ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৬:১২, ২৭ অক্টোবর ২০১৪

সম্পাদক সমীপে

ঝুঁকি এড়াতে ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট মর্মান্তিক হত্যাকা- ঘটনার পূর্বে সেনা গোয়েন্দাসহ সকল গোয়েন্দা সংস্থা কোন পূর্ব সঙ্কেত দিতে পারেনি কেন পারেনি সেই বিষয়টি কখনও অনুসন্ধান করে দেখা হয়নি। তদন্ত করলে প্রকৃত রহস্য বের হয়ে আসত। এমনি ধরনের অসংখ্য রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের দুর্ঘটনা ঘটার পূর্বে তথ্য জানা যায়নি। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর হাত-পা বাঁধা থাকে, চোখ অন্ধ থাকে নচেৎ অভিজ্ঞতার অভাবে জানাতে ব্যর্থ হয় কিংবা দুর্নীতিপরায়ণ সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে থাকে। যেমন দশ ট্রাক অস্ত্র সমুদ্রবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করল। খোদ গোয়েন্দা সংস্থা কুকর্মে অংশ নিল। বিগত সরকারের আমলে পত্রিকায় বহুবার পড়েছি। দেশের সমুদ্রদ্বীপ মহেষখালীর পাহাড়ে, বান্দরবন ও খাগড়াছড়ি সীমান্তে অসংখ্য অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেলেও তার কোনটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। ইদানীং মৌলভীবাজারের চুনারুঘাটে সাতছড়ি সীমান্তে বাংলাদেশের ভূখ-ে কারি কারি ভারি আধুনিক মানের অস্ত্র পাওয়া যাচ্ছে। দ্বিধাহীনভাবে বলা যেতে পারে সারাদেশে এ রকম অসংখ্য চুনারুঘাট, সাতছড়ি বন রয়েছে যেখানে অস্ত্র আর অস্ত্র মজুদ রয়েছে। ঝিনাইগাতি সীমান্তেও অনুরূপ ঘটনার কাহিনী শুনা গিয়েছিল। এসব অস্ত্র কে বা কারা আনছে, কাকে বা কাদের হত্যা করার জন্য আনা হচ্ছে, পরাধীন রাষ্ট্র পুনর্বহাল করার জন্য আনা হচ্ছে কিনা কিংবা যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে এবং জাতির পিতার বংশ নির্মূল করার জন্য মজুদ করা হচ্ছে কিনা এসব প্রশ্নের উত্তর এক্ষুণি জরুরী ভিত্তিতে উৎঘাটন করতে হবে। বর্তমান সরকার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যখন ব্যবস্থা নিচ্ছে আশা করি তারা সফল হবে। দেশকে জঙ্গীবাদমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত করতে সরকারের সঙ্গে বিরোধী দলকের একাত্ম হয়ে কাজ করতে হবে। এটাই আমাদের কামনা। মেছের আলী শ্রীনগর। মাননীয় তথ্যমন্ত্রী গত ২৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ক্রাইম রিপোর্টার্স বহুমুখী সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, সরকার সব পর্যায়ের সাংবাদিকদের আবাসন সমস্যা সমাধানে কাজ করছে। এছাড়াও সাংবাদিক নেতাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি জানান, ওয়েজবোর্ড সংশোধনের সময় ক্রাইম রিপোর্টারদের ঝুঁকিভাতা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সব মিডিয়া হাউসে ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নে সাংবাদিকদের নিয়ে যৌথভাবে শীঘ্রই কাজ করবে সরকার। সরকারের মুখপাত্র হিসেবে মাননীয় তথ্যমন্ত্রীর উল্লিখিত বক্তব্য খুবই আশাপ্রদ এবং প্রশংসামূলক সন্দেহ নেই। কিন্তু কথা যদি কথার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। তাহলে তা শুধু অর্থহীনই হয় না। সরকারের প্রতি অনাস্থাও বাড়ে। তথ্যমন্ত্রী মহোদয় এ কথা জানেন কিনা জানি না। দেশে যত সংবাদপত্র প্রকাশিত হয় তার সিংহভাগ কাগজেই অর্থাৎ মিডিয়া হাউসে কোন ওয়েজবোর্ডই