ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চাঁপাইয়ের মাহিদুর ও আফসারকে হাজির করার নির্দেশ

প্রকাশিত: ০৪:৫৮, ১১ নভেম্বর ২০১৪

চাঁপাইয়ের মাহিদুর ও আফসারকে হাজির করার নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত চাঁপাইনবাবগঞ্জের মাহিদুর রহমান ও আফসার হোসেন ওরফে চুটুকে ১৬ এপ্রিল ট্রাইব্যুনালে হাজির করার জন্য জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। একই মামলায় পলাতক আসামি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের ২১ তম সাক্ষী কেশব চন্দ্র বিশ্বাস জবানবন্দী দিয়েছেন। জবানবন্দীতে তিনি বলেছেন, জব্বার নিজ হাতে পিস্তল দিয়ে আমাদের গ্রামের সখা নাথ খরাতীকে গুলি করে হত্যা করে। জবানবন্দী শেষে সাক্ষীকে জেরা করেন রাষ্ট্র নিয়োজিত আইনজীবী। আজ নতুন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির আব্দুস সুবহানের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের যুক্তিতর্ক অব্যাহত রয়েছে। আজ আবারও প্রসিকিউশন পক্ষ তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন। সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ ও ২ এ আদেশগুলো প্রদান করেছেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের মামলায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুই ‘রাজাকার’ মাহিদুর রহমান ও আফসার হোসেন চুটুকে আগামী ১৬ নবেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রসিকিউশনের এক আবেদনের প্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ প্রদান করেছেন। প্রসিকিউশনের পক্ষে এই দুই ‘রাজাকারকে’ গ্রেফতারের জন্য আবেদন করেন প্রসিকিউটর সাহিদুর রহমান। তাঁরা দু’জন অপর একটি ফৌজদারি মামলায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের কারাগারে আটক ছিলেন। সম্প্রতি তাঁরা জামিন পেলেও মুক্তি পাননি। চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান শাহীনের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ আদেশ প্রদান করেছেন। ট্রাইব্যুনালে অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি মোঃ মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মোঃ শাহিনুর ইসলাম। উল্লেখ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জের মাহিদুর রহমান ও আফসার হোসেন ওরফে চুটুর বিরুদ্ধে তদন্ত সংস্থা ২৭ অক্টোবর চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা গণহত্যা লুটপাটসহ মোট তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে। আব্দুল জব্বার ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত পলাতক আসামি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের জবানবন্দী অব্যাহত রয়েছে। আজ নতুন সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সোমবার এ আদেশ প্রদান করেছেন। ট্রাইব্যুনালে অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক। জবানবন্দীতে সাক্ষী বলেন, আমার নাম কেশব চন্দ্র বিশ্বাস। আমার বর্তমান বয়স আনুমানিক ৬৬ বছর। আমার ঠিকানা গ্রাম-নলী, থানা-মঠবাড়িয়া, জেলা-পিরোজপুর। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার বয়স ছিল আনুমানিক ২৪ বছর। তখন আমি বাগেরহাট পিসি কলেজের ছাত্র ছিলাম। বর্তমানে আমি কৃষি কাজ করি। ২২ মে (৭ জ্যৈষ্ঠ শনিবার) সকাল আনুমানিক নয়টার দিকে আসামি আব্দুল জব্বারসহ রাজাকার বাহিনী আমাদের গ্রামে আসে। আসামি নিজ পিস্তল দিয়ে আমাদের গ্রামের সখা নাথ খরাতীকে গুলি করে হত্যা করে। আসামির নির্দেশে রাজাকার নূর হোসেন তার হাতে রাইফেল দিয়ে আমার জ্যাঠা নিশি কান্ত বিশ্বাসকে গুলি করে হত্যা করে। এছাড়া আসামি জব্বার ও তার রজাকার বাহিনীর এলোপাতাড়ি গুলিতে গ্রামের আরও ১১ জন নিহত হন।
×