শংকর কুমার দে ॥ বাংলাদেশের দুই নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে হত্যার তৈরি ছক সফল হলে ইসলামী অভ্যুত্থান ঘটানোর নীলনক্সা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পুরস্কারঘোষিত জেএমবির জঙ্গীরা। ধরিয়ে দিলে ভারতে ১০ লাখ রুপীর পুরস্কার ঘোষিত জেএমবি জঙ্গী শেখ রহমত উল্লাহ সাজিদ, খাগড়াগড় বিস্ফোরণের আরেক জঙ্গী জিয়াউল হক ও শাহনূর আলম ডাক্তারের স্ত্রী নারী জঙ্গী সুজেনা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ধরনের তথ্য পেয়েছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। নারায়ণগঞ্জ জেলার শেখ রহমতউল্লাহ ওরফে সাজিদকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য ঘোষিত ১০ লাখ রুপীর পুরস্কার পেতে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের বিধাননগর কমিশনারেটের একটি বিশেষ তদন্ত দল।
তদন্ত সংস্থা সূত্র জানায়, জিয়াউল হক নামে আরেক জেএমবির জঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে ভারতের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ। অপরদিকে ৫ লাখ রুপী পুরস্কারঘোষিত জেএমবির আরেক পলাতক জঙ্গী শাহনূর আলম ডাক্তারের স্ত্রী সুজেনা বেগমকে অসমে গ্রেফতার করার পর ১৪ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বর্ধমানের খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণের মূল হোতা সাজিদকে ১০ দিন ও আরেক হোতা জিয়াউলকে ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার (এনআইএ) দাবি অনুযায়ী দুই নেত্রীকে হত্যার ছক ও খাগড়াগড়ের বোমা বিস্ফোরণের হোতা জেএমবি। এ জন্য চার বাংলাদেশীসহ ১২ জঙ্গীকে ধরতে ভারতে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে সাজিদ ধরা পড়ার পর আরও ১১ জনকে গ্রেফতারের জন্য খোঁজ করছে গোয়েন্দারা। বর্ধমানে বিস্ফোরণের ঘটনায় ২ নারী জঙ্গীকে রিমান্ডে নিয়ে জঙ্গী সম্পৃক্ততার বিষয়ে তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গত ২ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে একটি বাড়িতে বিস্ফোরণে দুই জেএমবির জঙ্গী শাকিল আহাম্মদ ওরফে শাকিল গাজী ও সোবাহান ম-ল ওরফে সোবাহান শেখ নিহত হওয়ার পর ভারতে জেএমবি সম্পৃক্ততার বিষয়টি উঠে আসে। যে বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে সেখান থেকে দুই নারীকে গ্রেফতার করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ, যারা জেএমবির সঙ্গে যুক্ত এবং বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাড়ি জমিয়েছিলেন বলে ভারতের গোয়েন্দাদের দাবি। ভারতের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, বর্ধমান বিস্ফোরণের তদন্তে তারা বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে হত্যার জঙ্গীদের একটি পরিকল্পনাও জানতে পেরেছেন।
