ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মমতাজ লতিফ

ফল বিপর্যয় মাদ্রাসা ছাত্রের বিরল কৃতিত্ব!

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ১০ নভেম্বর ২০১৪

ফল বিপর্যয় মাদ্রাসা ছাত্রের বিরল কৃতিত্ব!

এবার এমন একটা বিষয় নিয়ে লিখছি যা নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি দেশসুদ্ধ তরুণ-প্রৌঢ় সব বয়সের মানুষকে বিস্মিত করবে। এমন কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা এ বছর বিভিন্ন সাধারণ শিক্ষাধারার স্কুল-কলেজ থেকে পাস করে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছিল তাদেরও বিস্ময়ে বিমূঢ় করবে এ আমি নিশ্চিত করেই বলতে পারিÑ কোন একটি খবরের কাগজের প্রতিবেদন থেকে একটি সংবাদ পাঠ করে জানলামÑ এ বছরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় বিতর্কিত ফল বিপর্যয় হলেও, এই বিতর্কের অন্তরালে ঘটে গেছে একটি অদ্ভুত ঘটনা! একটি মাদ্রাসা যার নাম তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা। বিস্ময়কর হলেও সত্য যে, সে মাদ্রাসা থেকে পাস করা দু’জন ছাত্রের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘খ’ ইউনিট ও ‘ঘ’ ইউনিট দু’টোতেই প্রথম স্থান অধিকার করেছে! অপরজন ‘ঘ’ ইউনিটে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে! প্রথমেই সংবাদটি সঠিক নয় বলে মনে হয়েছিল কিন্তু সেই প্রতিবেদনে আরও তথ্য জেনে বিস্ময়ে স্তম্ভিত হলাম এই জেনে যে, যে মাদ্রাসা ছাত্রটি ‘খ’ এবং ‘ঘ’ দুই ইউনিটেই প্রথম হয়েছে, সে মাদ্রাসা ছাত্রের জন্য আরও বিস্ময়করভাবে ইংরেজীতে যেখানে মাত্র দু’জন ছাত্র পাস করেছে, সে হচ্ছে সে দু’জনের একজন! সে প্রতিবেদককে দুঃখ করে জানিয়েছে যে, যদিও সে ইংরেজীতে পাস মার্ক পেয়েছে এবং তার ভর্তি পরীক্ষার ফল যাই হোক না কেন সে ইংরেজী, অর্থনীতি, সমাজবিজ্ঞানসহ অনেক ভাল ভাল বিষয়ে ভর্তি হতে পারবে না। সে আরও বলেছে, সভ্য দেশে এ ধরনের বৈষম্য কিভাবে থাকে সে বুঝতে পারে না! পাঠক, নিশ্চয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদ্রাসা ছাত্রের দুই ইউনিটে প্রথম স্থান লাভের খবর শুনে চমকে উঠেছেন। পত্রিকায় এ সংবাদ পাঠ করে কতগুলো প্রশ্ন আমার মনে কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। আশা করি পাঠকদের মধ্যেও আমার মতোই প্রশ্ন দোলা দিচ্ছে। যেমন- ১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাদ্রাসা নামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে বর্তমান আছে। মাদ্রাসা শিক্ষার শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম, পাঠ্য বিষয়, পদ্ধতিÑ সব যেহেতু সাধারণ শিক্ষার পাশে তুলনায় যথেষ্ট পৃথক, বলা চলে ‘বৈষম্যপূর্ণ’, সেক্ষেত্রে মাদ্রাসা শিক্ষার শিক্ষার্থীদের জন্য মাদ্রাসাতেই কামিল বা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের রীতি-প্রথা প্রচলিত ছিল এই কিছুদিন আগেও। আগে অনেকে ভারতের আলীগড় বা পাকিস্তানেও ধর্ম শিক্ষায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছে। বর্তমানে