ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কেরানীগঞ্জে কমে যাচ্ছে কৃষি জমি

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ২০ নভেম্বর ২০১৪

কেরানীগঞ্জে কমে যাচ্ছে কৃষি জমি

সালাহউদ্দিন মিয়া, কেরানীগঞ্জ ॥ কেরানীগঞ্জ উপজেলায় ধীরে ধীরে কমে আসছে কৃষি জমি। এলাকাটি ড্যাপের আওতায় হলেও নতুন নতুন বসতি আর ভূমিদস্যুদের থাবায় এরই মধ্যে অধিকাংশ কৃষি জমি রূপান্তরিত হয়েছে আবাসিক ভূমিতে। বাদ যাচ্ছে না পতিত জমি, খাল, বিল ও জলাশয়। প্রশাসনের নীরবতায় হাউজিং কোম্পানিগুলো হয়ে উঠছে বেপরোয়া। বাহারি নামে গড়ে ওঠা এসব হাউজিং কোম্পানি একের পর এক জলায়শ ভরাট করে ডেকে আনছে বিপর্যয়। আইন অমান্য করে জমি ভরাট ও অপরিকল্পিতভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ করায় মাঝারি ভূমিকম্পে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জান গেছে, কেরানীগঞ্জ উপজেলায় মোট জমির পরিমাণ ৪১ হাজার ৩শ’ ৪৭ একর। এর মধ্যে কৃষি জমির পরিমাণ ১৬ হাজার ১শ’ ৯৮ হেক্টর ও পতিত জমির পরিমাণ ৭শ’ ৩৫ হেক্টর হলেও বর্তমানে কমে এসেছে কৃষি জমির পরিমাণ। এক সময়ে যে জমিগুলোতে ফলত সোনালি ফসল এখন তাতে রূপ নিচ্ছে বহুতল ভবনে। এরই মধ্যে আবাদি জমি দখল করে সবুজ ছায়া, রাজউকের ঝিলমিল, বসুন্ধরা, জমিদার সিটি, আনোয়ার রিয়েল এস্টেট, সুমনা হাউজিং, সানওয়ে, আদর্শ সিটি, ইকবালনগর, স্টার প্লাস, নবধারা, কিংডম, নিরাপদ সিটি, নিউ ভিশন, সরদার ডেভেলপমেন্ট, প্রিয় প্রাঙ্গণসহ বিভিন্ন নামে গড়ে তোলা হয়েছে অর্ধশতাধিক আবাসিক প্রকল্প। ঢাকার অতি সন্নিকটে ও বুড়িগঙ্গায় একাধিক ব্রিজ হওয়ায় সকলের নজর কেরানীগঞ্জের দিকে। কেরানীগঞ্জে নতুন নতুন বসতিদের জমির চাহিদার কারণে অনেকেই বিভিন্ন ব্যবসা ছেড়ে ঝুঁকে পড়েছেন জমি ব্যবসার দিকে। এ ব্যবসা করে অনেকেই রাতারাতি অঙ্গুল ফুলে কলাগাছে রূপান্তরিত হলেও থেমে নেই জমি জালিয়াতি চক্র। প্রশাসনিক ঝামেলা এড়াতে অনেকেই রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তা ও কথিত সাংবাদিকদের বিনামূল্যে পাট ও প্রদান করেছে। আর কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে হতে হয় ভূমিদস্যু বাহিনীর নিয়োজিত মস্তান বাহিনীর হাতে নাজেহাল। এ বিষয়ে আলাপকালে এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী শেখ তুহিন জানান, ঢাকা জেলার এ উপজেলাটিকে সরকার ড্যাপের আওতায় নিলেও সে আইন মানছে না কেউ। সেই সঙ্গে নেই রাজউকের নজরদারি। যার কারণে বেপরোয়া আবাসিক কোম্পানিগুলো।
×