ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যুদ্ধাপরাধীদের রায় ও গোলামের মৃত্যুর পরে বিএনপির নীরবতার নেপথ্যে

প্রকাশিত: ০৪:২৮, ৬ নভেম্বর ২০১৪

যুদ্ধাপরাধীদের রায় ও গোলামের মৃত্যুর পরে বিএনপির নীরবতার নেপথ্যে

স্বদেশ রায় ট্রাইব্যুনাল আলবদরের সুপ্রীম কমান্ডার মতিউর রহমান নিজামী, আলবদরের চট্টগ্রাম কমান্ডার মীর কাশেম আলীর ফাঁসির রায় দেয় চার দিনের ব্যবধানে। কাশেম আলীর রায়ের পরের দিনই সুপ্রীমকোর্ট ময়মনসিংহ আলবদর কমান্ডার কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় বহাল রাখে। আগামী পনেরো থেকে বিশ দিনের ভেতর কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় কার্যকর হবে। পর পর এই তিন রায় হলেও বিএনপির পক্ষ থেকে অবলম্বন করা হয়েছে অদ্ভুত নীরবতা। এমনকি এর মাত্র কয়েকদিন আগে মূল যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের মৃত্যু হলেও বিএনপির পক্ষ থেকে কোন শোকবার্তা দেয়া হয়নি। এমনকি তাদের জানাজায়ও বিএনপির পক্ষ থেকে ওইভাবে কেউ যায়নি। বিএনপির সঙ্গে যোগ আছে আবার অন্য পরিচয় আছে এমন কয়েক ব্যক্তি গিয়েছিলেন। বিএনপির এই নিশ্চুপতা নিয়ে নানান কথা হচ্ছে। এমনকি প্রগতিশীল মহলের ভেতর যাদের গায়ে একটি তথাকথিত নিরপেক্ষতার তকমা আছে তারা এ নিয়ে বেশ আশাবাদী হয়ে উঠেছেন। তাদের কেউ কেউ বলছেন, বিএনপি জামায়াত থেকে দূরে সরে এসেছে। কেউ কেউ আরও এক ধাপ এগিয়ে বলছেন, বিএনপি তার বর্তমান অবস্থান থেকে সরে এসে মুক্তিযুদ্ধের অবস্থানে আসছে। এমনকি তাদের কেউ কেউ এমনও বলছেন, এটা হলে তারা নাকি সব থেকে বড় খুশি হবেন। আসলে দেশের প্রতি এসব ব্যক্তির অনেক দায়িত্ব! তাই তারা দেশের এমন ভবিষ্যত চিন্তা করে খুশি-টুশি হয়ে অনেক কিছু করতে পারেন। কিন্তু সাধারণ সাংবাদিক যারা, যাদের তথ্যের সঙ্গে চলতে হয়। তথ্য জানতে হয়। তথ্য মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হয়। তাদের এ ঘটনায় ‘মুক্তিযুদ্ধ’ দেখারও কোন সুযোগ নেই। খুশি হওয়ারও কোন সুযোগ নেই। কারণ, বিএনপির এ নিশ্চুপতার শত ভাগ উদ্দেশ্য ভারত ও ভারতের বর্তমান শাসক দল বিজেপিকে খুশি করার একটি চেষ্টা মাত্র। ভারতের নির্বাচনে বিজেপি জয়ী হওয়ার পর পরই বিএনপি অফিসে মিষ্টিমুখ হয়েছিল। এর পেছনেও একটি কারণ ছিল। ভারতের নির্বাচনের আগে বিএনপি পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর কাছ থেকে এমন একটা ইঙ্গিত পেয়েছিল যে, বিজেপির সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক তৈরি করার একটি পথ হবে। কেন আইএসআই এমনটি মনে করেছিল সে সব বিশদ এখানে নয়। তবে বিএনপি যেহেতু আইএসআই নির্দেশিত ও তাদের অর্থায়নে চলা একটি সংগঠন তাই তাদের খুশি হওয়ার কারণ ছিল। কিন্তু ভারতের নির্বাচনের পরে দেখা গেল বিষয়টি উল্টো। মোদি অফিসে বসার আগে সার্ক নেতাদের যে দাওয়াত করেছিলেন সেখানে নওয়াজ শরীফকে নিয়ে কারও কারও উচ্ছ্বাস থাকলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। কেন হয়নি, তার বিশদ এখানে প্রয়োজন নেই। যাহোক মোদি অফিসে বসার কয়েকদিন পরেই বোঝা গেল সার্ক দেশগুলোর মধ্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশই