ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা ট্রলারে গণডাকাতি

প্রকাশিত: ০৫:১৯, ২৭ নভেম্বর ২০১৪

বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা ট্রলারে গণডাকাতি

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলার চর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের ১ নম্বর ফেয়ারওয়ে বয়ার কাছে মাছ ধরার সময় ট্রলারে গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার ভোররাত পর্যন্ত জলদস্যু রাজা, ফরহাদ ও আলামীন নামে তিন বাহিনী সংগঠিত হয়ে জেলে বহরে হানা দিয়ে ১০টি ট্রলারসহ বাগেরহাট, শরণখোলা, পারেরহাটের চরখালী, পাথরঘাটা, কক্সবাজার ও বাঁশখালী এলাকা অন্তত ১শ’ জেলেকে মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করেছে। দস্যুরা ২০-২৫টি ট্রলারের জাল কেটে সাগরে ভাসিয়ে দিয়েছে। মাছ, জ্বালানি তেল, মোবাইল সেট, চাল-ডালসহ অন্তত ২ কোটি টাকার মালামাল লুটে নিয়েছে। বুধবার বিকেলে জেলা ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়ন, শরণখোলা মৎস্য সমিতি ও ব্যবসায়ী সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জাতীয় মৎস্য সমিতি শরণখোলা উপজেলার শাখার সভাপতি আবুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মজিবর তালুকদার জেলেদের বরাত দিয়ে জানান, রাজা, ফরহাদ ও আলামীন বাহিনীর শতাধিক দস্যু ৩-৪টি ট্রলাযোগে এসে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোবররাত পর্যন্ত সাগরে ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় তা-ব চালায়। এ সময় বয়ার আশপাশে বিভিন্ন অঞ্চলের শতাধিক ট্রলার মাছ ধরায় নিয়োজিত ছিল। দস্যুরা একে একে ট্রলারগুলোতে হানা দিয়ে প্রত্যেক ট্রলার থেকে একজন করে মাঝি, আহরিত মাছ, জ্বালানি তেল ও মোবাইল সেট তুলে নেয়। কক্সবাজার ও বাঁশখালী এলাকার ১০টি ট্রলার নিয়ে গেছে। পরে ওই দস্যুরা সাগরে পেতে রাখা ২০-২৫টি জাল কেটে সাগরে ভাসিয়ে দেয়। লুটে নেয়া সম্পদ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ২ কোটি টাকারও বেশি হবে। অপহৃত জেলেদের মধ্যে শরণখোলার কামাল মোল্লা, আসাদুল, ফোরকান ও বাবুল মাঝির নাম জানা গেছে। এদিকে বরগুনা জেলা ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল মান্নান জানান, তিনি সাগরে ডাকাতির খবর শুনেছেন। অপহৃতদের মধ্যে তার এলাকার কতজন জেলে রয়েছে তা তিনি জানাতে পারেননি।
×