ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ক্যাম্পে ফিরলেন জিমিরা

প্রকাশিত: ০৫:০১, ৩ ডিসেম্বর ২০১৪

নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ক্যাম্পে ফিরলেন জিমিরা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অবশেষে তারা চারজন ডাক পেলেন আগামী জানুয়ারিতে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ার্ল্ড হকি লীগে খেলার জন্য। কিন্তু ততদিনে নষ্ট হয়ে গেছে একটি মূল্যবান অধিবর্ষ। সদ্য নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে উঠা বাংলাদেশ জাতীয় হকি দলের চার খেলোয়াড় জাতীয় দলের প্রাথমিক ক্যাম্পে ডাক পেয়েছেন। এরা হলেনÑ রাসেল মাহমুদ জিমি, জাহিদ হোসেন, ইমরান হাসান পিন্টু ও কামরুজ্জামান রানা। তবে দীর্ঘদিন খেলার মধ্যে না থাকলে যা হয়, ফিটনেস পরীক্ষায় ঠিকমতো পাস করতে পারেননি তারা! তবে প্রাথমিক ক্যাম্পে এখনও রাখা হয়েছে তাদের। ক্যাম্পে ডাক পেয়ে এক সময়ের তারকা ফরোয়ার্ড রাসেল মাহমুদ জিমি বলেন, ‘দীর্ঘ সময় পর ফিরতে পেরে ভাল লাগছে। এখন সবকিছু আবার নতুন করে শুরু করতে হবে। জাতীয় দলে ফেরার জন্য চেষ্টা করব।’ গোলরক্ষক জাহিদ হোসেন বলেন, ‘এক বছর খেলার বাইরে ছিলাম। ফিটনেসটা আগের মতো নেই। জাতীয় দলে ফেরাটা সত্যিই একটা চ্যালেঞ্জ।’ আগামী ১০ ডিসেম্বর আরেকটি ফিটনেস পরীক্ষায় পাস করতে হবে। তাতে উত্তীর্ণ হলেই মূল দলে ঠাঁই পাবেন তারা। মঙ্গলবার ১৯ সদস্যের হকি দল ক্যাম্পের জন্য বিকেএসপিতে চলে গেছে। জুনিয়র হকি টুর্নামেন্টের পর বাকি খেলোয়াড়রা ক্যাম্পে যোগ দেবেন। সেখান নতুন মালয়েশিয়ান কোচ গোবিনাথান কৃষ্ণমূর্তির অধীনে অনুশীলন করবেন জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা। গত বছর সেপ্টেম্বরে মালয়েশিয়ার ইপোতে এশিয়া কাপে ব্যর্থতার জন্য চার খেলোয়াড়ের দেশাত্মবোধ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। জিবি মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জিমি, জাহিদ ও পিন্টুকে তিন বছরের জন্য জাতীয় দল এবং দু’মৌসুমের জন্য সব ধরনের ঘরোয়া হকির কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করা হয়। আর রানাকে দু’বছরের জন্য জাতীয় দলের পাশাপাশি এক বছরের জন্য সব ধরনের ঘরোয়া হকির কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করা হয়। পরে অভিজ্ঞ এ খেলোয়াড়দের ছাড়াই জাতীয় দল গঠন করে চ্যালেঞ্জ নেয় হকি ফেডারেশন। গত এক বছরে অনেকটা ভালমন্দের মিশেলেই দেখা গেছে জাতীয় হকি দলের পারফর্মেন্স। এ বছর ঢাকার মাঠে এশিয়ান গেমস বাছাইপর্ব এবং ওয়ার্ল্ড হকি লীগের প্রথম পর্বে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। তবে ইনচনে এশিয়ান গেমসের মূল আসরে একের পর এক হারে আগের সেই অষ্টম স্থানে থেকেই দেশে ফেরেন চয়ন-মিমোরা। এছাড়া চুক্তি শেষ হওয়ায় এরই মধ্যে দেশে ফিরে যান পাকিস্তানী কোচ নাভিদ আলম। অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের শাস্তি মওকুফ করে ফের তাঁদের খেলায় ফিরিয়ে আনার দাবি উঠেছিল অনেকদিন ধরে। সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এবার নিষেধাজ্ঞার ঘেরাটোপ থেকে মুক্তি পান তারা। শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বহিষ্কৃত এই খেলোয়াড়রা ফেডারেশনের কাছে ক্ষমা চেয়ে চিঠি দেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে সবার আগে ক্ষমা পান রানা। তারপর বাকি তিনজন। জাহিদ হোসেন বহিষ্কার আদেশের পর খেলার বাইরে থাকায় জীবিকার তাগিদে বেছে নিয়েছিলেন জুতোর ব্যবসা। জিমি নিউমার্কেটে একটি কাপড়ের দোকান চালাচ্ছেন। পিন্টু কাটান বেকার সময়।
×