ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শেয়ার বিক্রির চাপে সূচকের পতন

প্রকাশিত: ০৪:৩১, ৪ নভেম্বর ২০১৪

শেয়ার বিক্রির চাপে সূচকের পতন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের ডাকা হরতালের মধ্যে সোমবার দেশের উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। সকালে সূচকের বৃদ্ধি দিয়ে লেনদেন শুরু হলেও দিনশেষে শেয়ার বিক্রির চাপে সূচকের পতন ঘটে। মূলত টানা হরতালের কারণেই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থায় কিছুটা ফাটল ধরার কারণে আগের তুলনায় কিছুটা লেনদেনও কমেছে। ঢাকার মতো অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জেও সব ধরনের পতন ঘটেছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দিনশেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক আগের দিনের চেয়ে ৪০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ০৬৫ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩০৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৩১টির, কমেছে ১৪৭টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টি কোম্পানির শেয়ার দর। লেনদেন হয়েছে ৬৮০ কোটি ৯২ লাখ ৩২ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এর আগে রবিবার ডিএসইর সার্বিক সূচক অবস্থান করে ৫ হাজার ১০৫ পয়েন্টে। ওই দিন লেনদেন হয় ৭৩২ কোটি ৫৬ লাখ ৯৫ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। সে হিসেবে সোমবার ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৫১ কোটি ৬৪ লাখ ৬৩ হাজার টাকা বা ৭.০৫ শতাংশ। সোমবার ডিএসইর টপ-২০ তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলোর মোট ৩৪২ কোটি ১৩ লাখ ৫২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ৫০.২৪ শতাংশ। এ দিন ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের। দিনভর এই কোম্পানির ৫৪ লাখ ৫৪ হাজার ৩০০টি শেয়ার ৩৭ কোটি ২৯ লাখ ৩৬ হাজার ২০০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। এছাড়া কেয়া কসমেটিক্সের ৩২ কোটি ২৮ লাখ, খুলনা পাওয়ারের ২৭ কোটি ৩৪ লাখ, গ্রামীণফোনের ২০ কোটি ৩৫ লাখ, সামিট পাওয়ারের ১৮ কোটি ৬ লাখ, সামিট পূর্বাঞ্চল পাওয়ারের ১৭ কোটি ৮৪ লাখ, সাইফ পাওয়ারটেকের ১৬ কোটি ৫২ লাখ, খুলনা প্রিন্টিং এ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের ১৬ কোটি ২৬ লাখ, শাহজিবাজার পাওয়ারের ১৬ কোটি ১৬ লাখ ও এমজেএল বিডির ১৫ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলোÑ প্রাইম লাইফ, সামিট পোর্ট এলায়েন্স, কাসেম ড্রাইসেল, বিডি থাই, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স, খুলনা প্রিন্টিং এ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড, ওরিয়ন ইনফিউশন, এএফসি এগ্রো ও লিগ্যাসি ফুটওয়ার। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলোÑ সাইফ পাওয়ার, কে এ্যান্ড কিউ, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, স্টাইল ক্রাফট, শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, লিব্রা ইনফিউশন, বিআইএফসি, ঝিল বাংলা, ন্যাশনাল টিউবস ও মিথুন নিটিং। দিনটিতে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে জ্বালানি এবং শক্তি খাতের কোম্পানিগুলোর। সারাদিনে খাতটির মোট ১৪৬ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল, যা মোট লেনদেনের প্রায় ২২ ভাগ। দ্বিতীয় অবস্থানটি ছিল প্রকৌশল খাতের। দিনটিতে খাতটির মোট ১২৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল, যা মোট লেনদেনের প্রায় ১৯ ভাগ। ওষুধ এবং রসায়ন খাতের কোম্পানিগুলোর মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১১ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের প্রায় ১৭ ভাগ। দিনশেষে অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক ৫১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯ হাজার ৫০১ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২২৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮০টির, কমেছে ১৩২টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টি কোম্পানির। সেখানে লেনদেন হয়েছে ৫৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের দিন এ সময়ে লেনদেন হয়েছিল ৭৪ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। সে হিসেবে সোমবার সিএসইতে লেনদেন কমেছে ১৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলোÑ ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, খুলনা প্রিন্টিং এ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড, সাইফ পাওয়ার টেক, কেয়া কসমেটিকস, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, অলিম্পিক, সামিট পূর্বাঞ্চল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, বেক্সিমকো ও সামিট পাওয়ার লিমিটেড।
×