ভারতের সব থেকে বড় বন্ধু। বিগত কংগ্রেস সরকারের মতোই মোদি সরকারও একই বিষয় বুঝিয়ে দিলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশই ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাসহ সকল বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ যা অন্য কারও নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ হলে সম্ভব হয়। মোদির এই সোজা সাপটা বার্তার পরেও বিএনপি হাল ছাড়েনি। কারণ, ইতোমধ্যে বিএনপি এই শিক্ষা পেয়েছে যে, পৃথিবীর যত বড় শক্তিশালী রাষ্ট্র হোক না কেন, বাংলাদেশের রাজনীতি বা এই এলাকার রাজনীতিতে ভারতকে বাদ দিয়ে বা ভারতের মতের বাইরে গিয়ে কেউ কথা বলার অধিকার রাখে না। আগের পৃথিবী এখন নেই। বিশ্ব রাজনীতি বদলে গেছে। এ কারণে বিএনপি ভারতের বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বিজেপির সঙ্গে একটি যোগাযোগ তৈরির চেষ্টা করছে। চেষ্টা করছে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের। অন্যদিকে ভারত সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের ও ভারতের নানান লবিস্ট নিয়োগ করেছে। যদিও ভারতে ও বাংলাদেশে ওইভাবে প্রফেশনাল কোন লবিস্ট নেই। যতদূর জানা যায় বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির জন্য ইতোমধ্যে বিএনপির পক্ষ থেকে বিজেপির সভাপতিকে চিঠি দেয়া হয়েছে। চিঠির বক্তব্য এমনই বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল বিজেপির আমন্ত্রণে তাদের দেশে যেতে চায়। একইভাবে বিএনপিও বিজেপি নেতাদের আমন্ত্রণ করতে চায়। এভাবে বিএনপি চায় বিজেপি ও বিএনপির ভেতর একটি সম্পর্ক গড়ে তুলতে। বিএনপির এ চিঠিও বিজেপির সদর দফতরে পৌঁছেছে বলে জানা যায়। তবে বিজেপি নেতৃত্ব এ নিয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি এমনই খবর মিলছে। এর পাশাপাশি বিজেপির আদর্শিক সংগঠন আরএসএস-এর সঙ্গেও বিএনপি যোগাযোগ গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। কিছু কিছু ছোটখাটো আরএসএস নেতার সঙ্গেও বিএনপির লোকজন ইতোমধ্যে দেখা করেছে। অন্যদিকে ভারত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য বিএনপি নানান পথে চেষ্টা করছে। এর ভেতর তথাকথিত নিরপেক্ষতার মোড়কে এক সম্পাদক বেশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। দিল্লীর সুধী মহলে ও পলিসি লেভেলের কিছু ব্যক্তির সঙ্গে এই সম্পাদকের বেশ যোগাযোগ রয়েছে। তিনি তাদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন, হাসিনার জনসমর্থন খালেদার থেকে কম। অন্যদিকে পাঁচ জানুয়ারির নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নেই। সব মিলে ভারতকে এখন হাসিনানির্ভর থাকা ভুল হবে। শুধু ওই সম্পাদক নয়, বিএনপির কিছু প্রাক্তন আমলা ও ডিপ্লোম্যাট রাজনীতিবিদ তাদের সীমিত চেষ্টা হলেও সেটা চালিয়ে যাচ্ছেন। আর এ সব কাজে গিয়ে বিএনপির একটি উপলব্ধি হয়েছে যে, দিল্লীর রাজনীতিতে এবং সরকারের নীতিতে বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে হিসাব-নিকাশ কঠোর। তারা ভাল জানে, জামায়াতে ইসলামী শুধু বাংলাদেশকেন্দ্রিক একটি জঙ্গী সংগঠন নয়, জামায়াতে ইসলামী ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশকেন্দ্রিক একটি জঙ্গী সংগঠন। বর্তমানে তারা আন্তর্জাতিক সকল ইসলামী জঙ্গী সংগঠনের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। অন্যদিকে বাংলাদেশে আল কায়েদা, জয়ইশে মোহাম্মদ, হরকাতুল জেহাদ, ব্রাদারহুড সবই জামায়াতের ছায়ায় ও জামায়াতের নামে এখানে বেড়ে উঠছে। সকল আন্তর্জাতিক ইসলামী জঙ্গী সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর নামে বাংলাদেশে বেড়ে ওঠার সব থেকে বড় সুবিধা জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে নির্বাচনী রাজনীতি করার সুযোগ পায়। যার ফলে তাদের নামে প্রকাশ্যে চলাচলের সুযোগ আছে। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপি মূলত এক হয়ে যাওয়ার ফলে বিএনপির রাজনীতির ছায়াতেও বেড়ে উঠেছে এ সকল আন্তর্জাতিক ইসলামী জঙ্গী সংগঠনের জঙ্গীরা। যারা ইতোমধ্যে ভারতে বিভিন্ন জঙ্গী তৎপরতা চালিয়েছে। বর্তমানে ভারতের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর ভুল নীতির কারণে তারা পশ্চিমবঙ্গে বেশ শক্ত আসন গেড়েছে। তাদের কিছু তৎপরতা ভারতের উত্তর-পূর্ব কয়েকটি রাজ্যে বিশেষ করে অসমে বেশ দৃশ্যমান। এছাড়া উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের অন্যান্য প্রদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে এই জঙ্গীরা। ভারতের মাটিতে বাংলাদেশ থেকে সৃষ্টি হওয়া জঙ্গীদের এ অবস্থান ভারতের এই নির্বাচনের আগের থেকেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। তাদের নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা জঙ্গীবিরোধী তৎপরতা চালাতে পারেনি। মোদি সরকার অফিসে বসার পর থেকেই তারা কঠোর হাতে এই জঙ্গী দমনে নেমেছে। শুধু কেন্দ্রীয় সরকার নয়, ভারতের অন্যান্য রাজ্য সরকারের প্রধানরাও এ বিষয়ে কেন্দ্রকে শতভাগ সাহায্য করছে। ব্যতিক্রম একমাত্র মমতা ব্যানার্জী। তাছাড়া ভারতের বর্তমান নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাকে জোর দিয়েছেন বেশি। তিনিও ভালভাবে বুঝেছেন, ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা অনেকটা নির্ভর করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশের ওপর। তাই ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ বিবেচনায়, মোদি সরকার শুরু থেকেই জামায়াতে ইসলামীর বিষয়ে সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানে। মোদি সরকারের জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে এই সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানে থাকার মেসেজটি বিএনপিও বুঝতে পেরেছে। বিএনপি এও বুঝতে পেরেছে, জামায়াতের সঙ্গে কোনরূপ সম্পর্ক থাকলে ভারতের সঙ্গে ও ভারতের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সঙ্গে কোন সম্পর্ক গড়ে তোলা যাবে না। অন্যদিকে বিএনপি ও জামায়াত সম্পর্ক বর্তমানে শেখ হাসিনার ভাষায় সাপের বড় ব্যাঙ খাওয়ার মতো। ব্যাঙ যখন বড় আকারের হয় তখন সাপ এক পর্যায়ে গিয়ে না পারে তাকে গিলতে না পারে তাকে ফেলতে। শেখ হাসিনা সৎ এবং বীর রাজনীতিকÑ তিনি শঠ এবং খল নন। তাই তিনি তাঁর