ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রভাব বাড়াচ্ছে জাপান

প্রকাশিত: ০৪:৪৩, ১৩ নভেম্বর ২০১৪

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রভাব বাড়াচ্ছে জাপান

বেজিংয়ের এ্যাপেক শীর্ষ সম্মেলনের পর জাপানের প্রধানমন্ত্রী আবে শিনজো ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আলোচনার জন্য বুধবার মিয়ানমার পৌঁছেছেন। জাপান মিয়ানমারের এক অর্থনৈতিক এলাকায় অর্থ ও প্রভাব খাটাচ্ছে। চীন একে তার প্রভাব রোধ করার প্রয়াস হিসেবে অভিহিত করছে। অন্যরা একে সহযোগিতার দৃষ্টান্ত বলে অভিহিত করছেন। মিয়ানমার সরকার যখন গত বছর জোট থানলিন শহরের ধানচাষীদের তাদের জমি ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়, তখন তাদের করার মতো তেমন কিছুই ছিল না। কাজেই স্থানীয় বাসিন্দা মাইয়া লেইং ও অন্য দু’জন অপ্রত্যাশিত গন্তব্যস্থল টোকিওতে গিয়ে নালিশ করলেন। কারণ থিলাওয়া নামে অভিহিত এক নতুন বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের পথ সুগম করতেই ঐ জমি চাওয়া হয় এবং থিলাওয়া মিয়ানমারে জাপানের নতুন উদ্যোগের প্রবেশপথে পরিবর্তিত হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রাজকীয় বাহিনী এশিয়া দখলের মিশন হিসেবে থাই সীমান্ত পেরিয়ে ব্রিটিশশাসিত মিয়ানমার সাময়িকভাবে দখল করেছিল। এর প্রায় ৭২ বছর পর জাপান মিয়ানমারের ব্যাংকিং থেকে টেলিকম পর্যন্ত প্রত্যেক ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ যিনি প্রত্যেক ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ তিনি যোগকারী হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। মিয়ানমারের সামাজিক শাসন থেকে এক নতুন আধা বেসামরিক শাসনে উত্তরণের তিন বছর হলো। জান্তার শাসনামলের পর অর্থনৈতিক সাফল্য খুঁজতে গিয়ে জাপানও নতুন সরকারের অংশীদার হিসাবে কাজ করছে। এখনও পর্যন্ত সেই সাফল্য সৃষ্টির আগোচরেই রয়ে গেছে। অধিকন্তু আবে ও ওবামা চীনের প্রভাব ক্ষুণœ করার অভিন্ন স্বার্থের অংশীদার। বেজিং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সামরিক গুরুত্বপূর্ণ ভূখ- মিয়ানমারের ওপর দু’দশক ধরে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা চলার সময় দেশটির পৃষ্ঠপোষক ছিল। চীনা প্রভাব হ্রাস পেতে থাকলেও তা এখনও বিদ্যমান। মিয়ানমারে জাপানের এভাবে জড়িত হওয়ার ফলাফল যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও প্রাসঙ্গিক হতে পারে। প্রেসিডেন্ট ওবামা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন মিয়ানমারে আধা বেসামরিক শাসনে উত্তরণকে পররাষ্ট্র নীতির বড় রকমের সাফল্য বলে গণ্য করলেও মিয়ানমারে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ নামমাত্রই রয়ে গেছে। এর পরিবর্তে জাপান দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুরই মিয়ানমারে ঠিক এখন প্রধান বিনিয়োগকারী। বিশেষত জাপানি বিনিয়োগকারীরা কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের আঘাত বা বেজিংয়ের সঙ্গে উত্তেজনার কারণে চীন থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হলে সেক্ষেত্রে মিয়ানমারকেই এক বিকল্প স্থান হিসেবে দেখছেন। বস্তুত বেজিংয়ের কর্মকর্তা জাপানের প্রয়াসকে চীনের প্রভাব রোধ করার মার্কিন কৌশলের অংশ হিসাবেই দেখছেন। ক্রিশ্চিয়ান সায়েন্স মনিটর
×