ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গাভাস্কার, লারাদের পেছনে ফেললেন মুমিনুল

প্রকাশিত: ০৫:২১, ৭ নভেম্বর ২০১৪

গাভাস্কার, লারাদের পেছনে ফেললেন মুমিনুল

স্পোর্টস রিপোর্টার খুলনা থেকে ॥ টেস্ট খেলা শুরু করলেন গতবছর ৮ মার্চ। ১৮ মাসে গিয়েই টেস্ট ক্রিকেটের হাজারি ক্লাবে যুক্ত হয়ে গেলেন বাংলাদেশ দলের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক! ১১ টেস্টে ২১ ইনিংস খেলে ১০০০ রান করে ফেললেন। কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার, ব্রায়ান লারাকেও পেছনে ফেলে দিলেন। গাভাস্কার, লারারা ২১ ইনিংসে গিয়ে ১০০০ রান করেছেন। কিন্তু ম্যাচ আর সময়ের হিসেবে গাভাস্কার, লারাকেও পেছনে ফেলে দিলেন মুমিনুল। গাভাস্কার ১১ টেস্টে ২১ ইনিংস খেলে এমন কীর্তি গড়লেও ১ বছর ১১ মাসের (৩২৫ দিন) কাছাকাছি সময় নিয়েছেন। আর লারাত খেলেছেন ১৩ টেস্টে ২১ ইনিংস খেললেও ১০০০ রান করতে সময় নিয়েছেন ৩ বছর ৩ মাস। খুলনা টেস্টে নামার আগে ১০ টেস্টে ১৯ ইনিংস খেলেছিলেন মুমিনুল। রান করেছিলেন ৫৮.১২ গড়ে ৯৩০। অর্থাৎ আর ৭০ রান হলেই ১০০০ রান হয়ে যেত। খুলনা টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩৫ রান করেছিলেন। ১০০০ রান হতে বাকি ছিল আরও ৩৫ রান। যখন দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৫ রান করলেন তখনই এ মাইলফলক অর্জন করেছেন মুমিনুল। শেষে ৫৩ রানে গিয়ে আউট হয়ে যান। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে মুমিনুলই দ্রুত ১০০০ রান করলেন। এর আগে হাবিবুল বাশার ও তামিম ইকবাল ১৫, রাজিন সালেহ ও সাকিব আল হাসান ১৯ টেস্টে গিয়ে এক হাজার রান করেছিলেন। শুধু কী গাভাস্কার, লারাই; ২১ ইনিংস খেলে হয় ম্যাচ নয়ত সময়ের বিচারে ১০০০ রান করার ক্ষেত্রে মুমিনুলের পেছনে পড়ে গেছেন অস্ট্রেলিয়ার বার্ডসলি, উডফুল, হ্যাজেট, ম্যাকডোনাল্ড, লওরি, কাউপার, ইংল্যান্ডের মিড, পেইন্টার, দক্ষিণ আফ্রিকার এডি বারলো, ওয়েস্ট ইন্ডিজের কালিচরণ, ডুজন, নিউজিল্যান্ডের জেস রাইডার। অবশ্য ১০০০ রান করার ক্ষেত্রে উপমহাদেশের সেরা হতে পারেননি মুমিনুল। এ স্থানটিতে চেতেশ্বর পুজারা আছেন উপরে। টেস্ট খেলেছেন ১১টি। তবে ১৮ ইনিংসেই পুজারা এ মাইলফলকে পৌঁছে যান। মুমিনুল যখন টেস্ট দলে ডাক পান, তার আগে থেকেই প্রতিভার প্রমাণ দিচ্ছিলেন। যেই গতবছর মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টে খেলার সুযোগ পান প্রথম ইনিংসেই অর্ধশতক (৫৫ রান) করে বসেন। সেই থেকে মুমিনুলের ব্যাটের ঝলকানি চলছেই। গতবছর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৮১ রানের একটি ইনিংস খেলেন। পরের টেস্টেই অপরাজিত ১২৬ রান করেন। বছরের শুরুতে ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অপরাজিত ১০০ রান করে বসেন। এত দ্রুত শতক, সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয়। ১১ টেস্টে ২১ ইনিংসের মধ্যে ৩টি শতকসহ মুমিনুলের ভা-ারে আছে ৭টি অর্ধশতক। সর্বশেষ শুধু গতবছর জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে টেস্টে কোন ইনিংসেই অর্ধশতক করতে পারেননি মুমিনুল। এছাড়া প্রতিটি টেস্টে অন্তত একটি ইনিংসে হয় শতক নয়ত অর্ধশতক আছেই। এ ব্যাটসম্যান শেষপর্যন্ত ১১ টেস্টে ২১ ইনিংসেই করে ফেললেন ১০০০ রানেরও বেশি। গাভাস্কার, লারাদের মতো ব্যাটসম্যানদেরও পেছনে ফেলে দিলেন।
×