মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের ভেতরকার ভৌগোলিক দূরত্ব বিশাল, মাঝে কত মহাসাগর-সমুদ্র-নদী-পথ। এই দূরত্ব অতিক্রম করে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ সৃষ্টির বিরুদ্ধে সপ্তম নৌবহর যখন ভারত মহাসাগরের দিকে যাত্রা করেছিল তখন কেউ হয়ত ভাবতেও পারেনি, এই দেশটি সৃষ্টি হওয়ার চার দশক পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এদেশে এসে এদেশেরই মানুষকে গণতন্ত্রের ললিত বাণী শোনাবেন। তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও নিশ্চিতভাবে ভাবেনি যে, বাংলাদেশ নামক কোন স্বাধীন দেশের জন্ম হবে পৃথিবীর মানচিত্রে। সেই সময় যিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের তীব্রতম বিরোধিতা করেছিলেন, সেই হেনরি কিসিঞ্জার এখনও বেঁচেবর্তে আছেন। চিন্তাশক্তি কতটুকু অক্ষত রয়েছে, সেকথা গণমাধ্যম জানায় না। কিন্তু তাঁর সময়কার যত কাগজপত্র ইতিহাসের সাক্ষ্য হয়ে আছে তাতে একথা খুবই স্পষ্ট, কিসিঞ্জার মহাশয় বাংলাদেশের জন্ম প্রক্রিয়া ঠেকাতে যতপরোনাস্তি চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। অতঃপর, তিনি তাতে ব্যর্থ হয়ে তীব্রভাবে লেগেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশ ও তাঁর স্রষ্ট্রা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে। মাত্র চার বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আয়োজনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, হেনরি কিসিঞ্জার ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার ভূমিকা সম্পর্কে এখন আর কোন রাখঢাক নেই। সত্তরের দশকের সেই শেষপ্রান্তে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্রপন্থী, জাতীয়তাবাদী নেতৃত্বকে হত্যার যে নক্সা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও হেনরি কিসিঞ্জারের নেতৃত্বে হয়েছিল তার প্রত্যেকটিতেই তাঁরা সফল হয়েছিল। উদাহরণ হিসেবে চিলির আলেন্দে, বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু এবং কঙ্গোর প্যাট্রিস লুমুম্বা।
সময় বদলেছে, শীতলযুদ্ধ থেমে গেছে (থেমেছে কি?)। এখন যুক্তরাষ্ট্র তার কৌশল বদলেছে। এখন দেশে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার সর্বোত্তম প্রয়াস চলছে। হেনরি কিসিঞ্জার দৃশ্যপটে নেই কিন্তু রয়েছে হিলারি ক্লিনটন কিংবা নিশা দেশাই বিসওয়াল। এখন নতুনতর কৌশল হিসেবে কখনও ধর্মের নামে যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়া, কখনও তেলবাণিজ্যে হস্তক্ষেপ এবং প্রায়শই জাতীয়তাবাদীদের দেশের ভেতরেই অজনপ্রিয় করার জন্য ব্যূহ বেঁধে আক্রমণ। বাংলাদেশ যে এখনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই গণতন্ত্র শিক্ষার তালিকায় প্রথম কাতারেই রয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। যদিও মার্কিনীদের সেই তলাবিহীন ঝুড়ির তত্ত্ব আর খাটে না বাংলাদেশ সম্পর্কে; তার পরও নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব তো বহাল রাখতে হবে, তাই না? কিন্তু, এক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিংবা উন্নত গণতন্ত্রীদের (বেশিরভাগই অর্থশালী, ধনী রাষ্ট্র) যাঁরা এদেশে পাত্তা পাইয়ে দিতে বিশাল ভূমিকা রেখে থাকেন তাঁরা কিন্তু কেউই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক নন, তাঁরা এদেশেরই মানুষ বা বলা ভাল, এদেশেরই বিজ্ঞজন, বিদগ্ধজন। তাঁদের সম্পর্কে দু’চার কথা বলার আগে আসুন বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়ালের সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরের এদিক ওদিক।
তিনি কি আমন্ত্রিত হয়ে এসেছেন?