অনেকের হাতে ধন-সম্পদ বেড়েছে, তারা মধ্যপ্রাচ্যের সৌদী আরবে বা মিসরেও পড়তে যাচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে- আগে, ধরা যাক, জিপিএ ফাইভ শুরু হওয়ার সময় থেকে ২০১৩ পর্যন্ত কোন মাদ্রাসা ছাত্রকে কেন কখনও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্স্ট কেন উচ্চ নম্বর পেয়ে পাস করতে দেখা যায়নি? একটি মাদ্রাসায় হঠাৎ গত বছরেও ভর্তি পরীক্ষায় কোন মাদ্রাসা ছাত্র, ধরা যাক তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা থেকে প্রথম বা মেধাস্থান দখল করতে দেখা গেল না কেন? এক বছরে এমন মেধা বিস্ফোরণ ঘটা এক কথায় অবিশ্বাস্য এবং বাস্তবসম্মত হওয়া কি সম্ভব? কোন একটি প্রতিষ্ঠানের লেখাপড়ার মান যেমন এক বছরে হঠাৎ বাড়ে না, তেমনি এক বছরে হঠাৎ নেমেও যায় না, তাই নয় কি? এটি এ মাদ্রাসার ক্ষেত্রে কিভাবে হলো? ২. সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের মধ্যে রাজনীতির চর্চা থাকবে যা স্বাভাবিক, কিন্তু বর্তমানে এই শিক্ষক রাজনীতি এবং ছাত্র রাজনীতি এমন প্রবলরূপ ধারণ করেছে যে রাজনীতি মেধা, যোগ্যতাকে অতিক্রম করে এমন প্রাধান্য বিস্তার করেছে যে একটি প্রতিষ্ঠানের গুণগতমান বিনষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে! এখানে স্মরণ করতে হবে সাবেক সেনাশাসক জিয়াউর রহমানের ইচ্ছায় মেধাবী ছাত্রদের যখন সন্ত্রাস ক্যাডারে পরিণত করা হলো, তখন হলে হলে, গ্রুপে গ্রুপে সংঘর্ষ লাগিয়ে দিয়ে পড়াশোনা, মেধা ও মেধাবীদের মুক্তিযোদ্ধাদের মতোই সমাজে অকিঞ্চিৎকর করে তুলেছিল! তার পরপরই যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবির রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে ক্রমশ তাদের সশস্ত্র দলের দুর্গে পরিণত করেছিল! স্মর্তব্যÑ এই ক্যাডাররা সাধারণ শিক্ষা থেকে আগত। এরাই ‘৭৫ পরবর্তী সময়ের জিয়া কর্তৃক সূচিত, এরশাদ, খালেদা, তারেক কর্তৃক অনুসৃত ‘জোর যার মুল্লুক তার’ নীতি এবং পাকিস্তানী মৌলবাদী আদর্শ, ধর্মকে ব্যবহার করে ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ভেঙ্গে ফেলে ধর্মীয় মৌলবাদকে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নতুন প্রজন্মের ছাত্রশিবির হয়েছে! এখন, বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দখলের একটি নীরব প্রচেষ্টা মৌলবাদের আদর্শে বিশ্বাসী শিক্ষকদের সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনেও এ প্রতিষ্ঠানে চলমান রয়েছে! প্রশ্ন জাগছে- ‘ক’ ও ‘ঘ’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত কোন মৌলবাদী শিক্ষক এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে মাদ্রাসা ছাত্রদের ভর্তি পরীক্ষায় ভাল ফল করতে ভূমিকা রেখেছে কি? তাঁরা এই ভূমিকা রাখতে গিয়ে কি বেশি বাড়াবাড়ি করে ফেলেছেন? নতুবা উত্তরা রাজউক স্কুল ও কলেজ, উদয়ন, মতিঝিল আদর্শ স্কুল কলেজ, মনিপুর স্কুল-কলেজ, শহীদ আনোয়ার স্কুল-কলেজ, সেন্ট যোসেফ, সেন্ট