসান গুনলেও এবার রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার টমেটো চাষীরা আশায় বুক বেঁধেছেন। চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই টমেটোর ভাল দাম পাচ্ছে চাষীরা। তাই গত দুই বছরে টমেটো নিয়ে ফ্যাকাশে হওয়া কৃষকের স্বপ্ন এ মৌসুমে রঙ্গিন হয়ে উঠতে শুরু করেছে। এখন গোদাগাড়ী জুড়ে মাঠের পর মাঠ কেবল টমেটো আর টমেটো। কৃষকও ব্যস্ত এখন টমেটো কারবারে। মঠে মাঠে চলছে টমেটো প্যাকেটজাত। সেখান থেকে ট্রাকে উঠে যাচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। দুই বছর পর এবার যেন টেমোটোয় ‘লাল’ হয়ে উঠেছে উপজেলার কৃষক। দেশের সিংহভাগ শীতকালীন টমেটো উৎপাদন হয়ে থাকে রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে। উপজেলায় এ মৌসুমে দুই হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন হাইব্রিড জাতের টমেটো চাষ হয়েছে। গত মৌসুমে প্রায় চার হাজার হেক্টর জমিতে টমেটোর চাষ হয়েছিল। মাঠে গত বছরের তুলনায় এক হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে টমেটো চাষ কম হওয়ায় উৎপাদনও তুলনামূলক কম। তবে রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা থাকায় খুশি কৃষকরা। এবারে আশায় বুক বেঁধেছে কৃষকরা। টমেটো চাষীরা জানান, গোদাগাড়ীতে এখন প্রতিমণ পাকা টমেটো ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে, কাঁচা টমেটো বিক্রি হচ্ছে প্রতি মণ ৬৫০ টাকায় দরে। চৈতন্যপুর এলাকার টমেটো চাষী আবদুর রহমান জানান, তিনি পাঁচ বছর ধরে শীতকালীন টমেটো চাষ করে আসছেন। গত দুই বছরে টমেটোতে তার এক লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। এবার তিনি পুশিয়ে নিতে পারবেন। এ মৌসুমে তিনি চাষ করেছেন তিন বিঘা জমিতে। প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। ইতোমধ্যেই জমি থেকে দুই দফা টমেটো তুলে বিক্রি করেছেন ৩৫ হাজার টাকা। আর একবার টমেটো উঠলেই লাভের মুখ দেখবেন বলে জানান তিনি। বোগদামারী গ্রামের টমেটো চাষী জামাল উদ্দীন জানান, একটু আগাম জাতের টমেটো চাষ করেছিলেন বলে প্রথম দুই দফাতেই দুই বিঘা টমেটো চাষের খরচ প্রায় উঠে গেছে। সর্বশেষ গত রবিবার তৃতীয় দফায় ১৩ মণ পাকা টমেটো বিক্রি করেছেন প্রায় দশ হাজার টাকার। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এম. সাইফুল আলম বলেন, গোদাগাড়ীতে এ বছর দুই হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন হাইব্রিড জাতের টমেটো চাষ হয়েছে। গতবারের তুলনায় কম জমিতে টমেটো চাষ করায় টমেটোর দাম ঠিক আছে। বর্তমান বাজার আরো দুই সপ্তাহ স্থিতিশীল থাকলে কৃষকরা লাভবান হবেন বলে তিনি জানান।
×