বাংলাদেশে বহু ধরনের বিদেশী অতিথি প্রতিবছর এসে থাকেন। কিন্তু রাষ্ট্রীয়ভাবে যারা আমন্ত্রিত হয়ে আসেন তাদের নিঃসন্দেহে বলার মতো এবং দেয়ার মতো অনেক কথা থাকে। আমরা উল্লেখ করতে পারি ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং কিংবা নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কথা। তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কিংবা তাঁরা নিজেদেরই প্রয়োজনে এসেছিলেন এদেশে, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অতিথি হয়ে। কিন্তু নিশা দেশাই বিসওয়ালকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কিনা? এ প্রশ্ন কেউ করিনি আমরা। কিন্তু উত্তরটা পেয়ে যাচ্ছি, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফের বক্তব্যে, তিনি বেশ কড়া ভাষায় (খানিকটা কূটনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূতও) তাঁর সমালোচনা করেছেন। শোনা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত প্রার্থী হয়েও নিশা দেশাই তা পাননি। সুতরাং, তাঁকে যে এদেশে আমন্ত্রণ করে সরকার আনেনি, সে কথাটি আমরা স্পষ্ট বুঝতে পারছি। অতএব, আমরা ধরেই নিচ্ছি, তিনি স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই এদেশে এসেছিলেন। এসেছিলেন নেপাল থেকে, সার্ক সম্মেলনে অতিথি হয়ে এসেছিলেন, সেখান থেকেই এখানে এসেছেন। রাষ্ট্রের সঙ্গে তাঁর কাজ থাকলে সেখানেই তাঁর কাউন্টারপার্ট আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি আলাপ সেরে নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা না করে এদেশে এসেছেন এবং দেখা করেছেন অনেকের সঙ্গেই।
কেন তিনি এসেছিলেন?
এই প্রশ্নের উত্তর তিনি নিজেই ভাল দিতে পারবেন কিংবা মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোন প্রেসনোট ইস্যু করা হয়েছিল কিনা সে সম্পর্কে আমার জানা নেই। কিন্তু পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানতে পারি, তিনি এসেছিলেন ৫ জানুয়ারি নির্বাচনোত্তর পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে। এর সত্যতাও জানা নেই। তিনি দেখা করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের সঙ্গে। প্রশ্ন করেছেন, পরবর্তী নির্বাচন কবে হবে? রওশন এরশাদ বলেছেন, ‘ডিউ টাইমে।’ প্রশ্ন হলো, নির্বাচন কবে হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন করার এখতিয়ার তাঁর কতটুকু রয়েছে? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফার্গুসনকা- নিয়ে রওশন এরশাদ যদি তাঁকে পাল্টা প্রশ্ন করতেন যে, এত গণতন্ত্র, সমানাধিকারের ধুয়া তোলেন, তো ফার্গুসনের শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসারটিকে শাস্তি দিচ্ছেন না কেন? নিশা কি উত্তর দিতেন, জানা নেই। কিন্তু নির্বাচন প্রশ্নে রওশন এরশাদ যথার্থ উত্তরটি দিয়েছেন, সন্দেহ নেই। সেখান থেকে তিনি যুত করতে না পেরে গিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়ার