গ্রেগরি, ভিকারুন্নেসা, অগ্রণী স্কুল-কলেজ, ক্যামব্রিয়ান, ঢাকা কলেজ ইত্যাদিসহ দেশের সব জেলার বড় বড় খ্যাতনামা স্কুলগুলোর প্রথম দশজনের কেউই তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসার ছাত্রের সঙ্গে মেধাযুদ্ধে জিতবে নাÑ এটি কি হতে পারে? কারণ, সাধারণ স্কুলের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের চাইতে মাদ্রাসায় ফাজিল, দাখিলপড়া ছাত্র ইংরেজী, বাংলা, সমাজ, বিজ্ঞান, সাধারণ জ্ঞান, গণিতে বেশি নম্বর পাওয়ার যুক্তিসঙ্গত কোন কারণ আছে কি? ভেবে দেখুন পাঠক। ৩. এমন ধারণা যদি কেউ করে যে- ‘খ’ এবং ‘ঘ’ ইউনিটে অন্তর্ভুক্ত কোন বিষয়ের বা একাধিক বিষয়ের কয়েকজন জামায়াতপন্থী শিক্ষক তাদের মতাদর্শ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চাইতে মাদ্রাসা, সম্ভবত তাদের সংযোগ রয়েছে এমন মাদ্রাসার কোন কোন ছাত্রকে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র সরবরাহ করেছে! তাহলে এটাকে কি কেউ অসম্ভব বলবে? নাকি, এমন ঘটা সম্ভব বলে ধারণা করবে? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ভাবতে হবে। ৪. প্রশ্ন হচ্ছে- কেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ ইতিহাসে দু’টি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় একজন ছাত্রকে প্রথম হতে কখনও দেখা গেল না কেন? আগে তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অসাধারণ মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হয়ে অসাধারণ ফল করেছে তাদের চাইতে কি তামিরুল মাদ্রাসার এই ছাত্র দু’টি বেশি মেধাবী? তা কিভাবে সম্ভব? আমি নিজে তো বেশকিছু মাদ্রাসার শিক্ষকদের সঙ্গে এক গবেষণার জন্য কাজ করতে গিয়ে দেখেছিলাম, ওই মৌলানারা নিজেদের নাম স্বাক্ষর বাংলায়ই শুদ্ধভাবে করতে পারছিলেন না, ইংরেজী তো দূরের কথা! অভিজ্ঞতা বলছেÑ মাদ্রাসার ছাত্রের চেয়ে আগে লিখিত সাধারণ শিক্ষার মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা জিপিএ ৫ পাক বা কম পাক, এদের মধ্যে শত শত মেধাবী ছাত্রছাত্রী আছে যারা লেখাপড়ায় ভাল, মাদ্রাসা ছাত্রদের চেয়ে অনেক ভাল। এদের অনেকে ভর্তি পরীক্ষায় পাস করতে পারেনি, কিন্তু যদি তাদের মধ্যে কেউ প্রশ্নপত্র উত্তরপত্র পেয়ে যেত এবং সেটি গ্রহণ করত, ব্যবহার করত, তাহলে কেমন হতো ওদের পরীক্ষার ফল? নিশ্চয় দুর্দান্ত ভাল। তবে, তাই বলে, অবশ্যই একজন দুই ইউনিটেই ‘প্রথম’ হতো না, হতে লজ্জিত বোধ করত না? ৫. ক’দিন আগে হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় আমাদের ধারণার বাইরে প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত এক মোবাইল পাওয়া গেছে, যাতে ক্যামেরায় প্রশ্নপত্রটি ছবি হয়ে বাইরে চলে যাবে এবং মোবাইলে ছোট পর্দায় মুহূর্তে উত্তরগুলো দ্রুত আসতে থাকে! এ রকম ৪৭টা মোবাইল ৫০ হাজার টাকা মূল্যে বিতরণ হয়েছে বলে ধরাপড়া ছাত্রটি জানিয়েছে! উন্নত প্রযুক্তি যখন বোমা, মারণাস্ত্র, পরীক্ষায় নকলের উপায় হিসেবে স্থান করে নিচ্ছে, তখন নিজেদের পরিচিতদের পরীক্ষার প্রশ্ন বলে