ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইবোলা উপদ্রুত দেশে মাতৃমৃত্যু হার ২০ গুণ বেড়ে যেতে পারে

প্রকাশিত: ০৪:২১, ১২ নভেম্বর ২০১৪

ইবোলা উপদ্রুত দেশে মাতৃমৃত্যু হার ২০ গুণ বেড়ে যেতে পারে

পশ্চিম আফ্রিকার ইবোলা উপদ্রুত দেশ সিয়েরা লিওন, লাইবেরিয়া ও গিনিতে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় মাতৃমৃত্যুর হার ২০গুণ বেড়ে যেতে পারে। এই দেশগুলোতে প্রতি সাত জনে একজন নারী গর্ভবতী অবস্থায় ও সন্তান জন্মদানের সময় মারা যেতে পারে। কারণ দেশগুলোর হাসপাতালের অবস্থা খুবই করুণ। যুক্তরাজ্য ভিত্তিক দাতব্য সংস্থা ডিজেস্টার এমার্জেন্সি কমিটি (ডিইসি) এ কথা জানিয়েছে। খবর টেলিগ্রাফ অনলাইনের। ইবোলা মহামারীর আগে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মাতৃমৃত্যুর হার ছিল সিয়েরা লিওন, লাইবেরিয়া ও গিনিতে। তবে অবস্থার বেশ উন্নতি হচ্ছিল। গর্ভবতী নারীরা সন্তান জন্ম দেয়ার সময় স্বাস্থ্যসেবা, দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী ও ধাত্রী বিনামূল্যে পেত। কিন্তু বর্তমানে হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর সেবা ব্যবস্থা এই ভয়াবহ মহামারীর চাপে ভেঙে পড়েছে। অনেকগুলো শুধুমাত্র ইবোলা চিকিৎসা কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। অপরদিকে এই রোগ ঘিরে নানা ভয়ভীতির কারণে অনেক গর্ভবতী নারী হাসপাতালে যেতে ভয় পায়। এর ফলে তাদের জন্মদানপূর্ব সম্ভাব্য সমস্যার চিকিৎসার সম্ভাবনাও কমে যাচ্ছে। ডিইসি বলেছে, এই অবস্থার নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে মৃত্যুহার অনেক বেড়ে যাবে। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল বলেছে, আগামী ১২ মাসের মধ্যে ওই তিন দেশের আনুমানিক আট লাখ নারী সন্তান জন্ম দেবে। তাদের মধ্যে এক লাখ ২০ হাজার নারী বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। এই সময়ে যদি তারা বিশেষ চিকিৎসা সেবা না পায়, তাহলে তাদের মৃত্যু হতে পারে। যদি কেউই সেবা না পায় তাহলে মাতৃমৃত্যুর হার হবে ১৫ শতাংশ। যা বর্তমানের চেয়ে ২০ গুণ বেশি। আরেকটি আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা এ্যাকশনএইডের লাইরেবিয়া প্রধান কোর্টো ইউলিয়ামস বলেছেন, সন্তান জন্ম দেয়ার সময় প্রতি সাতজনে একজন নারী মারা যেতে পারে। কারণ ইবোলার জন্য এই দেশগুলোর হাসপাতালের অবস্থা খুবই খারাপ। তবে আমরা জানতে পেরেছি অনেক নারী একাকীই সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন। লোকজন তাদের কাছে যেতে ভয় পায় কারণ তারা ইবোলা আক্রান্ত। আর চিকিৎসার অভাবে ওই নারীরা মারা যাচ্ছেন।
×