তদন্ত সূত্র জানায়, সাজিদ ও জিয়াউলকে গ্রেফতার এই তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি বলে মনে করছেন এনআইএ গোয়েন্দারা। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা শনিবার বলেন, কয়েক দিন আগে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ সাজিদকে গ্রেফতার করে। তবে তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশ করা হয়নি। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তা রাজীব কুমার বলেছেন, সাজিদ জেএমবির মজলিসে শূরার সদস্য। তার বাড়ি নারায়ণগঞ্জে। মুর্শিদাবাদ জেলার লালগোলায় আশ্রয় নেয়া সাজিদকে শনিবারই গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের এক উর্ধতন কর্মকর্তা। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, তাকে গ্রেফতার করা হয় কয়েকদিন আগে। সাজিদকে গ্রেফতারের পর এনআইএ গোয়েন্দারা আটক করে জিয়াউলকে। তিনি সাজিদের পাশাপাশি সন্দেহভাজন ১২ জনের দুজন রেজাউল করিম ও ইউসুফ শেখের ঘনিষ্ঠ বলে এনআইএ জানিয়েছে। সাজিদের মতো ইউসুফ শেখের মাথার দামও ১০ লাখ রুপী, ইউসুফের মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছে ৩ লাখ রুপী। পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা জিয়াউল শিমুলিয়া ও মুকিমনগর মাদ্রাসায় জঙ্গীদের প্রশিক্ষণে জড়িত থাকার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন এনআইএ কর্মকর্তারা।
সুজেনা বেগম ১৪ দিনের রিমান্ডে ॥ অসমের বাসিন্দা শাহানূর আলমের মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছে ৫ লাখ রুপী। তার স্ত্রী সুজেনাকে শুক্রবার সন্ধ্যায় গৌহাটির বাস টার্মিনাল থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে অসম পুলিশ। অসমের পুলিশ উপপ্রধান পল্লব ভট্টাচার্য বলেছেন, বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার করা হয় ওই নারী জঙ্গীকে। ওই নারী ভারতবিরোধী যুদ্ধ চালাতে অস্ত্র সংগ্রহ করছিলেন। অসমের পুলিশকে নিয়ে এনআইএ গোয়েন্দা এবং কেন্দ্রীয় পুলিশের একটি বিশেষ ইউনিট সুজেনাকে গ্রেফতারে এই অভিযান চালায়। সুজেনাকে শনিবার গুয়াহাটির আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৪ দিনের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
শেখ হাসিনাকে হত্যার জঙ্গীরা যে পরিকল্পনা করেছে, তাতে সুজেনার সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে তদন্ত সংস্থা এনআইএ’র দাবি। তবে জঙ্গীদের অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে সুজেনার ভূমিকাকেই গুরুত্বপূর্ণ বেশি ভাবছে অসম পুলিশের কর্মকর্তারা।
সুজেনা জঙ্গী বানিয়েছে শাহনূরকে ॥ সুজেনা ধরা পড়ার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদে তদন্ত সূত্র জানতে পারে, সে কলেজ পড়ুয়া শিক্ষিত। শাহনূর আলম গিয়েছিল শিমুলিয়ার মাদ্রাসায় পড়তে। সুজেনা তখন ওই মাদ্রাসাতেই জিহাদী প্রশিক্ষণ দিত। মাদ্রাসায়ই শাহনূরের সঙ্গে আলাপ হয় সুজেনার। তারপর তাদের মধ্যে প্রেম ও বিয়ে হয়। তারপর সুজেনাই জিহাদের পথে টেনে আনে শাহনূর আলম ডাক্তারকে। মাঝে মাঝে সুজেনা নিজেই বিভিন্ন জঙ্গী ঘাঁটিতে যেত। সুজেনাই জঙ্গীদের টাকার তদারকি করত। আর জঙ্গী প্রশিক্ষণ নেয়ার মাদ্রাসাগুলোতে টাকা পাঠাত শাহনূর।