দেয়া, উত্তরপত্র দিয়ে দেয়ার প্রাচীন ম্যানুয়াল পদ্ধতিও এর পাশাপাশি চলবে না, তা কি হয়? শেষ পর্যন্ত মানুষ, শিক্ষকও তাও আবার দলবাজ হলে তো কথাই নেই। ৬. প্রশ্ন জাগে, যদি কেউ সাধারণ শিক্ষার ইংরেজী, সমাজ, বিজ্ঞান, অর্থনীতি ইত্যাদিতে অনার্স পড়ার মনোবাসনা রাখে, তাহলে সেকি এবতেদায়ির পরও দাখিল, ফাজিল পড়ার জন্য মাদ্রাসায় থেকে যাবে? স্বাভাবিকভাবে তার কি কোন মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজে পাঠ গ্রহণ করবার কথা নয়? মাদ্রাসা থেকে মাধ্যমিক স্কুলের মর্যাদা অনেক বেশি নয় কি? গুণগতমান তো উন্নত, অবশ্যই, তাহলে? আসলে, শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি নীতি হওয়া উচিতÑ যেখানে দেশে যতদিন মাদ্রাসা শিক্ষা ও মাদ্রাসা আছে, ততদিন ওই শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসা থেকেই কামিল ডিগ্রী নেবে। অযথা সাধারণ শিক্ষার বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ থেকে পাস করা সাধারণ শিক্ষার উচ্চ স্তরের প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের যোগ্য হবে শুধু সাধারণ শিক্ষা গ্রহণ করা মাধ্যমিক স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী। এই নিয়মটি করা গেলে সব শিশু ও অভিভাবক সাধারণ শিক্ষা গ্রহণ করবে এবং বৈষম্যমূলক, মানহীন, যুগের অনুপযোগী মাদ্রাসা শিক্ষা গ্রহণে উৎসাহী হবে না। বস্তুত শিশুদের ব্যবহার করে এক শ্রেণীর ধর্মব্যবসায়ীর দ্বারা প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা শিক্ষা যুগের অনুপযোগী হয়েও তাদের স্বার্থ-অর্থ-জমি-সম্পদ যোগাচ্ছে বলে সমাজে মাদ্রাসাগুলো টিকে আছে। মাদ্রাসা ছাত্র-ছাত্রী যখন সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে আগ্রহী হয়, শুধু তাই নয়, ইংরেজী, অর্থনীতি পড়তে চায়Ñ তখন এটাই প্রমাণিত হয় যে আসলে ওই তরুণ-তরুণীরা মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত হতে চায় না, চায় সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে। ওরা তো বলেনি-ওরা ইসলাম ধর্মতত্ত্ব নিয়ে পড়তে আগ্রহী, ওরা বলছে ওরা ইংরেজী, অর্থনীতি পড়তে চায়! অর্থাৎ মাদ্রাসা ছাত্রও মাদ্রাসার শিক্ষা নয়, আধুনিক ইংরেজী, অর্থনীতি, সমাজবিজ্ঞান, বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি পড়তে চায়। তাহলে তারা মাধ্যমিক স্কুলে পড়তে বাধ্য হোক এবং পড়–ক। সবশেষে বলব, মাদ্রাসায় মাধ্যমিক স্তর পড়লে তারা মাদ্রাসায়ই শিক্ষা শেষ করবে। যাদের সাধারণ শিক্ষার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ইচ্ছা রয়েছেÑ তারা মাধ্যমিক স্কুল এবং তারপর কলেজে পড়বে। তাহলে, শিক্ষার বৈষম্য যার কথা মাদ্রাসা ছাত্রটি উল্লেখ করেছে, সেটি সমাজ থেকে ক্রমশ দূর হয়ে যাবে। ফলে মাদ্রাসার সংখ্যা চাহিদা অনুযায়ী কমে যাবে, বাড়বে মাধ্যমিক স্কুল। এভাবে একদিন যুগোপযোগী সাধারণ শিক্ষা হয়ে উঠবে সবার জন্য সর্বজনীন বৈষম্যহীন শিক্ষা। লেখক : গবেষক ও শিক্ষাবিদ সড়সঃধুষধঃরভ২০১৩@মসধরষ.পড়স
×