ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

২০২১ সালে রফতানি বাণিজ্য হবে ৫০ বিলিয়ন ডলার

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ১০ নভেম্বর ২০১৪

২০২১ সালে রফতানি বাণিজ্য হবে ৫০ বিলিয়ন ডলার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশের রফতানি বাণিজ্য হবে ৫০ বিলিয়ন ডলার। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। তিনি বলেন, দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য নারীরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছেন। সরকার নারীদের উন্নয়নে বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে। এর ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সরকার এজন্য সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাবে। মন্ত্রী রবিবার চট্টগ্রাম রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ড মাঠে চিটাগাং উইমেন চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে এবং রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই), শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এসএমই ফাউন্ডেশন ও জুট ডাইভার্সিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের সহযোগিতায় মাসব্যাপী ‘৮ম ইন্টারন্যাশনাল উইমেনস এসএমই এক্সপো বাংলাদেশ ২০১৪’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, শূন্যহাতে যাত্রা শুরু করে আজ বাংলাদেশের রফতানি ৩০.১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি এবং রেমিটেন্স ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশের সকল অর্থনৈতিক সূচক এখন উর্ধগামী। অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। বিশ্বে এখন বাংলাদেশ মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। সরকার ৮টি ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে দুইটি চট্টগ্রামে হবে। একটি মিরেরশরাই এবং একটি আনোয়ারায় হবে। অর্থনৈতিকভাবে চট্টগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তোফায়েল আহমেদ বলেন, এক সময় দেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের খাদ্যের অভাব ছিল। আজ দেশে প্রায় ১৬ কোটি মানুষ, খাদ্যের কোন অভাব নেই। আমরা এখন চাল রফতানি শুরু করেছি। বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি নয়। আমেরিকার নীতি নির্ধারকগণ এখন বলেন, বাংলাদেশ এখন ‘মিরাকেল’। এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করা হবে। এর ফলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। উল্লেখ্য, মাসব্যাপী এ মেলায় ৩শ’টি স্টল, ২০টি প্যাভিলিয়ন রয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মেলায় প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ টাকা। মেলায় বাংলাদেশের পাশাপাশি ইরান, পাকিস্তান ও ভারতের উদ্যোক্তাগণ অংশ নিচ্ছেন। চিটাগাং উইমেন চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট মিসেস কামরুন মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়কমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এমপি এবং এফবিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মেহেজাবিন মোরশেদ এমপি, ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি, এফবিসিসিআই-এর প্রথম সহ-সভাপতি ও চিটাগাং উইমেন চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট মনোয়ারা হাকিম আলী ও এফবিসিসিআই-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট হেলাল উদ্দিন।
×