চিকিৎসা পেশার আড়ালে জঙ্গী তৎপরতা ॥ পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, আমরা নিশ্চিত যে স্বামীর (শাহানূর) সঙ্গে এই নারীও জঙ্গী তৎপরতায় যুক্ত ছিল। বাংলাদেশ থেকে নারী জঙ্গীদের এপারে আনা এবং ওপারে পাঠানোয় সুজেনার ভূমিকা ছিল বলেও এই পুলিশ কর্মকর্তার দাবি। সুজেনা পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি তিন বছর আগে জেএমবিতে যোগ দেন। গোয়েন্দারা বলছেন, স্বামী শাহানূরের দুটি ব্যাংক হিসেবের মাধ্যমে সুজেনা লেনদেন করতেন। গত মাসে বর্ধমান বিস্ফোরণের পর তদন্তে এই দম্পতির নাম আসার পর বাসস্থল অসমের চোতালা গ্রাম থেকে তারা পালিয়ে যান। শুক্রবার সুজেনার গুয়াহাটিতে আসার খবর পেয়ে পুলিশ ও গোয়েন্দারা অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। তার সঙ্গে দুটি সন্তান ও আরও দুজন নারী ছিলেন। গ্রামবাসী শাহানূরকে হাতুড়ে চিকিৎসক হিসেবে চেনেন। পুলিশ বলছে, চিকিৎসা পেশার আড়ালে আসলে জঙ্গী তৎপরতাই চালাতেন শাহানূর। শাহানূরের ভাই জাকারিয়া আলীসহ পাঁচজনকে আগেই গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্ধমান বিস্ফোরণের তদন্তের অংশ হিসেবে ভারতের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ বাংলাদেশেও আসতে চেয়েছে। বাংলাদেশে কোণঠাসা জেএমবি ইন্ডিয়ান মুজাহেদীন ও কাশ্মীরের জঙ্গীদের সঙ্গে মিলে পশ্চিমবঙ্গে একটি জঙ্গী ঘাঁটি গড়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে ভারতের গোয়েন্দাদের দাবি।
মানববোমার নারী জঙ্গি ॥ সুজেনা বলেছেন, রাজীব গান্ধী হত্যাকা-ের মতো নারী ‘মানববোমা’ ব্যবহার করে শেখ হাসিনাকে হত্যা করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এজন্য ভারতে দুটি মাদ্রাসায় নারীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। মাদ্রাসা দুটি পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান ও অসমের বরপেটা জেলায়। সুজেনা নিজে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন বর্ধমানের শিমুলিয়া মাদ্রাসায়। শেখ হাসিনা হত্যার জন্য যে ‘মিশন’ পাঠানো হতো তাতে সুজেনার থাকার কথা ছিল। শুক্রবার রাতে গুয়াহাটি বাসস্ট্যান্ড থেকে শেখ হাসিনা হত্যার ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে সুজেনা বেগমকে (২৮) গ্রেফতার করে এনআইএ। বর্ধমানের এই ডেরাতে বসেই শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে হত্যার ছক কষেছিল জেএমবি। শেখ হাসিনাকে হত্যার ছকের তথ্য ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকারকে জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র দফতর। অসম পুলিশের উপ-প্রধান পল্লব ভট্টাচার্য বলেছেন, সুজেনা জেরায় স্বীকার করেছেন, জেএমবি নেতা সাজিদদের কাছে জেহাদি প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তিনি। ঢাকা থেকে জেএমবির পাঠানো কোটি কোটি টাকা হুন্ডি মারফত সুজেনার কাছে আসত। আর সেই টাকা তিনি বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ ও মালদহে লুকিয়ে থাকা জেএমবি জঙ্গীদের কাছে পৌঁছে দিতেন। বিস্ফোরণের পর সুজেনাকে ধরে দিলে পাঁচ লাখ রুপী দেয়া হবে বলেও ঘোষণা করেছিল এনআইএ। এনআইএ সূত্র জানায়, জেএমবির জঙ্গী সাজিদ ও ইউসুফের সঙ্গে সুজেনার একাধিকবার বৈঠক হয়েছে গুয়াহাটিতে। এনআইএ জানিয়েছে, ২ অক্টোবর বিস্ফোরণের পরদিনই ধরা পড়া রাজিয়া বিবি ও আমিনা বিবিকে জেরা করে জানা গিয়েছিল, গুজরাট ও অসমের দাঙ্গা এবং মিয়ানমারে রোহিঙ্গা খুনের ভিডিও ক্লিপিং দেখিয়ে শিমুলিয়া ও মোকিমনগরে জেএমবির প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে জিহাদী প্রশিক্ষণ দেয়া হতো। অসমে ধরা পড়া সুজেনা বেগম যে সেই প্রশিক্ষণ দিতেন তা এদিন স্বীকার করেছেন।
