ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মোস্তাফা জব্বার

একুশ শতক ॥ বাংলাদেশের পথ ধরে ডিজিটাল ইন্ডিয়া

প্রকাশিত: ০৩:৫৯, ২ নভেম্বর ২০১৪

একুশ শতক ॥ বাংলাদেশের পথ ধরে ডিজিটাল ইন্ডিয়া

ভারতের পরিচিতি আর সাপুড়ে ও জাদুর দেশ নয়, ডিজিটাল ইন্ডিয়া। ভারতের নতুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রনাথ মোদি তাঁর ২০১৪ সালের স্বাধীনতা দিবসের বক্তব্যে তেমনটাই প্রত্যাশা করেছেন। বহুল আলোচিত এই নেতার নতুন দিকনির্দেশনা সমগ্র ভারতের জন্য এক অসাধারণ উদ্দীপনা ও প্রত্যয়ের প্রকাশ ঘটিয়েছে। সর্বশেষ তিনি মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করে তাঁর জনপ্রিয়তার মাপকাঠি আরও একবার দেখালেন। তিনি যখন গণজোয়ারে ভেসে ভারতের সুদীর্ঘকালীন শাসক দল কংগ্রেসকে ধুলায় লুটিয়ে দিয়ে একটি রক্ষণশীল-সাম্প্রদায়িক দলের হয়ে সরকার গঠন করেন তখন অনেকেই বুঝে উঠতে পারছিলেন না তিনি ভারতকে কোন পথে নিয়ে যাবেন। মোদি এবার সেই গন্তব্যটি স্পষ্ট করেছেন। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে একটি আদিবাসী ভারতকে বিদায় দিতে চানÑচান একটি ডিজিটাল ভারত। চলতি ২০১৪ সালের ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতির সামনে তাঁর সরকারের ১০টি অঙ্গীকারের ঘোষণা দিয়েছেন। সেই দেশটির নয় নম্বর ঘোষণাটি হলো ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রতিষ্ঠার। বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের পর ভারত হলো তৃতীয় রাষ্ট্র যারা নিজেদের ডিজিটাল করার সুস্পষ্ট ঘোষণা প্রদান করল। যদিও দুনিয়ার বহু দেশ ডিজিটালের সমতুল্য অনেক ঘোষণা প্রদান করেছে তথাপি একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ডিজিটাল রূপান্তরের এমন সরাসরি প্রতিশ্রুতি বাকি দেশগুলো এখনও দেয়নি। আমাদের পাশের দেশ শ্রীলঙ্কা ই-শ্রীলঙ্কা, জাপান ও কোরিয়া ইউবিকুটাস জাপান বা ইউবিকুটাস কোরিয়া, সিঙ্গাপুর আইএন ২০১৫ ইত্যাদি সমজাতীয় কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। ভারত যখন ডিজিটাল ভারতের সেøাগান নিল তখন আমরা আজ অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে বলতে পারি যে, দুনিয়াকে দেয়ার মতো ভাবনা আমাদের আছে। আমাদের সেøাগান ব্রিটেনের মতো বা ভারতের মতো দেশ গ্রহণ করেছে। সেই রাতে বাংলাদেশের টিভি চ্যানেল একাত্তরে খবরটি দেখেই ইন্টারনেটে খুঁজে পেলাম মোদির ঘোষণা। এটি নিয়ে অন্য কার কি প্রতিক্রিয়া হয়েছে জানি না, আমি নিজে অভিভূত হয়েছি। এর কারণটি অবশ্যই প্রাথমিকভাবে ব্যক্তিগত। ষাটের দশকে আইয়ুববিরোধী আন্দোলন ও সত্তরের দশকে স্বাধীনতার আন্দোলনের সময় আমার একটি নেশা ছিল, রাজপথে সেøাগান তৈরি করার। সেই সময়কার ‘পাঞ্জাবী কুত্তারা বাংলা ছাড়’ নামক একটি সেøাগান আমি নিজেই পোস্টারে তুলেছিলাম। আমার বন্ধু আফতাবের ‘জয় বাংলা’ এবং আমাদের ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা তোমার আমার ঠিকানা’, ‘বীর বাঙালী অস্ত্র ধর বাংলাদেশ স্বাধীন কর’ ইত্যাদি সেøাগান আমরা রাজপথে তৈরি করেছি। কিন্তু এই প্রথম দেশের জন্য, ইউরোপ ও এশিয়ার জন্য একটি সেøাগানের জন্ম দিতে পারাটা তো অবশ্যই আনন্দিত হওয়ার মতো ঘটনা। ২০০৭ সালে যখন আমি ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলি তখন মানুষ দল বেঁধে হাসাহাসি করেছে। সবাই বলেছে, এসব কি বলে? তবুও আমি