ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে

প্রকাশিত: ০৬:২০, ৮ নভেম্বর ২০১৪

বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে

ফিরোজ মান্না ॥ দেশেই শুরু হয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) খাতে বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ। এই প্রশিক্ষণ নিয়ে তরুণ-তরুণীরা দেশে-বিদেশে চাকরি করছে। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় ‘লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ-এমপ্লয়মেন্ট এ্যান্ড গবর্নেন্স (এলআইসিটি) প্রকল্পের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের শতকরা ৫০ ভাগ চাকরি পেয়েছে বিভিন্ন আইটি প্রতিষ্ঠানে। অনেকে একাধিক চাকরির প্রস্তাব পাচ্ছেন। দেশ এখন আইসিটি সেক্টরে অনেক এগিয়ে গেছে বলে বিসিসি জানিয়েছে। আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে আইসিটি সেক্টরে অনেক দক্ষ জনবল তৈরি হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে এই জনবল বড় ভূমিকা পালন করবে। সূত্র জানিয়েছে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীনে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) এলআইসিটি প্রকল্প আইটি শিল্প ও প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী ৩৪ হাজার তরুণ-তরুণীকে বিশ্বমানের আইটি প্রশিক্ষণ দেবে। প্রথম দফায় ৪ হাজার তরুণ-তরুণীকে ভবিষ্যত আইটি লিডার হিসেবে গড়ে তোলার জন্য তিন মাসের প্রশিক্ষণ কর্মসূচী চালু করেছে। প্রশিক্ষণ চলাকালীনই তাদের অনেকে চাকরির প্রস্তাব পেয়েছেন। এলআইসিটি প্রকল্প পরিচালক রেজাউল করিম জানান, চার হাজারের মধ্যে প্রথম ব্যাচে ১৪৮ জনের তিন মাসের প্রশিক্ষণ শেষ হয় ১০ সেপ্টেম্বর। পরবর্তীতে জব ফেয়ারে এদের ৭০ জনের বিভিন্ন আইটি শিল্প ও প্রতিষ্ঠানে চাকরি হয়ে গেছে। এর মধ্যে কয়েকজনকে একাধিক কাজের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ব্যাচে ১২৪ জনের তিন মাসের প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে এক মাসের আবাসিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে কুমিল্লা বাংলাদেশ একাডেমি অব রুরাল ডেভেলপমেন্ট (বার্ডে)। বিসিসির নির্বাহী পরিচালক এস এম আশরাফুল ইসলাম বলেন, আইটি-আইটিইএস শিল্পের চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে এলআইসিটি প্রকল্প যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ। এই প্রশিক্ষণের গুণগত মান নিশ্চিত করার উপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এফটিএফএল কর্মসূচীতে প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণ শেষে এক মাসের মধ্যেই আইটি শিল্প ও প্রতিষ্ঠানে প্রায় অর্ধেকের বেশি চাকরি পেয়ে গেছেন। এ বিষয়টিকে আমরা ইতিবাচক বলে মনে করছি। এলআইসিটি প্রকল্প উপ-পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহ জানান, এলআইসিটি প্রকল্পে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির প্রশিক্ষণে অন্তত ৩০ শতাংশ নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
×