কাছে। খুবই ঘরোয়া পরিবেশে নিশা দেশাই বেগম জিয়ার সঙ্গে আলোচনা করেছেন বোঝা গেল। ছবিতে বেগম জিয়াকে বেশ আটপৌরে, ঘরের মানুষ হিসেবেই দেখা গেছে। সেখানে কী কথা হয়েছে তার বিস্তারিত আমাদের জানা নেই। শুধু গণমাধ্যম বলছে, নিশা দেশাইয়ের কাছে বেগম জিয়া নালিশ করেছেন। আমরা বুঝতে পারছি, এ নালিশ কার বিরুদ্ধে। পরদিন কুমিল্লার জনসভায় বেগম জিয়াই তা স্পষ্ট করেছেন। তিনি সবকিছুর জন্য শেখ হাসিনাকে দায়ী করেছেন এবং বলাইবাহুল্য নিশা দেশাইয়ের সামনেও কাঠগড়ায় শেখ হাসিনাকেই তোলা হয়েছিল। বৈঠক পরবর্তীতে উপস্থিত মিডয়াকর্মীদের জানানো হয়, বাংলাদেশ গণতন্ত্র থেকে বিচ্যুত হবে না। খুবই ভাসা ভাসা ভাববাচ্যের বক্তব্য, সন্দেহ নেই। এই বক্তব্য বিএনপির পক্ষ থেকে। কুমিল্লার জনসভায় জামায়াত নেতাকর্মী পরিবেষ্টিত বেগম জিয়া জনগণকে দিচ্ছেন এক ধরনের বার্তা আর তার আগের দিন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী মন্ত্রীর কাছে নিশ্চয়ই দিয়েছেন আরেক বার্তা। জনগণ বুঝেছে, বেগম জিয়া এখনও যুদ্ধাপরাধীদের খপ্পর থেকে বেরুতে পারেননি। তাঁকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য কাজ করছে কারাবন্দী, মৃত্যুদ-প্রাপ্ত রাজাকার নেতৃত্বের রাজনৈতিক শক্তি এবং একবার ক্ষমতায় এলে এই বিচার প্রক্রিয়া তো বন্ধ হবেই, বাকি অনেক ঘটনাই ঘটতে পারে, যা বাংলাদেশ কোনকালেই প্রত্যক্ষ করেনি। অপরদিকে, নিশা দেশাই কেন বেগম জিয়ার সঙ্গে বৈঠকে গণতন্ত্র থেকে বাংলাদেশ বিচ্যুত হবে না বলে বাণী দিলেন, তা বুঝতে হলে আমাদের বেগম জিয়া তথা বিএনপি রাজনীতির মনস্তাত্ত্বিক দিক নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করতে হবে। এখানে সে সুযোগ নেই। কিন্তু আমরা অল্প কথায় এটুকু বলতেই পারি, বেগম জিয়া ও নিশা দেশাইয়ের মধ্যে বাংলাদেশ বিষয়ক আলোচনায় মুখ্য বিষয় ছিল আওয়ামী লীগের হাত থেকে দেশকে উদ্ধার করার বিষয়টি। বিএনপির মতো একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের পক্ষে দশ বছরাধিককাল ক্ষমতার বাইরে থাকা যে নিরাপদ নয়, সেকথা পাগলেও বোঝে। সুতরাং, দল বাঁচাতে হলে বেগম জিয়াকে ক্ষমতায় যেতেই হবে। এখানে তো কেবল দলের প্রশ্ন নয়, নিজেকে কারাদ-ের হাত থেকে, নিজের ছেলেদের শাস্তির হাত থেকে বাঁচাতে এবং সর্বোপরি বিশাল যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠীকে বাঁচাতে ক্ষমতার বিকল্প নেই এই মুহূর্তে আর। কিন্তু কোনভাবেই যে এদেশের বেয়াড়া জনগণকে রাস্তায় নামানো যাচ্ছে না, তারা তো কথাই শুনছে না। সুতরাং, এক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে সহযোগিতা করতে পারে সে বিষয়টি আলোচনায় আসাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। যাহোক, মস্তিষ্কপ্রসূত বাক্যালাপ বাদ দিয়ে যা জানা গেছে তা নিয়ে কথা বলা যাক।
রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ছাড়া আর কে কে নিশার দর্শন পেলেন?
