ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

শেখ জামালের বিজয় পতাকা উড়লো ভুটানে

প্রকাশিত: ০৪:৩৮, ৩ ডিসেম্বর ২০১৪

শেখ জামালের বিজয় পতাকা উড়লো ভুটানে

রুমেল খান ॥ ‘জামাল তুমনে কামাল কিয়া!’ জামালের দামাল ছেলেরা করল ভুটান জয়। জয় সব সময়ই মধুর। সেটা দেশের বাইরে হলে তো এর গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়। দেশের প্রতিনিধিত্ব করে বাংলাদেশের ফুটবল ক্লাব শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব লিমিটেড বিজয়ের মাসে ভুটানের মাটিতে উড়াল বিজয়-নিশান। মঙ্গলবার দিনটি জামালের জন্য ছিল সত্যিকার অর্থেই মঙ্গলময়। ভুটানে অনুষ্ঠিত ফুটবল আসর ‘কিংস কাপ’-এ প্রথমবারের মতো অংশ নিয়েই বাজিমাত করেছে শেখ জামাল। হয়েছে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন। চানগ্লিমিথাং স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফাইনালে ইয়াসিন খানের গোলে ভারতীয় প্রতিপক্ষ পুনে এফসিকে ১-০ গোলে হারিয়ে শিরোপাটা নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশের এই ক্লাবটি। এর মাধ্যমে সাফ অঞ্চলে নতুন শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব হিসেবে নিজেদের নামটি সুপ্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হলো শেখ জামাল। এ শিরোপা জয়ের মাধ্যমে মৌসুম-সূচক ঘরোয়া আসর ‘ফেডারেশন কাপ’ এর জন্য প্রস্তুতিটা ভালমতোই সেরে নিল মারুফুল হকের শিষ্যরা। মঙ্গলবার ম্যাচ শুরুর আগেই দলের সভাপতি মনজুর কাদের দলের প্লেয়ারদের উজ্জীবিত করতে উপহার দেন ১০ হাজার ডলার পুরস্কার। খেলোয়াড়রা জানবাজি লাগিয়ে খেলে নিরাশ করেননি তাঁকে। গত মৌসুমে প্রায় দশ কোটি টাকা ব্যয়ে দলগঠন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল জামাল। প্রতিটি শিরোপা জেতার প্রত্যয় নিয়ে যাত্রা শুরু করে। সব না হলেও গত মৌসুমে তারা জেতে প্রিমিয়ার লীগ ও ফেডারেশন কাপের শিরোপা। এই টুর্নামেন্টে আসতে জামালের ম্যাচগুলো ছিল এ রকমÑ গ্রুপ পর্বে ভুটানের ড্রুক ইউনাইটেড ক্লাবকে ৩-০ গোলে হারায়, থাই ক্লাব নাখোন রাতচাসিং মাজদার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে ও ভারতের মোহনবাগানের বিপক্ষে ৫-৩ গোলে জেতে। সেমিতে নেপালের মানাং মার্শিংয়াদী ক্লাবকে ২-১ গোলে হারায়। এ টুর্নামেন্টে এবার জামালের সঙ্গে ঢাকা আবাহনীও অংশ নেয় ভুটানের কিংস কাপে। তারাও বিদায় নেয় গ্রুপ পর্ব থেকে। দেশের বাইরে এর আগে ২০১১ সালে নেপালে সাফাল পোখারা কাপ টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছিল শেখ জামাল। ২০১৪ সালে ভারতের কলকাতায় আইএফএ শিল্ড কাপের রানার্সআপ হয় জামাল। কিংস কাপের সুদৃশ্য ট্রফিটি উঁচিয়ে ধরে তাতে চুমু খাবার সৌভাগ্য অর্জন করলেন অধিনায়ক নাসির। নিয়মিত দলনায়ক মামুনুল ইসলাম খেলতে পারেননি কলকাতায় চলমান ‘আইএসএল’-এ এ্যাটলেটিকো ডি কলকাতার হয়ে খেলার কারণে। ফাইনালের আগে নিজ দল জামালের জয় কামনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর সেই স্ট্যাটাসকে ব্যর্থ হতে দেননি হিমেল, ওয়েডসন, এমেকা, রনি, রায়হানরা। তাঁদের এই সম্মিলিত প্রচেষ্টা আর ইতিহাস গড়ার কাহিনী চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বাংলাদেশী ফুটবলপ্রেমীদের কাছে।
×