ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এনামুলের ৫ রানের আক্ষেপ

প্রকাশিত: ০৫:২২, ২৭ নভেম্বর ২০১৪

এনামুলের ৫ রানের আক্ষেপ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ তিন অঙ্কের ব্যক্তিগত রানে পৌঁছনোকে ‘ম্যাজিক ফিগার’ বলা হয়ে থাকে। এ ম্যাজিক ফিগারে অহরহই পৌঁছনো যায় না ওয়ানডে ক্রিকেটে। তাই একেবারে দ্বারপ্রান্তে গিয়ে অনেক ব্যাটসম্যানই স্নায়ুচাপে ভোগেন। শেষ পর্যন্ত ‘ম্যাজিক ফিগার’ অর্থাৎ সেঞ্চুরি করাটা সম্ভব হয়নি অনেক ব্যাটসম্যানেরই। নব্বইয়ের ঘরে পৌঁছনোর পরই ব্যাটসম্যানরা একটা ব্যতিক্রমী স্নায়ুবিক চাপে ভুগে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। তাই এটিকে বলা হয় ‘নার্ভাস নাইনটিজ’। ক্যারিয়ারের ২৫তম ওয়ানডে খেলতে নেমে প্রথমবার সেটার শিকার হলেন বাংলাদেশী ওপেনার এনামুল হক বিজয়। বাংলাদেশের পক্ষে একাদশ ব্যাটসম্যান হিসেবে এমন ঘটনার জন্ম দিলেন ত্রয়োদশবারের মতো। এর আগে তিনটি শতক হাঁকিয়েছেন এ তরুণ। বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সফরকারী জিম্বাবুইয়ের বিরুদ্ধে তৃতীয় ওয়ানডেতে মাত্র ৫ রানের জন্য আরেকটি শতক বঞ্চিত হয়েছেন তিনি। এরপরও আক্ষেপ থাকার কথা নয় তাঁর। কারণ ১২০ বলে ৯ চারে ৯৫ রানের ঝকঝকে যে ইনিংসটি উপহার দিয়েছেন তাতে করে দেশের মাটিতে জিম্বাবুইয়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ গড়েছে বাংলাদেশ দল। বাংলাদেশ করেছে ৬ উইকেটে ২৯৭ রান। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে চট্টগ্রামে জিম্বাবুইয়ের বিরুদ্ধে করা ২৮১ রান হয়েছিল সেরা। এবার সেটাকে ছাড়িয়ে গেল বাংলাদেশ। ক্যারিয়ারের মাত্র দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নেমেই শতক হাঁকিয়েছিলেন এনামুল। ২০১২ সালের ২ ডিসেম্বর খুলনায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে খেলেছিলেন ১২০ রানের ম্যাচজয়ী একটি ইনিংস। গত আগস্টেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। এবার জিম্বাবুইয়ের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই দারুণ ব্যাট করে আরেকটি শতকের পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ৮০ রানে গিয়ে থেমেছেন। তবে দলকে জেতানোর জন্য একটি বড় সংগ্রহ গড়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন। ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেন তৃতীয় ওয়ানডেতেও। যদিও শুরুটা বেশ দেখেশুনেই করেছিলেন এনামুল অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবালের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে। গড়ে তোলেন ১২১ রানের জুটি। এটি ছিল উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশের পক্ষে ওয়ানডেতে ১১তম শতরানের জুটি। জিম্বাবুইয়ের বিরুদ্ধেই এ নিয়ে ষষ্ঠবার ওপেনিং জুটিতে শতরান করল বাংলাদেশ দল। তামিম ৪০ রান করে ফিরে গেলেও এনামুল ব্যাট চালিয়ে গেছেন। দ্বিতীয় উইকেটে মুমিনুল হক সৌরভের সঙ্গে আরও ৩৯ রান যোগ করে দলকে একটা ভাল ভিত্তি দিয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে করে ফেলেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় অর্ধশতক। সে জন্য ৬৬ বল খেলেছিলেন তিনি। তবে কিছুটা গতি ধীর হয়ে গিয়েছিলন এনামুলের। মুমিনুল ফিরে যাওয়ার পর আর ক্রিজে থাকতে পারেননি। আউট হয়েছেন একেবারে সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে। ৯৫ রানের সময় তিনি তাফাদজাওয়া কামুনগোজিকে তুলে মারতে গিয়ে মিডউইকেটে তালুবন্দী হন শিঙ্গি মাসাকাদজার। টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েও ব্যর্থ হলেন এ ওপেনার। এর আগে বাংলাদেশের পক্ষে ওয়ানডেতে নার্ভাস নাইনটিজের শিকার ১০ ব্যাটসম্যান।
×