অনুসরণ করা হয় না। অধিকাংশ মিডিয়া হাউসই, বিশেষ করে আঞ্চলিক মিডিয়া হাউসগুলো, সংবাদকর্মীদের নানাভাবে বঞ্চিত করে থাকে। আমার ধারণা, এসব কারণেই সাংবাদিকরা হলুদ সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। এজন্য সরকারের দায়ও কিছু কম নয়। সরকার সংবাদপত্রকে শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু শিল্পের স্বাভাবিক অগ্রগতির জন্য প্রাথমিকভাবে যে অবকাঠামো প্রয়োজন তা নিশ্চিত করা হয়েছে কি-না, এসব যথাযথভাবে পরীক্ষা না করেই একটি মিডিয়া হাউসকে ডিক্লারেশন দেয়া হয়ে থাকে। আর ডিক্লারেশন পেয়েই সেই মিডিয়া হাউস অন্যায্য পন্থায় তার কার্যক্রম চালাতে থাকে। পরবর্তীতে সুষ্ঠু পরিদর্শনেরও কোন ব্যবস্থা থাকে না। ডিএফপির মাধ্যমে পরিদর্শনের যে ব্যবস্থা থাকে, সেখানে চলে লাখ লাখ টাকার ঘুষবাণিজ্য। ঘুষ খেয়ে যে পত্রিকার সারকুলেশন ১ হাজারও নয়, সে পত্রিকার সার্কলেশন ১৫ হাজার ২০ হাজার বা তার ওপরেও দেখিয়ে দেয়া হয়। এভাবেই চলছে স্থানীয় পত্রিকাগুলোর অধিকাংশ। মাননীয় তথ্যমন্ত্রী যদি সত্যি সত্যি ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করতে চান, তাহলে স্থানীয় মিডিয়া হাউসগুলোর কার্যক্রম পরিদর্শনের জন্য সৎ ও আদর্শ পরিদর্শক নিয়োগ করুন যাতে সুষ্ঠু পরিদর্শন নিশ্চিত হয়। অন্যথায় গৃহীত পদক্ষেপ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। ফজলুল হক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, পূর্বপাড়া, ডি-৯, দ্বিতীয়তলা-পূর্ব, রাজশাহী। মাদকমুক্ত সমাজ চাই কেউ ফেনসিডিল-ইয়াবা সেবন করবেন না প্লিজ। ফেনসিডিল মানুষকে হতাশাগ্রস্ত করে। ইয়াবা মানুষের মস্তিষ্কের বিকৃতি ঘটায়, মানুষকে অভাব অনটনে জর্জরিত করে, মানুষকে মিথ্যা কথা শিখায়, মানুষকে অপরাধী করে, ফেনসিডিল-ইয়াবা সেবনের কারণে একজন ভাল মানুষও অমানুষে পরিণত হয়। আসলে ফেনসিডিল-ইয়াবা মানুষকে যা কিছু দেয়, তার চেয়েও বেশি মানুষের জীবন থেকে কেড়ে নেয়, ফেনসিডিল-ইয়াবা সেবনের কারণে বাবা-মায়ের আদরের ভালবাসার সন্তানও অবশেষে বাবা-মায়ের কাছ থেকে অবহেলা-ঘৃণা পেয়ে থাকে। ফেনসিডিল-ইয়াবা সেবনের কারণে প্রতিটি সেবনকারীর জীবনে পরাজয় ঘটে, ফেনসিডিল-ইয়াবা প্রতিটি মানুষকে বিজয়ের স্বপ্ন দেখিয়ে পরাজিত করে, সেই হিসেবে ফেনসিডিল-ইয়াবা প্রতারক! ফেনসিডিল-ইয়াবা এতটাই প্রতারক যে জন্মদাতা বাবা-মা’র কাছ থেকেও সন্তানকে কেড়ে নেয়। তাই আসুন ফেনসিডিল সেবন না করে সেভেনআপ পান করি, ইয়াবা সেবন না করে ফাস্টফুডে গিয়ে বিস্কুট খাই। দেশ ও পৃথিবী এবং মহাবিশ্বের সব মানুষের কল্যাণে। দিপু প্রামাণিক নবাবগঞ্জ শুভেচ্ছা জন্মের পর দীর্ঘ ১৬ বছর যাবত ‘হৃদয়ে বাংলাদেশ’ ধারণ করে চ্যানেল আই নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে তার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের পক্ষে কাজ করছে। এজন্য জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ও সমর্থনকারী জনসাধারণ এরকমই একটি চ্যানেল আশা করেছিলেন। যা বাস্তবে রূপলাভ করেছে। ইতোমধ্যেই চ্যানেল আই অবশ্য তার স্বাতন্ত্র প্রচার করার চেষ্টা করছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে আলোচনা, বিভিন্ন এলাকার যুদ্ধের বিবরণ তুলে ধরা, যোদ্ধাদের অভিজ্ঞতা ও সাক্ষাতকার প্রচার করা, মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী নিয়ে সিনেমা, নাটক, গান