ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

কলাপাড়ায় ধানক্ষেত থেকে শিশুর ছয় খ- লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৪:০২, ৬ নভেম্বর ২০১৪

কলাপাড়ায় ধানক্ষেত থেকে শিশুর ছয় খ- লাশ উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ৫ নবেম্বর ॥ প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছয় বছরের সুমিকে জবাই করে খুনের পর লাশ ছয় টুকরা করে ধানক্ষেতের মধ্যে ফেলে রাখা হয়। লোমহর্ষক এ খুনের ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নিজামপুর গ্রামে। পুলিশ মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে শিশুটির খ-বিখ- মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। বুধবার লাশের ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় আলী আহম্মেদকে (৫০) গ্রেফতার করেছে। তবে মূল হোতা লম্পট খলিল পাহলোয়ানকে গ্রেফতার করতে পারেনি। বর্বর এ খুনের ঘটনায় খলিলসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামি করে কলাপাড়া থানায় মামলা করা হয়েছে। নিহত সুমির বাবা ভাড়াটে হোন্ডাচালক আব্দুল হামিদ জানান, প্রতিদিনের মতো একই গ্রামের সলেমান শরীফের বাড়িতে কোচিং ক্লাষ শেষে বাড়িতে ফেরে সুমি। মঙ্গলবার শেষ বিকেলের ঘটনা। এ সময় সুমির মা শাহিনূরসহ কেউ বাড়িতে ছিল না। এরই মধ্যে সুমিকে খুন করা হয়। সন্ধ্যার পর মসজিদের মাইকে সুমি নিখোঁজের ঘটনা প্রচার করায় সবাই মিলে খুঁজে ধানক্ষেত থেকে খ-িত লাশের সন্ধান মেলে। হামিদের অভিযোগ, তাঁর ছোট ভাই আবুল হোসেনের স্ত্রী তিন সন্তানের মা মিনারা খাতুন পরকীয়ার টানে স্বামীর সংসার ছেড়ে খলিলকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর আগের ঘটনা। এ নিয়ে আদালতে মামলা করা হয়। এ মামলাটি পরিচালনা করত সুমির বাবা হামিদ। এ কারণে হামিদকে আগেই হুমকি দেয় খলিল। এ নিয়ে সালিশ হয়। সিদ্ধান্ত হয় মিনারা ফের আবুলের সংসারে ফিরে আসবে। প্রস্তুতিও চলছিল ফেরার। মিনারাকে আনতে তার আগের স্বামীর সন্তানদের পাঠানো হয়। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় খলিল। মনের ক্ষোভে মিনারা তার এক সন্তানসহ নিজে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এসব কারণে খলিল ক্ষিপ্ত হয়ে চরম প্রতিহিংসার পথ বেছে নেয় বলে হামিদের অভিযোগ। সুমিকে খুন করে লাশ টুকরা টুকরা করে ধানক্ষেতে ফেলে রাখে।
×