বীরত্ব ও সততা দিয়ে সব কিছু সহজভাবে দেখেন। এ কারণে বীর সব সময়ই সহজ ও সরল হন। শেখ হাসিনা তাঁর সততা দিয়ে মনে করছেন, বিএনপি মনে হয় এখন সাপের মতো জামায়াত নামক বড় ব্যাঙটিকে উগরে দিতে চাচ্ছেন। কিন্তু বাস্তবে বেগম জিয়া শঠ, খল ও সর্বোপরি অশিক্ষিত। এই ধরনের মানুষ কত নিচে যেতে পারে তা শেখ হাসিনার মতো বীরের পক্ষে বোঝা সহজ নয়। বীররা প্রতিপক্ষের তরবারি ভেঙ্গে গেলে নিজের তরবারি তাকে দিয়ে তাঁর সঙ্গে যুদ্ধ করে। অন্যদিকে শঠ ও খলরা পেছন থেকে ছুরি মেরে হত্যা করে। তাই মনে করার কোন কারণ নেই, বিএনপি বা বেগম জিয়া জামায়াতে ইসলামীকে উগরে ফেলে দিতে চাচ্ছে। বরং তারা যে জামায়াতে ইসলামীকে ধরে রাখতে চাচ্ছে তার প্রমাণ, বেগম জিয়া শুধু নন তার বশংবদ তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা টকশোতেও বলছেন, জামায়াতের সঙ্গে তাদের ইলেকটোরাল জোট, আদর্শিক জোট নয়। তাদের ধারণা বাঙালী বা ভারতবর্ষের মানুষ শরৎচন্দ্রের শ্রীকান্ত উপন্যাস পড়েনি। বেগম জিয়ার দলের লোক ও তাদের বুদ্ধিজীবীরা এমন ভাবতে পারে। কারণ, তাদের জানার সময় কই শুধু উর্দু এবং হিন্দী ও ইংরেজী নয় ষোলো থেকে সতেরোটি ভাষায় শ্রীকান্ত উপন্যাস অনূদিত হয়েছে। বাঙালী ছাড়াও এই ষোলো থেকে সতেরো ভাষার লোক শ্রীকান্ত উপন্যাস পড়েছে। দীলিপ রায় অনূদিত শ্রীকান্তের ইংরেজী ভার্সন পড়ে রোমা রোঁলা মন্তব্য করেছিলেন, নোবেল দিলেও এই উপন্যাসকে প্রকৃত সম্মান করা হয় না। আরও বেশি দরকার। যাহোক, ধরে নেয়া যায়, রোমা রোঁলা যখন পড়েছেন তখন বেগম জিয়াও পড়েছেন। আর ওই উপন্যাস পড়ে তিনি টগর বোষ্টমীর চরিত্রটি ভাল মতো ধাতস্থ করেছেন। তিনি তার বশংবদ টকশোজীবী ও বুদ্ধিজীবীদের সেটা শিখিয়ে দিয়েছেন। সকলের নিশ্চয়ই মনে আছে, টগর বোষ্টমী, বৈষ্ণব ঘরের মেয়ে বয়সকালে ভালবাসার টানে বেরিয়ে এসেছিল নাপিতের সঙ্গে। এক পর্যায়ে তারা যাচ্ছিল বর্মা মুলুকে। জাহাজে শ্রীকান্তের সঙ্গে দেখা। সেখানে একদিন টগর বোষ্টমী উচ্চৈঃস্বরে বলে, ত্রিশ বছর মিনসের সঙ্গে ঘর করলে কী হয়, তাকে কোনদিন হেঁসেলে ঢুকতে দেয়নি। টগর বোষ্টমীর শরীরে জাত নয়, জাত তার হেঁসেলে। রান্না ঘরে মিনসেকে ঢুকতে না দিয়ে টগর বোষ্টমী তার বোষ্টমী জাত রক্ষা করে গেছে। জামায়াত ও বিএনপির সম্পর্ক নিয়ে বেগম জিয়ার হঠাৎ এই টগর বোষ্টমী হওয়ার কারণ নিয়ে অনেক বড় বিশ্লেষণ হতে পারে। এ সব বিশ্লেষণে মুক্তিযুদ্ধসহ অনেক কিছু আসবে। কারণ, বিশ্লেষণ নিয়ে কথা! তবে বাস্তবতা হচ্ছে, বেগম জিয়া হঠাৎ করে শিফন ছেড়ে গৈরিক পরে টগর বোষ্টমী হয়েছেন মূলত বিজেপি ও ভারতকে খুশি করার জন্য। সে কারণে যুদ্ধাপরাধীদের রায়ের পর বিএনপির এই নিশ্চুপতা। তারা মনে করেছে, শরীর যায় যাক, হেঁসেল ঠিক আছে বললে হয়ত বিজেপি ও ভারত খুশি হবে। বেগম জিয়া দুবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। রবীন্দ্রনাথের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীতে তাকে বাণী দিতে হয়েছে। তাই রবীন্দ্রনাথের নাম তার অজানা নয়। রবীন্দ্রনাথই তার শাহজাহান কবিতায় বলেছেন, রাজশক্তি বজ্র সুকঠিন। সেই রাজশক্তিতে শুধু হেঁসেল দিয়ে কি কাজ হবে? ংধিফবংযৎড়ু@মসধরষ.পড়স
×