ইত্যাদি প্রচার করে চ্যানেল আই প্রশংসা অর্জন করেছে। কৃষকদের বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা ছাড়াও কৃষি মেলা, কৃষকদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা, কৃষকের বাজেট প্রসঙ্গে নানা কথার অনুষ্ঠান ইত্যাদির পরিবেশন বেশ চমৎকার। মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা চ্যানেল আই তার প্রতিশ্রুতি মোতাবেক আরো সমৃদ্ধ, ঐতিহ্যগত, জ্ঞানগর্ভ, প্রকৃত ইতিহাস প্রচারে ভূমিকা পালন করবে। ভাষাবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী ও গণতন্ত্রবিরোধী ইতিহাস বিকৃতকারীদের বিপক্ষে যেন বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে। শোষণ, জুলুম, অন্যায় অবিচার কোন কিছুর সঙ্গে যেন আপোস না করে। একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ গঠনে যেন সক্রিয় ভূমিকা পালন করে সর্বক্ষণ। এমন প্রত্যাশা পূরণে চ্যানেল আই কর্তৃপক্ষ নজর দেবেন কি? মনোরঞ্জন রায় জোতদারপাড়া উলিপুর, কুডিগ্রাম। ধন্যবাদ হানিফ সংকেত দীর্ঘদিন ধরে ‘ইত্যাদি’-এর মতো জনপ্রিয় একটি অনুষ্ঠান পরিচালনা করে আসছেন। বিটিভির দর্শক সংখ্যা সীমিত হলেও ‘ইত্যাদি’র দর্শক সংখ্যা সীমিত নয়। গত ৬ জুলাই বিশ্বাকাপ ফুটবলের ওপর ‘ইত্যাদির’র অনুষ্ঠানটি ছিল খুবই সময়োপযোগী। অনুষ্ঠানটি সংকলিত হওয়ায় বোঝা যায় যে এটা পূর্বেই প্রচারিত হয়েছিল, যদিও তা দেখার সৌভাগ্য আমার হয়নি। তবে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাভক্ত প্রসঙ্গে তিন ব্যক্তির বিতর্কের ক্ষুদ্র অংশটির বক্তব্য আমার মনকে আলোড়িত করেছে। এতে তৃতীয় ব্যক্তি, যিনি ওই দুটি দলের কোনটিই সমর্থক নন, তাকে হেনস্থা হতে হয়। তার বক্তব্য বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে কোন ক্রিকেট ম্যাচ হলে অস্ট্রেলিয়া ভাল খেললেও আমরা বাংলাদেশ সমর্থন করি, কারণ বাংলাদেশ আমাদের নিজ দেশ। তদ্রƒপ, বাংলাদেশ যখন বিশ্বকাপ ফুটবলে নেই, তখন এশিয়ার যে কোন দেশকে আমাদের সমর্থন করা উচিত। বিশ্বকাপ ফুটবল প্রসঙ্গে আমার ব্যক্তিগত মতামত বরাবরই তাই। এশিয়ার কোন দেশ যদি না থাকে, তাহলে আফ্রিকার কোন দেশকে আমরা সমর্থন করতে পারি। এরপর দুই মহাদেশের বাইরে কোন মুসলিম দেশ থাকলে তাকেও সমর্থন করা যেতে পারে। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে, বর্তমান বিশ্বকাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন জার্মানির নিকট ব্রাজিল শোচনীয় পরাজয় বরণ করলেও আফ্রিকার দেশ ঘানা কিন্তু জার্মানির নিকট পরাজিত হয়নি। আমিও আমার বক্তব্যের সমর্থন কখনও পাইনি। অধিকাংশই এর বিরোধিতা করেছেন, কেউবা মৌনতা অবলম্বন করেছেন। জনাব হানিফ প্রায় সর্বদা ঐতিহাসিক স্থাপনার পটভূমিতে অনুষ্ঠান করে থাকেন। এ প্রসঙ্গে ২-১টি ছোটখাটো ত্রুটি-বিচ্যুতির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বগুড়ার মহাস্থানগড়ের পটভূমিতে এরূপ এক অনুষ্ঠানে সমবেত নৃত্য পরিবেশিত হলে সেটাযে সাঁওতালী নৃত্য ছিল, তা আদৌ উল্লেখ করা হয়নি। অনুরূপ ঢাকার আহসান মঞ্জিলের পটভূমিতে এক অনুষ্ঠান হলেও এর কোন পরিচিত তুলে ধরা বা সংশ্লিষ্ট প্রশ্ন করা হয়নি, যেরূপ সাধারণত করা হয়ে থাকে। জনাব হানিফ নিঃসন্দেহে মরহুম ফজলে লোহানীর সুযোগ্য উত্তরসূরি। কিন্তু তিনি কি তার অবর্তমানকালের জন্য কোন যোগ্য উত্তরসূরি তৈরি করছেন? খালিফ মাশকেরী শ্রীপুর, গাজীপুর।
×