ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সপ্তাহের শুরুতে সূচক ও লেনদেন কমেছে

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ২৭ অক্টোবর ২০১৪

সপ্তাহের শুরুতে সূচক ও লেনদেন কমেছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আগের সপ্তাহের ধারাবাহিকতায় সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার দেশের উভয় পুঁজিবাজারে মূল্যসূচক কমেছে। এদিন লেনদেনও কমেছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন কমেছে ৪৩ কোটি টাকার বা প্রায় ৮ শতাংশ। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত তিন কার্যদিবস ধরে (২১-২৬ অক্টোবর) ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স কমেছে ১২২ পয়েন্ট। রবিবার ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসই এক্স ৪২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ১১১ পয়েন্টে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ২০৫ পয়েন্টে। আর ডিএস-৩০ সূচক ১৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯২৬ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩০৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮২টির, কমেছে ১৯০টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টি কোম্পানির শেয়ার দর। লেনদেন হয়েছে ৫২৯ কোটি ৪৫ লাখ ৯৯ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স অবস্থান করে ৫ হাজার ১৫৪ পয়েন্টে। ওইদিন লেনদেন হয় ৫৭২ কোটি ৫৫ লাখ ২ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। সে হিসেবে রবিবার ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৪৩ কোটি ৯ লাখ ৩ হাজার টাকা বা ৭ দশমিক ৫২ শতাংশ। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, ঈদের আগে ও পরে টানা চার কার্যদিবস লেনদেন ছিল উর্ধমুখী। এ সময়ে মৌলভিত্তি সব কোম্পানির শেয়ারের ক্রয় চাপ ছিল বেশি। এরই ধারাবাহিকতায় লেনদেন বেড়েছে। যা অতীতের কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড পরিমাণ লেনদেন বলে গণ্য। এদিকে গেল সপ্তাহে বিক্রয় চাপ ছিল কম। কারণ গেল সপ্তাহ ছিল প্রফিট টেকিং। যা চলতি সপ্তাহেও প্রথম কার্যদিবসেও তার ধারাবাহিকতা রয়েছে। কিন্তু লেনদেন কমাতে বিনিয়োগকারীরা বিচলিত নয় বলে জানালেন বিশ্লেষকগণ। রবিবার ডিএসইর টপ-২০ তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলোর মোট ২৫১ কোটি ৪৬ লাখ ৫১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ৪৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এদিন ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে গ্রামীণফোনের। দিনভর এ কোম্পানির ৭ লাখ ৭৮ হাজার ৪০০ শেয়ার ২৯ কোটি ৫৮ লাখ ৪৬ হাজার ২০০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। এছাড়া তিতাস গ্যাসের ২৪ কোটি ৪৮ লাখ, খুলনা পাওয়ারের ২৪ কোটি ২২ লাখ, এমজেএল বিডির ১৬ কোটি ৯৫ লাখ, স্কয়ার ফার্মার ১৬ কোটি ৩৬ লাখ, সামিট পাওয়ারের ১৪ কোটি ৮৩ লাখ, এসিআই ফরমুলেশনের ১২ কোটি ৫১ লাখ, বেক্সিমকোর ১১ কোটি ৯৯ লাখ, লাফার্জ সুরমা সিমেন্টের ১১ কোটি ৫০ লাখ এবং যমুনা অয়েলের ১০ কোটি ৫৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দিনশেষে অপর পুঁজিবাজার চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক ৬২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯ হাজার ৬১৪ পয়েন্টে। সিএসই-৩০ সূচক ৮৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৩ হাজার ৯১ পয়েন্টে। এছাড়া সিএএসপিআই সূচক ১৩৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৫ হাজার ৭৮০ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২১৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৪৬টির, কমেছে ১৬০টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩টি কোম্পানির। লেনদেন হয়েছে ৩৮ কোটি ৫৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। আগের দিন বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছিল ৫০ কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। সে হিসেবে রবিবার সিএসইতে লেনদেন কমেছে ১২ কোটি ৩ লাখ টাকা। দিনশেষে সিএসইতে এদিন লেনদেনের ভিত্তিতে শীর্ষ ১০ কোম্পানি হচ্ছে- আরএসআরএম স্টিল, বেক্সিমকো, মবিল যমুনা (বিডি) লিমিটেড, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, তিতাস গ্যাস, গ্রামীণফান, সাইফ পাওয়ারটেক, সামিট পাওয়ার, এসিআই ফরমুলেশনস লিমিটেড এবং বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড।
×