ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইরাক-সিরিয়ায় বিদেশী জিহাদীর সংখ্যা নজিরবিহীন

প্রকাশিত: ০৬:০০, ১ নভেম্বর ২০১৪

ইরাক-সিরিয়ায় বিদেশী জিহাদীর সংখ্যা নজিরবিহীন

ইরাক ও সিরিয়ায় পাশাপাশি চলমান লড়াইয়ে বিদেশী জিহাদীরা নজিরবিহীন সংখ্যায় যোগ দিচ্ছে বলে জাতিসংঘ এক রিপোর্টে সতর্ক করে দিয়েছে। বিশ্বে সন্ত্রাসী তৎপরতায় অংশ নিতে ইতোপূর্বে যেসব দেশ থেকে যোদ্ধারা আসেনি, সেসব দেশ থেকেও জিহাদীরা ওই দুটি লড়াইয়ে শামিল হচ্ছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের তৈরি করা ওই রিপোর্টে ধারণা ব্যক্ত করা হয় যে, আল-কায়েদার শক্তি হ্রাসের আরও শক্তিশালী উত্তরসূরি সংগঠনগুলোর প্রধানত ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পক্ষে লড়াই করতে জিহাদীদের জোশের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। খবর গার্ডিয়ান অনলাইনের। ওই রিপোর্টে দেখা যায় যে, আইএসও অনুরূপ চরমপন্থী দলগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে লড়াই করতে ১৫ হাজার লোক সিরিয়া ও ইরাকে পৌঁছে। তারা ৮০টিরও বেশি দেশ থেকে সেখানে যায়। এদের মধ্যে এমন সব দেশ রয়েছে যারা ইতোপূর্বে আল-কায়েদা সম্পর্কিত সমস্যার মুখে পড়েনি। জাতিসংঘ বলেছে, জিহাদীদের এ সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে আল কায়েদা উপকৃত হবে কিনা তা নিশ্চিত নয়। আল-কায়েদা নেতা আয়মান আল জাওয়াহিরি নিজের প্রভাব বিস্তারের জন্য চেষ্টা করছেন বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। তিনি তার সংগঠন থেকে আইএসকে বহিষ্কার করেছিলেন। জাতিসংঘের পরিসংখ্যানে বিদেশী যোদ্ধা সম্পর্কিত সমস্যার ব্যাপ্তি নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দাদের সাম্প্রতিক ধারণাকেই জোরদার করল। ওবামা প্রশাসন সন্ত্রাসীদের ওপর প্রচ- বিমান হামলা এবং বিশ্ব জুড়ে নজরদারি চাপানো সত্ত্বেও ওই সমস্যার বিস্তার ঘটেছে বলে জাতিসংঘের রিপোর্টে দেখা যায়। আল-কায়েদার ওপর দৃষ্টি রাখে নিরাপত্তা পরিষদের এমন এক কমিটি রিপোর্টটি তৈরি করেছে। জাতিসংঘ রিপোর্টের মতে যে ৮০টিরও বেশি দেশ থেকে যোদ্ধারা ইরাক ও সিরিয়ায় পৌঁছেছে, তাদের নাম রিপোর্টটিতে উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মালদ্বীপের মত দেশগুলোতেও আইএস সমর্থকদের দেখা গেছে। আর আইএসের ভিডিওতে চিলি, নরওয়ে ও অন্যান্য দেশ থেকে আগত জিহাদীদের গর্বের সঙ্গে দেখানো হয়।
×