ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

দ্রুতগতিতে রায় লেখা চলছে

কামারুজ্জামানের সব কিছু শেষ করতে লাগবে ॥ তিন সপ্তাহ

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ১৪ নভেম্বর ২০১৪

কামারুজ্জামানের সব কিছু শেষ করতে লাগবে ॥ তিন সপ্তাহ

আরাফাত মুন্না ॥ একাত্তরের মানবতাবিরোধী কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী মৃত্যুদ-প্রাপ্ত জামায়াত নেতা মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের দ- কার্যকরে সুপ্রীমকোর্টের রায়ের সংক্ষিপ্ত নয় পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিই পাঠানো হতে পারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। সেই লক্ষ্যে দ্রুত গতিতে এই রায় লেখা চলছে। আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে এই রায় লেখা শেষ হতে পারে। সুপ্রীমকোর্টের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জনকণ্ঠকে এ কথাগুলো জানিয়েছে। সূত্রটি জানায়, গত ৩ নবেম্বর রায় ঘোষণার দু’-একদিন পর থেকেই এ রায় লেখা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমও কামারুজ্জামানকে মৃত্যুদ- দিয়ে আপীল বিভাগের দেয়া পূর্ণাঙ্গ রায়ই ট্রাইব্যুনালে যাবে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেছিলেন, আপীল বিভাগ যেহেতু এখনও সংক্ষিপ্ত আদেশের কপি ট্রাইব্যুনালে পাঠায়নি, সেহেতু হয়ত পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপিই পাঠাবে। এর আগে যুদ্ধাপরাধের প্রথম আপীল নিষ্পত্তি করে সুপ্রীমকোর্ট জামায়াত নেতা কাদের মোল্লাকে মৃত্যুদ- দিয়েছিল। সেই রায়েরও পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিই পাঠানো হয়েছিল ট্রাইব্যুনালে। সেই রায়ের ভিত্তিতেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে এবং তার মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়। গত ৩ নবেম্বর সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপীল বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে কামারুজ্জামানকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদ- বহাল রাখেন। বেঞ্চের অপর তিন বিচারপতি হলেন বিচারপতি মোঃ আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। সংক্ষিপ্ত রায় ঘোষণার সময় আদালত বলে, সর্বসম্মতিক্রম কামারুজ্জামানকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে কামারুজ্জামানকে মৃত্যুদ- প্রদান করা হলো। রায় ঘোষণার পর এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কামারুজ্জামানের ফাঁসি দ্রুতই কার্যকর হয়ে যাবে বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। একই সঙ্গে রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করা যাবে কি যাবে না সে বিষয়টি নিয়েও নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়। এর আগে জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার রায়ের পরেই এই রিভিউ আবেদন নিয়ে বিতর্কের শুরু হয়। ওই সময় সুপ্রীমকোর্ট কাদের মোল্লা রিভিউ সংক্রান্ত দুটি আবেদন খারিজ করে নিষ্পত্তি করে দেয়। তবে রিভিউ করা যাবে কি যাবে না সে বিষয়ে কোন মত দেয়নি। আপীল বিভাগ ওই সময় এ বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আদেশ দেয়। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন ওই আদেশের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পাওয়া গেলেই রিভিউ সংক্রান্ত জটিলতার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে। তবে এ বিষয়ে এ্যাটর্নি জেনারেলসহ আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন সংবিধান অনুযায়ী এই যুদ্ধাপরাধীরা সংবিধানের অপর অনুচ্ছেদের রিভিউ আবেদনের সংক্রান্ত সুযোগ নিতে পারবে না। তবে কামারুজ্জামানের পরিবার এবং আইনজীবীরা দাবি করছে তারা সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রিভিউ আবেদন দায়ের করতে পারবে। তবে এ্যাটর্নি জেনারেলের যুক্তি সংবিধানের ৪৭(ক) অনুচ্ছেদ অনুসারে কোন যুদ্ধাপরাধী রিভিউ করার সুযোগ পাবে না। সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘সংসদের যে কোন আইনের বিধানাবলীসাপেক্ষে এবং আপীল বিভাগ কর্তৃক প্রণীত যে কোন বিধিসাপেক্ষে আপীল বিভাগের কোন ঘোষিত রায় বা প্রদত্ত আদেশ পুনর্বিবেচনার ক্ষমতা উক্ত বিভাগের থাকবে।’ আবার সংবিধানের ৪৭ক-এর (২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘এই সংবিধানে যাহা বলা হয়েছে, তাহা সত্ত্বেও যে ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই সংবিধানের ৪৭ অনুচ্ছেদের (৩) দফায় বর্ণিত কোন আইন প্রযোজ্য হয়, এই সংবিধানের অধীন কোন প্রতিকারের জন্য সুপ্রীমকোর্টে আবেদন করিবার কোন অধিকার সেই ব্যক্তির থাকিবে না।’ ৪৭ অনুচ্ছেদের ৩ দফায় বলা হয়েছে, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ ও আন্তর্জাতিক আইনের অধীন অন্যান্য অপরাধের জন্য কোন সশস্ত্র বাহিনী বা প্রতিরক্ষা বাহিনী বা সহায়ক বাহিনীর সদস্য (বা অন্য কোন ব্যক্তি, ব্যক্তি সমষ্টি বা সংগঠন) কিংবা যুদ্ধবন্দীকে আটক, ফৌজদারিতে সোপর্দ কিংবা দ-দান করিবার বিধান-সংবলিত কোন আইন বা আইনের বিধান এই সংবিধানের কোন বিধানের সঙ্গে অসামঞ্জস্য বা তার পরিপন্থী, এই কারণে বাতিল বা বেআইনী বলে গণ্য হবে না কিংবা কখনও বাতিল বা বেআইনী হয়েছে বলে গণ্য হবে না। সর্বশেষ আইনমন্ত্রী গত শনিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, আপীল বিভাগের রায়ের অনুলিপি কারাগারে না পৌঁছানো পর্যন্ত তার ফাঁসি কার্যকর করা হবে না এবং গত রবিবার নিজ কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, যখন ট্রাইব্যুনাল কামারুজ্জামানের মৃত্যুদ- সংক্রান্ত আপীল বিভাগের আদেশের কপি পাবে, তখনই তারা মৃত্যু পরোয়ানা জারি করবে। কারাগারে সেটা যাবে। তখন আসামিকে জানানো হবে যে, আপনার দ- বহাল রয়েছে এবং পরোয়ানা এসে গেছে। এরপর সরকারের আদেশে ফাঁসি কার্যকর হবে। আইনমন্ত্রী ও এ্যাটর্নি জেনারেলের এসব বক্তব্যের মাধ্যমে কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর করতে আপীল বিভাগের রায়ের অনুলিপি ট্রাইব্যুনালে (বিচারিক আদালত) পৌঁছাতে হবে, তা স্পষ্টভাবেই বোঝা যায়। গত বছরের ৯ মে কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আনা সাতটি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদ-সহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন ট্রাইব্যুনাল। ওই রায়ের বিরুদ্ধে কামারুজ্জামান আপীল করেন। আপীল বিভাগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর উভয় পক্ষের শুনানি শেষে রায়টি সিএভি (রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ) রেখেছিল সুপ্রীমকোর্ট। এরপর গত ৩ নবেম্বর আপীল বিভাগ চূড়ান্ত রায়ে ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদ-ই বহাল রাখে। মাত্র কয়েক মিনিটে দেয়া আপীল বিভাগের এই সংক্ষিপ্ত রায়ে আসামি কামারুজ্জামানের আপীল আংশিক মঞ্জুর করা হয়। সর্বসম্মতিক্রমে বেঞ্চের চার বিচারপতিই কামারুজ্জামনকে দোষী সাব্যস্ত করলেও এক বিচারপতি তাকে মৃত্যুদ- না দিয়ে ভিন্ন সাজা দেন। তাই সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে মৃত্যুদ-ের রায় আসে। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আনা এক নম্বর অভিযোগ একাত্তরে বদিউজ্জামানকে হত্যার দায়ে ট্রাইব্যুনাল যাবজ্জীবন দ- দিলেও আপীল বিভাগ খালাস দিয়েছে। দ্বিতীয় অভিযোগে শেরপুর কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ আবদুল হান্নানকে অমানবিক নির্যাতনের দায়ে ট্রাইব্যুনালের দেয়া ১০ বছরের সাজা বহাল রয়েছে। তৃতীয় অভিযোগে সোহাগপুর গ্রামে (বর্তমানে বিধবাপল্লীতে) গণহত্যা ও নারী ধর্ষণের দায়ে ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদ- বহাল রয়েছে। চতুর্থ অভিযোগে গোলাম মোস্তফাকে হত্যার দায়ে ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদ-ের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন করা হয়েছে। সপ্তম অভিযোগে দারা ও টেপা মিয়াকে অপহরণ এবং পরে দারাকে হত্যার দায়ে ট্রাইব্যুনালের দেয়া যাবজ্জীবন কারাদ- আপীল বিভাগও তার রায়ে বহাল রেখেছে। এখন এই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পাওয়া গেলে তা পাঠানো হবে ট্রাইব্যুনালে। এরপর ট্রাইব্যুনাল ওই রায়ের ওপর ভিত্তি করেই কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করবে। এর আগে যেমনটি করা হয়েছিল জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে। গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর আপীল বিভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতির মতামতের ভিত্তিতে কাদের মোল্লাকে মৃত্যুদ- দেন। প্রায় আড়াই মাসেরও বেশি সময় পর ৫ ডিসেম্বর আপীল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। ওই রায়ে কাদের মোল্লাকে ফাঁসি দেয়ার পক্ষে একমত ছিলেন না বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা। রায়ের কপি প্রকাশের পর ৮ ডিসেম্বর সেটি ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। এরপর ট্রাইব্যুনাল সেদিনই কাদের মোল্লার মৃত্যুপরোয়ানা জারি করে আদেশটি ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠায়। রায়ের কপি হাতে পেয়েই তার ফাঁসি কার্যকর করার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হয়। এক্ষেত্রে তখন জেল কোড অনুযায়ী রায়ের কপি হাতে পাওয়ার ২১ দিনের আগে নয় ও ২৮ দিনের পরে নয় যে বিধান রয়েছে তা অনুসরণ না করেই ফাঁসি কার্যকর করার উদ্যোগ নেয়া হয়। সরকারের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়েছিল, মানবতাবিরোধী অপরাধীদের জন্য জেল কোডে প্রদত্ত সুবিধা প্রযোজ্য হবে না। কিন্তু রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করতে আসামিপক্ষের উদ্যোগের প্রেক্ষাপটে চেম্বার জজ ১০ ডিসেম্বরে ফাঁসির আদেশ স্থগিত করেছিলেন। কাদের মোল্লার পক্ষে রিভিউ সংক্রান্ত দুটি আবেদন দায়ের করা হয়েছিল আপীল বিভাগে। এর একটি ছিল রিভিউ গ্রহণযোগ্য হবে কি হবে না এবং অন্যটি ছিল তার মূল রিভিউ আবেদন। এই দুই আবেদনেরই শুনানি করে ১২ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি কেবল ঘোষণা দেন যে, বোথ দ্য ক্রিমিনাল রিভিউ পিটিশনস আর ডিসমিসড। রিভিউ আবেদন খারিজের দিন রাতেই কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। কিন্তু রিভিউ আবেদন কী কারণে খারিজ হয়েছে তা স্পষ্ট করেনি আপীল বিভাগ। কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করার অভিজ্ঞতা থেকে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রায়ের কপি প্রকাশের পর ট্রাইব্যুনাল মৃত্যু পরোয়ানা জারি করলে বাকি প্রক্রিয়া শেষ হতে সর্বোচ্চ এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। সে অনুযায়ী আগামী ডিসেম্বরের যে কোন সময় তার ফাঁসি কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রায় কার্যকরের আইনী প্রক্রিয়া ॥ রায় কার্যকর করতে নিয়মানুযায়ী, আপীল আদালতের রায় ও আদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পৌঁছানোর পর ট্রাইব্যুনাল আসামির বিরুদ্ধে মৃত্যুপরোয়ানা জারি করবে। ওই পরোয়ানা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে কারাগারে পাঠাতে হবে। কারা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দ-প্রাপ্ত আসামিকে পড়ে শোনাবে। কারা বিধির ৯৯১ ধারার ৩ উপবিধিতে বলা হয়েছে, দ-প্রাপ্ত আসামি ইচ্ছা করলে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে পারবেন। তবে সাত দিনের মধ্যে ক্ষমার আবেদন করতে হবে। ৫ উপবিধিতে বলা হয়েছে, সাত দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমার আবেদন না করলেও পরবর্তী ১৪ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ২১ দিনের মধ্যে যে কোন দিন রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করার সুযোগ পাবেন আসামি। এরপর রাষ্ট্রপতির নেয়া সিদ্ধান্ত না পৌঁছানো পর্যন্ত কারা কর্তৃপক্ষ ফাঁসি কার্যকর করতে পারবে না। কারাবিধির ৯৯১তে বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কারা কর্তৃপক্ষ আসামির প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে সেটি রাষ্ট্রপতির কাছে উপস্থাপন করবে। ফলাফল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ই আবার কারা কর্তৃপক্ষকে জানাবে। তবে আসামী যদি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে রাজি না থাকে তাহলে যে কোন দিনই দ- কার্যকর করা যাবে। আইনজ্ঞরা বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সরকার চাইলে যে কোনভাবেই দ- কার্যকর করতে পারবেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালস আইনের ২০ (৩) ধারা সরকারকে এই ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে সরকার চাইলে জেলকোড অনুসরণ না করেও দ- কার্যকর করতে পারবে।
×