ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পুুঁজিবাজারে বড় মূলধনী কোম্পানির দরপতন

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ২৫ নভেম্বর ২০১৪

পুুঁজিবাজারে বড় মূলধনী কোম্পানির দরপতন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বড় মূলধনী কোম্পানিগুলোর দরপতনের কারণে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবারও সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা দিয়ে পুঁজিবাজারের লেনদেন শেষ হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি পর্যায়ের সব ধরনের বিনিয়োগকারীর অংশগ্রহণ কিছুটা বাড়লেও সূচকের পতন ঠেকাতে যা পর্যাপ্ত ছিল না। উল্টো জাঙ্ক বা ছোট মূলধনী কোম্পানির চাহিদা বাড়ার দিনে গ্রামীণফোন, স্কয়ার ফার্মার মতো তালিকাভুক্ত বড় কোম্পানি দর হারিয়েছে। বাজার মূলধনের ভিত্তিতে সেরা ২০ কোম্পানির মধ্যে ১৫টিরই দর কমেছে। ফলে বড় ধরনের দরপতন দিয়েই লেনদেন শেষ করেছে প্রধান বাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জ (ডিএসই)। সেখানে ১ দশমিক শতাংশ হারে এই সূচক কমেছে। এক কোটি টাকার বেশি মার্জিন ঋণ গ্রহীতাদের ঋণখেলাপী হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবিতে অন্তর্ভুক্তি ও প্রভিশনের সময় বাড়ানোর দাবিতে জানানোতে কিছুটা বিনিয়োগকারীরা স্নায়ু চাপে রয়েছে বলে বাজারসংশ্লিষ্টরা মনে করলেও কারসাজি চক্রের অশুভ আচরণকেও দায়ী করছেন। তাদের মতে, বাজারে আরও কিছুটা মূল্য সংশোধন হতে পারে এমন গুজব ছড়িয়েও একটি চক্র কম দামে শেয়ার হাতিয়ে নিচ্ছেন। তাই কিছুটা সতর্ক হয়ে কেনা-বেচা করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। সোমবারে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন সামান্য বাড়লেও প্রধান মূল্যসূচক ডিএসই এক্স কমেছে ৬৯ পয়েন্ট। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও সূচকের ব্যাপক পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সোমবার ডিএসইতে ৩৫৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের তুলনায় ৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বা ২ শতাংশ বেশি। রবিবারে ডিএসইতে ৩৪৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসই এক্স ৬৯ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৭৬৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ২৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ১১০ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ৩২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৫৩ পয়েন্টে। ডিএসইতে মোট লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৩০২টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬১টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৯৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪২টির।
×