ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

১৪ ডিসেম্বর জাপানে আগাম নির্বাচন

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ২২ নভেম্বর ২০১৪

১৪ ডিসেম্বর জাপানে আগাম নির্বাচন

জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে শুক্রবার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ভেঙ্গে দিয়ে আগামী ১৪ ডিসেম্বর আগাম নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন। মন্দাবস্থায় পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে তিনি যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছিলেন তার প্রতি জনসমর্থন আছে কী না তা যাচাই করাই এই নির্বাচনের উদ্দেশ্য। খবর ইয়াহু নিউজের। ‘আবেনোমিক্স’ নামে পরিচিতি আবের অর্থনৈতিক নীতির লক্ষ্য অর্থনীতিতে গতি ফিরিয়ে আনা। জাপানের জনগণ এর ওপর পুরোপুরি আস্থা রাখতে পারছে না, আগাম নির্বাচনের ঘোষণা এরই প্রতিফলন। আবে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার দুই বছর পর আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিলেন। মিশ্র মুদ্রানীতি অবলম্বন করে আবে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে চেয়েছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল সরকারী ব্যয়, সংস্কার এবং দেশটির বিশাল পরিমাণ সরকারী ঋণের রাশ টেনে ধরা। কিন্তু অর্থনীতি মন্দাবস্থার দিকে ধাবিত হচ্ছে, এক সপ্তাহ আগে এমন পরিসংখ্যান প্রকাশের পর আবের পরিকল্পনার সাফল্য নিয়ে জনমনে সংশয় দেখা দিয়েছে। পরিসংখ্যানে দেখান হয়েছে, এপিল থেকে ৮ শতাংশ বিক্রয় ধার্য করার পর অর্থ বছরের তৃতীয় কোয়ার্টারে এসে প্রবৃদ্ধির ধারা খাড়া নিম্নমুখী হয়েছে। ‘আমাদের অর্থনৈতিক নীতি কি ভুল? না সঠিক? না এছাড়াও ভাল কোন উপায় রয়েছে? আসুন আমরা সবাই মিলে জয়ী হই ’ এনএইচকে টেলিভিশন আবের এই বক্তব্য প্রচারের পর মন্ত্রিসভার বৈঠকে ১৪ ডিসেম্বর আগাম নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। যদিও সংবিধান অনুযায়ী ২০১৬ সালে পরবর্তী নির্বাচনের কথা ছিল। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বিক্রয় কর আগামী বছর আরও ১০ শতাংশ বাড়ানো হতো তবে আবে এক্ষেত্রে ১৮ মাস বিলম্ব করতে চান বলে জানিয়েছেন। দ্বিতীয় পর্যায়ের কর বৃদ্ধির লক্ষ্য বয়স্ক কল্যাণ কর্মসূচীর বাস্তবায়ন। আবে বলেছেন, ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে তিনি দ্বিতীয় দফা কর বাড়াবেন। জনমত সমীক্ষায় দেখা গেছে, আগাম নির্বাচনের ঘোষণায় ভোটারদের দুই তৃতীয়াংশ বিস্মিত। শুক্রবার সকালে ইউতাকা ওয়াতানাবে একজন মধ্যবয়সী ব্যক্তি জরিপকারীদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘পুরো বিষয়টি তার কাছে অস্পষ্ট এবং কিছুটা হেঁয়ালী মনে হচ্ছে।’ বিশ্লেষকদের মতে, জনপ্রিয়তায় আরও ধস নামার আগেই আবে চাচ্ছেন ক্ষমতার ওপর মুষ্ঠি আরও দৃঢ় করা।
×