ডিজিটাল বাংলাদেশ সেøাগান নিয়ে হংকংয়েও সেমিনার করেছি। ২০০৮ সালে যখন আইসিটি নীতিমালা প্রণীত হয় তখন আমি তাতে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচী অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করেছিলাম। আমি খুব আশাবাদী ছিলাম যে, বিজ্ঞ মানুষেরা আমার সেই প্রস্তাব গ্রহণ করবে। কিন্তু ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, ড. জাফর ইকবাল ও আমাদের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের বিজ্ঞজনেরাসহ কেউ আমার প্রস্তাব গ্রহণ করেনি। সেই সময়কালে বেসিসের সভাপতি হাবিবুল্লাহ করিমও প্রচ-ভাবে এই ধারণার বিরোধিতা করেন। আমি অনেকটাই হতাশ হই তাতে। তবে আমার জন্য ইতিবাচক বিষয় ছিল ব্যক্তিগত সম্পর্কের বিষয়টি। তখন আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সেলে কাজ করছিলাম। একই সঙ্গে আমি এই দলের মিডিয়া সেলের সমন্বয় করছিলাম। মিডিয়া সেলের অফিস নিয়েছিলাম সেগুন বাগিচায়। তখন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার লেখা হচ্ছিল। এর সমন্বয় করেছিল নূহ উল আলম লেনিন। লেনিন ধানম-ির ৩/এ সড়কের আওয়ামী লীগ অফিসের দোতলায় বসত। আমার ব্যক্তিগত বন্ধু লেনিন তথ্যপ্রযুক্তি অংশটি বারবার আমাকে দিয়েই লেখাচ্ছিল। আমরা বস্তুত ২০০৬ সালে নির্বাচন করার জন্যই প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার প্রেক্ষিতে ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারকে আবার চোখ বুলিয়ে নিতে হয়। সেই কাজটি করতে গিয়েই ৬ ডিসেম্বর ২০০৮ আমি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের রূপকল্প ২০২১-এর ১৪ নাম্বার ধারায় লিখি, ‘২০২১ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা হবে।’ আমার সেই লেখাটি লেনিনের রুমে বসেই জাকিরকে দিয়ে টাইপ করিয়ে ঠিক করে রাখা হয়। তবে লেনিন আমাকে বলতেই থাকে, এই সেøাগানটি সাধারণ মানুষ গ্রহণ করবে কিনা বলা যায় না। লেনিন মাহবুব জামানসহ আইসিটি খাতের কিছু লোকের সঙ্গেও এরকম সেøাগান নিয়ে কথা বলে। লেনিন আরও বলে, আওয়ামী লীগের নেতারা গ্রহণ করবে কিনা বা জননেত্রী শেখ হাসিনা গ্রহণ করবেন কিনা সেটি বলা যাবে না। তাছাড়া ওর মতে, এই ইশতেহারটি আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটিতে অনুমোদিত হবে কিনা সেটিও বলা যাবে না। আমার সৌভাগ্য যে, কেউ কোন পরিবর্তন করেনি বা এটি প্রত্যাখ্যাত হয়নি এবং জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই ইশতেহারটি তেমনভাবেই পাঠ করেন। এরপর আমরা স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে সেমিনার করি। যদিও এখন ডিজিটাল বাংলাদেশের কৃতিত্ব ছিনতাইয়ের চেষ্টা বিরাজ করে, তবুও এটি মনে পড়ে যে, সেই সময়ে মাত্র হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া অন্যদের এই বিষয়ে আগ্রহী দেখতে পাওয়া যায়নি। কৃতজ্ঞতার সঙ্গে আমি নূহ উল আলম লেনিন, প্রফেসর হারুনর রশিদ, আ.আ.ম.