আমরা পত্রিকার সংবাদ থেকে জেনেছি, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসায় একটি অনাড়ম্বরপূর্ণ মধ্যাহ্নভোজে নিশা দেশাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে আমন্ত্রণ পান বাংলাদেশের সুশীল সমাজের কয়েক ব্যক্তিত্ব। তালিকায় রয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিকের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, অধিকারের সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শাহিদুজ্জামান, সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নূর খান লিটন এবং বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস্্ ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট এলিনা খান। বৈঠক শেষে বদিউল আলম মজুমদার নিজেই বলেছেন, ৫ জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচন নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন এবং দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দরকার বলে তিনি নিশা দেশাইকে জানিয়েছেন। খুবই সাধুবাদ পাওয়ার মতো কাজ করেছেন মজুমদার মহাশয়, যা তিনি প্রতিনিয়ত করে থাকেন এদেশেরই টেলিভিশন কিংবা সংবাদপত্রে। প্রশ্ন হলো, মজুমদার মহাশয়ও কি বেগম জিয়ার মতো এদেশের জনগণের ওপর একদমই ভরসা পাচ্ছেন না? নইলে তাঁর মতো এ রকম বিজ্ঞ ও প-িত ব্যক্তি কেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এই আবেদন জানাতে গেলেন? তিনি কি মনে করেন, বাংলাদেশে নির্বাচন করতে হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেই করতে হবে? আমরা মাহফুজউল্লাহ কিংবা আদিলুর রহমান খানের বক্তব্য জানতে পারিনি। কিন্তু আঁচ করতে পারি নিশা দেশাইকে তারা কী বলতে পারেন। কারণ, পত্র-পত্রিকা কিংবা টেলিভিশনে আমরা তাঁদের বক্তব্য হামেশাই শুনে-দেখে থাকি। আমরা ভুলতে পারি না যে, আদিলুর রহমান খান এখনও গত বছর ৫ মে নিহত হাজার হাজার (?) হেফাজত নেতাকর্মীর তালিকা জাতির সামনে উপস্থিত করতে পারেননি অথচ তাঁর দেয়া তথ্যমতেই, এদেশে গণমাধ্যমে প্রকাশ্যে মিথ্যাচার চলছে অনবরত এই অদৃশ্য নিহত হেফাজতকর্মীদের নিয়ে। সুতরাং, আমরা ধরেই নিচ্ছি, নিশা দেশাই আবারও অগণিত হেফাজত নেতাকর্মীর কল্পিত সংখ্যা সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন তাঁর কাছ থেকে। উপস্থিত বাকিদের কথা আর বলতে চাই না। কারণ, তাঁদের সম্পর্কেও আমাদের অজানা কিছু নেই। প্রশ্ন হলো, এখানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থার প্রো বা ইতিবাচক দিকটি তুলে ধরার জন্য কাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল? দেখা যাচ্ছে কেউই ছিলেন না কয়েনের আরেক পিঠ সম্পর্কে বলতে।
সমস্যাটি সেখানেই। বদিউল আলম মজুমদার কিংবা উপস্থিত, অনুপস্থিত যাঁদের কাছ থেকে নিশা দেশাই তথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ বিষয়ে জ্ঞান আহরণ করতে চাইছেন তাঁদের অবস্থান ও মনস্তত্ত্ব নিয়েই যখন প্রশ্ন থেকে যায় তখন নিশা দেশাইয়ের সিদ্ধান্তও যে প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে, তাই না? যদিও নিশা দেশাই সাংবাদিক সম্মেলনে স্পষ্ট করেই বলেছেন, নির্বাচন কখন হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশের জনগণ। যদি এই সত্যটি নিশা দেশাই বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্টতই বুঝে থাকেন তাহলে কেন তিনি আমন্ত্রণ ছাড়াই এদেশে এসেছিলেন, তার একটি সুষ্ঠু ব্যাখ্যা পাওয়া জরুরী। এটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থেই জরুরী। আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে আরও একটুখানি লেখার ইচ্ছে রেখে আজকের মতো শেষ করছি।
১ ডিসেম্বর, ২০১৪
[email protected]
শীর্ষ সংবাদ: