ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঋতু বদলের সময় বাড়ছে জ্বর সর্দি-কাশি

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ৩০ অক্টোবর ২০১৪

ঋতু বদলের সময় বাড়ছে জ্বর সর্দি-কাশি

নিখিল মানখিন ॥ দেশে বিরাজ করছে ঠা-া ও গরমের মিশ্র আবহাওয়া। বর্ষার বিদায়ের পর এবং শীতকালের আগমনের আগে প্রতি বছর দেশে এমন আবহাওয়া বিরাজ করে থাকে। ঋতু বদলের এ সময়ে রাজধানীতে সর্দি-কাশি জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। নগরীর অনেক হাসপাতাল ও ক্লিনিকে মৌসুমী জ্বরে আক্রান্তদের ভিড় বাড়ছে। রোগীর কাশি অনেক সময় রূপ নিচ্ছে শ্বাসকষ্টে। কেউ কেউ আক্রান্ত হচ্ছে নিউমোনিয়ায়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মৌসুমী জ্বর নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। প্রতি বছরই এমন সময় সর্দি-কাশি জ্বরের প্রকোপ দেখা দেয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এ জ্বরের চিকিৎসা লাগে না। এ জ্বরে আক্রান্ত হলে মাথাব্যথা হতে পারে। তিনদিন পর্যন্ত এন্টিবায়োটিক খাওয়া ঠিক হবে না। প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে। জ্বরে আক্রান্ত রোগীর গা হালকা ঠা-া পানি দিয়ে দিনে কয়েকবার মুছে দিতে হবে। তিনদিন পরও জ্বর না কমলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। রোগীকে স্বাভাবিক খাবার দেয়া অব্যাহত রাখতে হবে। ছোঁয়াচে হওয়ায় এ ধরনের জ্বর থেকে সাবধান থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিয়েছে দক্ষিণ- পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (বর্ষা)। গত কয়েকদিন ধরে দেশের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার হ্রাস অব্যাহত রয়েছে। তাপমাত্রা হ্রাস পেলেও শীতকালের ঠা-া অনুভূত হতে সময় লাগবে। তবে রাতের তাপমাত্রা অনেক হ্রাস পেয়েছে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা শীত অনুভূত হয়ে থাকে। পাশাপাশি দিনের বেলায় থাকে মাঝারি ধরনের রোদ, অনুভূত হয় গরম। নবেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত দেশে শীত ও গরমের মিশ্র আবহাওয়া বিরাজ করবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়বিদরা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতি বছরই মিশ্র আবহাওয়ায় মৌসুমী জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে নগরীতে সর্দি-কাশি জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। একজন আক্রান্ত হলে পরিবারের কোন সদস্যই রেহাই পাচ্ছে না। সব বয়সের মানুষই আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে কিছু ওষুধপত্র সেবন করলে কয়েকদিনের মধ্যেই সমস্যা কেটে যাবে। রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে মৌসুমী জ্বরে আক্রান্তের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ও বিএমএ-এর সিনিয়র সহসভাপতি ডাঃ আব্দুর রউফ সর্দার বলেন, সর্দি-কাশি জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের ভিড় বেড়েছে। প্যারাসিটামল ও এন্টিহিস্টাসিন খেলেই এটি ভাল হয়ে যায়। ছোঁয়াচে হওয়ায় অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়াই ভাল। বিশ্রামে থাকতে হবে। হাঁচি দেয়ার সময় রুমাল বা কাপড় দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
×