স আরেফিন সিদ্দিক, ড. শাহাদাত, ফয়জুল্লাহ খান, স্থপতি ইয়াফেস ওসমানকে ধন্যবাদ দিতে চাই। এরপরও ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে ব্যাপক তামাশা হয়েছে। নির্বাচনের সময় বিএনপিসহ তাদের সমমনা দলের নেতারা রীতিমতো ঠাট্টা তামাশা করেছেন। আওয়ামী লীগ সেই সময়ে ডিজিটাল বাংলাদেশকে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহার করে এবং নির্বাচনে জিতে যাবার পর সেই ধারণা, কর্মসূচী ও অঙ্গীকারকে পূরণের জন্য সচেষ্ট হয়। বস্তুতপক্ষে ২০০৯ সালের সূচনা থেকেই এক ধরনের সাজ সাজ রব পড়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে। এরপর দেশে বিদেশে সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ ব্রান্ডিং করেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশকে ঘিরে সরকারের পদক্ষেপগুলো আন্তর্জাতিকভাবে পুরস্কৃতও হয়েছে। বেসরকারী খাতের পক্ষ থেকেই দারুণভাবে এর প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে। দেশের সাধারণ মানুষ বিশেষ করে সরকারের সেবার ডিজিটাল রূপান্তরে প্রচলিত পদ্ধতির পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছে। বিশেষ করে ইউনিয়ন তথ্যকেন্ত্র স্থাপন, জেলা প্রশাসকদের অফিসের ডিজিটাল রূপান্তর ও মোবাইল সেবার বিকাশে দেশবাসী দারুণভাবে উৎসাহী হয়েছে। ডিজিটাল ব্রিটেন: এরপর ব্রিটেন ডিজিটাল ব্রিটেন কর্মসূচী গ্রহণ করে। ব্রিটেনের এই কর্মসূচীর অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল ব্রডব্যান্ডনির্ভর একটি জাতি গড়ে তোলা। সারা ব্রিটেনের প্রতিটা বাড়িতে কমপক্ষে ২ এমবিপিএস ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে দেয়াই ছিল ব্রিটেনের ঘোষিত লক্ষ্য। একই ধরনের পরিকল্পনা এর বহু বছর আগে কোরিয়া ও সিঙ্গাপুর গ্রহণ করেছে। যুক্তরাজ্য ২০০৯ সালে ডিজিটাল ব্রিটেন নামক একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করে। ঐ বছরের ১৬ জুন মাসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে কতগুলো লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়। ২০১২ সালের মাঝে ব্রডব্যান্ডে ইউনিভার্সাল একসেসসহ এসব লক্ষ্যমাত্রার মূল লক্ষ্য হচ্ছে ডিজিটাল জীবনধারা গড়ে তোলা। ২০০৯ সালের ২৯ জানুয়ারি যুক্তরাজ্য সরকার ঘোষণা করে যে, তারা ২০১২ সালের মাঝে দেশের সর্বত্র ব্রডব্যান্ড কভারেজ তৈরি করবে। এই ব্রডব্যান্ডের ন্যূনতম গতি হবে ২ মেগাবিট পার সেকেন্ড। ২০০৭ সালে গঠিত একটি কমিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদন ১৬ জুন ২০০৯ প্রকাশিত হওয়ার পর যুক্তরাজ্য ডিজিটাল ব্রিটেন কর্মসূচীর রূপরেখা তৈরি করে। যে রিপোর্টটির ভিত্তিতে এই কর্মসূচী গ্রহণ করা হয় তাতে যেসব সুপারিশ ছিল সেগুলো হলো : * তিন বছর মেয়াদী একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। এর উদ্দেশ্য হবে সকল নাগরিকের ডিজিটাল অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। * ২০১২ সালের মধ্যে সকল নাগরিকের জন্য ব্রডব্যান্ড প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। * পরবর্তী প্রজন্মের ব্রডব্যান্ডের জন্য তহবিলের ব্যবস্থা করতে হবে। * ২০১৫ সালের মাঝে ডিজিটাল রেডিও আপগ্রেড করতে হবে। * ৩ জি নেটওয়ার্ক আরও উন্মুক্ত করতে হবে। * জনপ্রশাসনের কনটেন্ট পার্টনারশিপ সহায়তা করতে হবে। * চ্যানেল ৪ টিভির ভূমিকা পরিবর্তন করতে হবে। * স্থানীয়, আঞ্চলিক ও জাতীয় সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে তহবিলের ব্যবস্থা করতে হবে। * ভিডিও গেমসের শ্রেণী বিন্যাস করতে হবে। ডিজিটাল ব্রিটেন কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য ব্রিটেন এরই মাঝে ডিজিটাল ইকোনমি বিল নামক একটি বিলও পাস করেছে। সর্বশেষ তথ্য অনুসারে ব্রিটেন ডিজিটাল ব্রিটেন ২ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এবং জনগণের কাছে সরকারের সেবা ডিজিটাল পদ্ধতিতে পৌঁছানোর প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছে। যদিও প্রাথমিক প্রচেষ্টা ছিল ব্রডব্যান্ডের প্রসার-ব্রিটেন কার্যত সরকারের সকল ক্ষেত্রেই ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য চেষ্টা করছে। ডিজিটাল ইন্ডিয়া: ১৫ আগস্ট ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে যা বলেন সেটির বিবরণ আসে এভাবে : ৯. উরমরঃধষ ওহফরধ: ঐব ংধরফ লঁংঃ ধং ৎধরষধিুং পড়হহবপঃবফ বাবৎুড়হব, রঃ ধিং ঃরসব ভড়ৎ সড়নরষবং ঃড় পড়হহবপঃ মড়াবৎহসবহঃ ঃড় ঃযব ঢ়ড়ড়ৎ. “ঋরৎংঃ ৎধরষ পড়হহবপঃবফ বাবৎুড়হব. ঘড়ি রঃ রিষষ নব সড়নরষব মড়াবৎহধহপব ভড়ৎ ঃযব ঢ়ড়ড়ৎ. ওঃ রং বধংু ধহফ বপড়হড়সরপধষ মড়াবৎহসবহঃ. ঊ-মড়াবৎহধহপব রং ঃযব ধিু ঃড় মড়ড়ফ মড়াবৎহধহপব. উরমরঃধষ ওহফরধ পধহ পড়সঢ়বঃব রিঃয ঃযব ড়িৎষফ,” যব ংধরফ. যঃঃঢ়://রহফরধঃড়ফধু.রহঃড়ফধু.রহ/ংঃড়ৎু/রহফবঢ়বহফবহপব-ফধু-সড়ফর-১০-র-ফধু-সধহঃৎধং/১/৩৭৭২৭১.যঃসষ মোদির বক্তব্য থেকে ভারতের ডিজিটাল কর্মসূচীর বিস্তারিত কিছু জানা না গেলেও এটি বোঝা গেছে যে, ভারত মোবাইল প্রযুক্তিকে জনগণের জীবন মান উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে যেমন করে দেখছে তেমনি সরকারের সুশাসনের জন্য ডিজিটাল রূপান্তরকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। এটি আরও মজার বিষয় যে, ডিজিটাল ভারতকে মোদি বিশ্বসভায় আরও বেশি প্রতিযোগিতাসক্ষম বলে মনে করছেন। আমি নিজেদের একটু গর্বিত ভাবছি এজন্য যে, মোবাইল নিয়ে বিশ্বের সেরা আসনটি পাওয়ার যোগ্যতা আমরা এরই মাঝে অর্জন করেছি। মোবাইলকে জনগণের কল্যাণে কতভাবে ব্যবহার করা যায় এবং ডিজিটাল পদ্ধতির সেবার বাহক হিসেবে মোবাইল কিভাবে ব্যবহৃত হতে পারে সেটি তো আমরা দেখিয়ে দিয়েছি। আমার নিজের ধারণা, মোদি এবার তার টিমকে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার ধারণাকে প্রথমে কাগজে ও পরে বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য মাঠে নামবেন। তিনি ইচ্ছা করলে আমাদের কাছ থেকেও সহায়তা নিতে পারেন। ভারতের ডিজিটাল রূপান্তরের এই সিদ্ধান্ত নানা কারণে আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত এখন আমাদের দেশের মানুষও অন্তত এটি ভাববে যে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ নামক পাগলের সেøাগান দিইনি। ব্রিটেনের ডিজিটাল সেøাগানটি তেমনভাবে সাধারণ মানুষ জানতে পারেনি বলে তার প্রভাব আমরা আমাদের মাঝে অনুভব করিনি। কিন্তু ভারত আমাদের পাশের দেশ বিধায় তারা এই ক্ষেত্রে যেসব কাজ করবে সেগুলো নিঃসন্দেহে আমরা অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখব। ভারতের অনেক অভিজ্ঞতাই আমরা নিজেদের কাজে লাগাতে পারি। একই ধরনের আর্থ-সামাজিক অবস্থায় ভারত কোথায় ভুল করছে সেটি যেমন আমাদের কাজে লাগবে তেমনি আমরা কোথায় অগ্রগতি সাধন করেছি সেটি ভারতের কাজে লাগবে। ডিজিটাল রূপান্তরের ভুবনে ভারতকে স্বাগত জানাই। স্বাগত ডিজিটাল ইন্ডিয়া! বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়ে নিজেকে ডিজিটাল করলে আমরাও উপকৃত হব। ঢাকা, ১ নবেম্বর ২০১৪ লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যারের জনক ॥ ই-মেইল : সঁংঃধভধলধননধৎ@মসধরষ.পড়স, ওয়েবপেজ: িি.িনরলড়ুবশঁংযব.হবঃ, িি.িনরলড়ুফরমরঃধষ.পড়স
×