কে এই সাজিদ ॥ শেখ রহমত উল্লাহ সাজিদের বয়স প্রায় ৪০ বছর। তার শরীরের রং শ্যামবর্ণ। বাংলাদেশের নারায়নগঞ্জ জেলায় তার বাড়ি। বাবা সিদ্দিক মিয়া। ২০০৩ সালে আস্তানা গাড়ে রাজশাহীর চর কোদালকাঠি গ্রামে। জাল নোট, মাদক, অস্ত্র ও বিস্ফোরক পাচার করত। বাংলাদেশের পুলিশ তাকে আগেও গ্রেফতার করেছে। জেএমবির কেন্দ্রীয় কমিটির মজলিস-এ-শূরার সদস্য সে। ২০০৭ সাল থেকে লালগোলার মকিমনগর মাদ্রাসায় আস্তানা গাড়ে। শিমুলিয়া ও মকিমনগর মাদ্রাসায় জিহাদী প্রশিক্ষণ দিত। তার স্ত্রী ফাতেমা বিবিও জিহাদী প্রশিক্ষক। জেএমবির বর্ধমান মডিউলের মাথা। বুরহান শেখের নামে নিজের ছবি দিয়ে প্যান কার্ড বানিয়েছে। ভারতে দুটি ভোটার কার্ড তৈরি করেছে। ড্রাইভিং লাইসেন্সও আছে তার। এনআইএ তার মাথার দাম ঘোষণা করেছে ১০ লাখ রুপী। শনিবার দুপুরে কলকাতা বিমানবন্দরের কাছে যশোর রোডের আড্ডা থেকে গ্রেফতার হয় সাজিদ। বর্ধমান খাগড়াগড়ের মাস্টার মাইন্ড বলা হয় তাকে।
সাজিদকে গ্রেফতারে পুরস্কার ॥ বর্ধমান খাগড়াগড়ের বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ১০ লাখ রুপীর পুরস্কার ঘোষিত মোস্ট ওয়ান্টেডের এক নম্বরের তালিকায় শেখ রহমত উল্লাহ সাজিদকে গ্রেফতার করে পুরস্কার জিতে নিচ্ছে বিধাননগর কমিশনারেটের বিশেষ তদন্ত দল। আর এর নেতৃত্ব দেন বিধাননগর কমিশনারেট রাজীব কুমার। ভারতের সকল তদন্ত সংস্থাকে টেক্কা দিয়ে সাজিদকে গ্রেফতারের ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে ভারতের বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে। শনিবার বিকালে কলকাতায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দমদম বিমানবন্দরের লাগোয়া যশোর রোড থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিকেলেই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার এনআইএ’র হাতে তুলে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। সাজিদের বাড়ি বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলায়। বোরহান শেখ ও সুরাত আলি নামে পশ্চিমবঙ্গে ড্রাইভিং লাইসেন্সও তৈরি করেছিলেন তিনি। বর্ধমানে জঙ্গী ডেরা তৈরি থেকে শুরু করে গোটা ষড়যন্ত্রের তিনিই হোতা। বর্ধমানে বিস্ফোরণকা-ের হোতা জেএমবির নেতা সাজিদ।
কিভাবে সাজিদের খোঁজ মেলে ॥ পশ্চিমবঙ্গের বিধাননগর পুলিশের খবরে জানা গেছে, গত ২ অক্টোবর বর্ধমানে একটি বাড়িতে বিস্ফোরণে দুই জেএমবির জঙ্গী শাকিল আহাম্মদ ওরফে শাকিল গাজী ও সোবাহান ম-ল ওরফে সোবাহান শেখ নিহত হয়। সেই রাতেই তদন্তে আলাদা একটি গাড়ি পাচার চক্রের সন্ধান পান গোয়েন্দারা। তখনও গোয়েন্দারা জানেন না যে খাগড়াগড়ের ঘটনার সঙ্গে তাদের যোগসূত্র ছিল। অনুসন্ধানে বাগুইআঁটির এক বাহকের সন্ধান পাওয়া যায়। এই বাহকের কাজ ছিল বাংলাদেশীদের হাতে অবৈধভাবে টাকা পৌঁছে দেয়া।